slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير سورة الفاتحة

(Al-Fatihah) • المصدر: BN-TAFISR-FATHUL-MAJID

الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

📘 ৩ নং আয়াতের তাফসীর: “আর রহমান ও আর রহীম” এ দু’টি আল্লাহ তা‘আলার সুউচ্চ গুণাবলী এবং সুন্দর সুন্দর নামসমূহের মধ্যে অন্যতম। الرَّحْمٰنِ (আর রহমান) ও الرَّحِیْمِ (আর রহীম) উভয়টি رَحْمَةٌ (রহমাতুন) শব্দ থেকে গৃহীত। আবার কেউ বলেছেন, এগুলো কোন শব্দ থেকে গৃহীত নয়। الرَّحْمٰنِ (আর রহমান) নামটি الرَّحِیْمِ (আর রহীম) থেকে ব্যাপক ও বিস্তৃত। আল্লাহ তা‘আলা মু’মিন ও কাফিরসহ দুনিয়ার সকল মাখলুকের জন্য রহমান বা দয়াময়, আর রহীম বা দয়ালু পরকালে শুধু মু’মিনদের জন্য। (আযওয়াউল বায়ান, অত্র আয়াতের তাফসীর) প্রসিদ্ধ তাবিঈ আবদুল্লাহ বিন মুবারক (রহঃ) বলেন: الرَّحْمٰنِ (আর রহমান) নামে যখন চাওয়া হয় তখন প্রদান করা হয়। আর الرَّحِیْمِ (আর রহীম) নামে যখন চাওয়া হয় না তখন তিনি রাগ করেন। এ অর্থেই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বাণী: مَنْ لَمْ يَسْأَلِ اللّٰهَ يَغْضَبْ عَلَيْهِ) যে ব্যক্তি আল্লাহ তা‘আলার কাছে চায় না, তিনি তার প্রতি রাগ করেন। (তিরমিযী হা: ৩৩৭৩, সহীহ; ইবনে কাসীর) ইবনে জারীর আত-তাবারী (রহঃ) তাঁর স্বীয় তাফসীর গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন .......আল আরযামী (রহঃ) বলেন: (الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ) দয়াময় ও দয়ালু, الرَّحْمٰنِ (আর রহমান) বা দয়াময় সকল সৃষ্টি জীবের জন্য, আর الرَّحِيْمِ (আর রহীম) বা দয়ালু শুধু মু’মিনদের জন্য। (তাফসীর তাবারী, ১/১১৭) এ জন্য আল্লাহ তা‘আলা বলেন: (ثُمَّ اسْتَوٰي عَلَي الْعَرْشِ الرَّحْمٰنِ) “অতঃপর আরশের ওপর সমুন্নত হলেন দয়াময় আল্লাহ।” (সূরা ফুরকান ২৫:৫৯) আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন: (اَلرَّحْمٰنُ عَلَي الْعَرْشِ اسْتَوٰي) “দয়াময় আল্লাহ আরশের ওপর সমুন্নত।”(সূরা ত্বহা ২০:৫) এখানে আল্লাহ তা‘আলা তার রহমান নাম দ্বারা আরশের ওপর সমুন্নত হবার কথা উল্লেখ করেছেন যাতে সকল মাখলুককে তার রহমতে শামিল করে নেন। অপরপক্ষে আল্লাহ তা‘আলা বলেন: (وَكَانَ بِالْمُؤْمِنِيْنَ رَحِيْمًا) “তিনি মু’মিনদের প্রতি অত্যন্ত দয়ালু।”(সূরা আহযাব ৩৩:৪৩) এখানে তাঁর রহীম নাম শুধু মু’মিনদের সাথে সীমাবদ্ধ করে দিয়েছেন। মুফাসসিরগণ বলেন: এ আয়াতদ্বয় প্রমাণ করে যে, রহমান গুণটি রহীম থেকে ব্যাপক যা উভয়কালের সকল মাখলুকের জন্য প্রযোজ্য। আর রহীম শুধু মু’মিনদের জন্য সীমাবদ্ধ। (ইবনু কাসীর, ১/৭৬, অত্র আয়াতের তাফসীর) الرَّحْمٰنُ (আর রহমান) নামটি আল্লাহ তা‘আলার সাথে খাস। এ নামে অন্য কাউকে নামকরণ করা বৈধ নয়। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন: (قُلِ ادْعُوا اللّٰهَ أَوِ ادْعُوا الرَّحْمٰنَ أَيًّا مَّا تَدْعُوا فَلَهُ الْأَسْمَا۬ءُ الْحُسْنٰي) “বল:‎ ‘তোমরা ‘আল্লাহ’নামে আহ্বান কর‎ বা ‘রহমান’নামে আহ্বান কর‎, তোমরা যে নামেই আহ্বান কর‎ সকল সুন্দর নামই তো তাঁর।”(সূরা ইসরা ১৭:১১০)

مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ

📘 ৪ নং আয়াতের তাফসীর: مالك এর অর্থ কোন বস্তুর ওপর এমন অধিকার থাকা যার ব্যবহার, পরিবর্তন-পরিবর্ধন ও হস্তান্তরসহ সকল প্রকার একচ্ছত্র ক্ষমতা রাখে। যেমন পরকালে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দাদেরকে জান্নাতে ও জাহান্নামে দেবেন এ ব্যাপারে তিনি ব্যতীত আর কোন মালিক নেই। তিনি দয়ালু হয়ে জাহান্নামের শাস্তিকে কারো জন্য কম করে দেবেন, আবার প্রাপ্য হিসেবে কারো জন্য বৃদ্ধি করে দেবেন, এ ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত অন্য কোন মালিক নেই। সকল কিছুর মালিক একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন: (لِلّٰهِ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ) “আল্লাহরই জন্য নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের আধিপত্য।”(সূরা শুরা ৪২:৪৯) আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন: (لَهُ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ يُحْيِيْ وَيُمِيْتُ وَهُوَ عَلٰي كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ) “আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর কর্তৃত্ব একমাত্র তাঁরই; তিনি জীবন দান করেন ও মৃত্যু ঘটান; তিনি সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান।”(সূরা হাদীদ ৫৭:২) অতএব আকাশ ও পৃথিবীর একমাত্র অধিপতি আল্লাহ তা‘আলা। শুধু তাই নয়, এতদুভয়ের মধ্যে যা কিছু আছে সব কিছুর মালিকও তিনি। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: (وَلِلّٰهِ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا يَخْلُقُ مَا يَشَا۬ءُ) “আসমান ও জমিনের এবং এদের মধ্যে যা কিছু আছে তার সার্বভৌমত্ব আল্লাহরই। তিনি যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন।”(সূরা মায়িদাহ ৫:১৭) অনুরূপভাবে তিনি আরো বলেন: (وَلِلّٰهِ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا وَإِلَيْهِ الْمَصِيرُ) “আসমান ও জমিনের এবং এদের মধ্যে যা কিছু আছে তার সার্বভৌমত্ব আল্লাহরই, আর প্রত্যাবর্তন তাঁরই দিকে।”(সূরা মায়িদাহ ৫:১৮) অতএব যিনি আসমান ও জমিন এবং উভয়ের মাঝে সবকিছুর, মালিক তিনি আমাদের জীবন-মরণেরও মালিক। সুতরাং তাঁর পৃথিবীতে তাঁরই দেয়া জীবন বিধানের আলোকে আমাদের চলা উচিত। (يَوْمِ الدِّيْنِ) “প্রতিফল দিবস” বলতে কিয়ামতের দিনকে বুঝানো হয়েছে, সেদিন আল্লাহ তা‘আলা ভাল-মন্দ সকল কাজ-কর্মের প্রতিদান দেবেন এবং সেদিন আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত আর কোন রাজাধিরাজ থাকবে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: (وَمَآ اَدْرٰٿکَ مَا یَوْمُ الدِّیْنِﭠﺫ ثُمَّ مَآ اَدْرٰٿکَ مَا یَوْمُ الدِّیْنِﭡﺚ یَوْمَ لَا تَمْلِکُ نَفْسٌ لِّنَفْسٍ شَیْئًاﺚ وَالْاَمْرُ یَوْمَئِذٍ لِّلّٰهِ) “প্রতিদান দিবস কী? তা কি তুমি জানো? অতঃপর বলিঃ প্রতিদান দিবস কী তা কি তুমি অবগত আছ? সেদিন কোন মানুষ অপরের জন্য কিছু করার সামর্থ রাখবে না, সেদিন সকল কর্তৃত্ব একমাত্র আল্লাহরই।”(সূরা ইনফিতার ৮২:১৭-১৯) সেদিন কোন ফেরেশতা, মানুষ, জিন কেউ কোন কিছু করতে পারবে না এবং তারা সেখানে কোন কথাও বলতে পারবে না, একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা যাকে অনুমতি দেবেন তিনি ব্যতীত। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: (یَوْمَ یَقُوْمُ الرُّوْحُ وَالْمَلٰ۬ئِکَةُ صَفًّاﺞ لَّا یَتَکَلَّمُوْنَ اِلَّا مَنْ اَذِنَ لَھُ الرَّحْمٰنُ وَقَالَ صَوَابًا) “সেদিন রূহ ও ফেরেশতারা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াবে। দয়াময় আল্লাহ যাকে অনুমতি দেবেন, সে ব্যতীত অন্য কেউ কথা বলতে পারবে না এবং সে সঠিক কথা বলবে।”(সূরা নাবা ৭৮:৩৮) সেদিন আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক ব্যক্তিকে পরিপূর্ণ প্রতিদান দেবেন। কাউকে কমও দেবেন না এবং কাউকে বেশিও দেবেন না। কারো প্রতি কোন অবিচার করা হবে না। ইনসাফের সাথে সকলে ভাল মন্দ কর্মের ন্যায্য প্রতিদান ও প্রতিফল পাবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: (يَوْمَئِذٍ يُّوَفِّيهِمُ اللّٰهُ دِينَهُمُ الْحَقَّ) “সেদিন আল্লাহ তাদের প্রাপ্য প্রতিফল পুরোপুরি দেবেন।”(সূরা নূর ২৪:২৫) তাই প্রতিটি মানুষের মনে রাখা উচিত যে, আমরা ভাল-মন্দ যা কিছু করব প্রতিটিরই ফলাফল ভোগ করতে হবে। অতএব আমাদের মন্দ কর্ম পরিহার করে ভাল কর্মে অগ্রগামী হওয়া উচিত।

إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ

📘 ৫ নং আয়াতের তাফসীর: অত্র আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা (نَعْبُدُ) ক্রিয়ার পূর্বে (إِيَّاكَ) কর্মপদকে নিয়ে এসেছেন সীমাবদ্ধতা বুঝানোর জন্য। অর্থাৎ আমরা একমাত্র আপনারই ইবাদত করি, অন্য কারো নয় এবং আপনার কাছেই সাহায্য চাই, অন্য কোন ব্যক্তি বা বস্তুর কাছে চাই না। এটাই হল তাওহীদে উলুহিয়্যাহ (توحيد الألوهية), ইবাদাতের ক্ষেত্রে আল্লাহ তা‘আলার এককত্ব যা মুসলিমদের ও মুশরিকদের মাঝে পার্থক্য করে। অধিকাংশ মুসলিমদের বিশ্বাস, আমরা আল্লাহ তা‘আলার ওপর বিশ্বাসী, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ওপর বিশ্বাসী; তাই আমরা মুসলিম। আর যারা আল্লাহ তা‘আলাকে বিশ্বাস করে না তারা কাফির। এ ধারণা ভুল, কারণ মক্কার তৎকালীন মুশরিকগণ বিশ্বাস করত আল্লাহ তা‘আলা আছেন, আল্লাহ তা‘আলা একজন, তিনি সৃষ্টিকর্তা, রিযিকদাতা, জীবন ও মৃত্যুর মালিক এবং তাদের ভাল-মন্দের মালিক ইত্যাদি। মূলত এটা হল তাওহীদে রুবুবিয়্যাহ (توحيد الربوبية) তারা স্রষ্টা হিসেবে আল্লাহ তা‘আলার এককত্বের ওপর বিশ্বাসী ছিল। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন: (وَلَئِنْ سَأَلْتَهُمْ مَنْ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ لَيَقُولُنَّ اللّٰهُ) “আর তুমি যদি তাদেরকে জিজ্ঞাসা কর, আসমান ও জমিন কে সৃষ্টি করেছেন? তবে তারা অবশ্যই বলবে ‘আল্লাহ’।”(সূরা যুমার ৩৯:৩৮) আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন: (وَلَئِنْ سَأَلْتَهُمْ مَنْ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَسَخَّرَ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لَيَقُولُنَّ اللّٰهُ) “যদি তুমি তাদেরকে জিজ্ঞাসা কর, ‘কে আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং চাঁদ ও সূর্যকে নিয়ন্ত্রণ করছেন?’তারা অবশ্যই বলবে, ‘আল্লাহ’। (সূরা আনকাবুত ২৯:৬১) অনুরূপভাবে সূরা লুকমানের ২৫ নং আয়াতে ও সূরা যুখরুফের ৯ নং আয়াতে মুশরিকদের তাওহীদে রুবুবিয়্যাহর স্বীকৃতির কথা উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু যদি কোন কিছুর প্রয়োজন হতো তাহলে তারা মূর্তির কাছে ধরনা দিত, তাদের কাছে সাহায্য চাইত অর্থাৎ সরাসরি তাওহীদে উলুহিয়্যাহ বিশ্বাস করত না। তাই একজন ব্যক্তি যতক্ষণ না তাওহীদে উলুহিয়্যাহর (ইবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহ তা‘আলার এককত্বের) ওপর বিশ্বাস করতঃ আমল করবে ততক্ষণ পর্যন্ত সে মু’মিন হতে পারবে না। ইবাদতে আল্লাহ তা‘আলার এককত্ব মেনে নেয়া মাত্র ব্যক্তির চাওয়া পাওয়াসহ সকল ইবাদত একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার কাছেই হবে। আদেশ-নিষেধ ও বিধি-বিধান সবকিছু আল্লাহ তা‘আলারই মেনে চলবে এবং দু‘আ-প্রার্থনা, সিজদা, কুরবানী সবকিছু শুধুমাত্র আল্লাহ তা‘আলার জন্যই করবে। এ তাওহীদ না থাকলে সে আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া অন্য ব্যক্তি বা বস্তুর পূজা-উপাসনা করতে পারে, যেমন ছিল মক্কার মুশরিকদের অবস্থা। অনেকে ধারণা করে ইবাদত শুধু সালাত, সিয়াম, হাজ্জ, যাকাত, কালেমা ইত্যাদি। এরূপ ধারণা সঠিক নয় বরং ইবাদত হলো: প্রত্যেক প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য ঐ সকল কথা ও কাজ যা আল্লাহ তা‘আলা ভালবাসেন বা যা দ্বারা তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: (قُلْ إِنَّ صَلَاتِيْ وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلّٰهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ) “বল আমার সালাত, আমার কুরবানী, আমার জীবন ও আমার মরণ একমাত্র বিশ্বের প্রতিপালকের জন্য।”(সূরা আন‘আম ৬:১৬২) ইবাদতের ক্ষেত্রে তাওহীদ প্রতিষ্ঠা করার জন্যই আল্লাহ তা‘আলা যুগে যুগে বিভিন্ন জাতির কাছে নাবী ও রাসূল প্রেরণ করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: (وَلَقَدْ بَعَثْنَا فِي كُلِّ أُمَّةٍ رَّسُولًا أَنِ اعْبُدُوا اللّٰهَ وَاجْتَنِبُوا الطَّاغُوتَ) “আমি প্রত্যেক জাতির কাছে রাসূল প্রেরণ করেছি এ মর্মে যে, (তারা বলবে) তোমরা একমাত্র আল্লাহর ইবাদত কর এবং তাগূতকে বর্জন কর।”(সূরা নাহল ১৬:৩৬) আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন: (وَاِلٰی عَادٍ اَخَاھُمْ ھُوْدًاﺚ قَالَ یٰقَوْمِ اعْبُدُوا اللہَ مَا لَکُمْ مِّنْ اِلٰھٍ غَیْرُھ۫) “আদ জাতির নিকট তাদের ভ্রাতা হূদকে পাঠিয়েছিলাম। সে বলেছিল, ‘হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা শুধু আল্লাহর ইবাদত করো। তিনি ব্যতীত তোমাদের অন্য কোন সত্যিকার মা‘বূদ নেই।” (সূরা হূদ ১১:৫০) এরূপ সামূদ, সালেহ ও নূহসহ সকল নাবীদেরকে তাওহীদ বা আল্লাহ তা‘আলার এককত্ব প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব দিয়ে আল্লাহ তা‘আলা প্রেরণ করেছেন। আমাদের নাবী, সর্বশেষ নাবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর দাওয়াত ও শিক্ষাও ছিল সেরূপ। তিনি মক্কার মানুষদের যখন বললেন: قُوْلُوْا لَا إلٰهَ إِلَا اللہَ تُفْلِحُوْا ‘বল, আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত সত্যিকার কোন মা‘বূদ নেই, তোমরা সফল হবে।’(সহীহ ইবনু খুযাইমা হা: ১৫৯) এ দাওয়াত পাওয়ার সাথে সাথে নিকটের মানুষ দূর হয়ে গেল, বন্ধু শত্র“ হয়ে গেল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাহাবীদেরকে এ আকীদাহ ও আদর্শের ওপর গড়ে তুলেছেন। যেমন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ছোট বালক আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) কে বলেন: يَا غُلَامُ إِنِّي أُعَلِّمُكَ كَلِمَاتٍ احْفَظْ اللّٰهَ يَحْفَظْكَ احْفَظْ اللّٰهَ تَجِدْهُ تُجَاهَكَ إِذَا سَأَلْتَ فَاسْأَلْ اللّٰهَ وَإِذَا اسْتَعَنْتَ فَاسْتَعِنْ بِاللّٰهِ হে বৎস! আমি তোমাকে কিছু বাক্য শিক্ষা দেব। তুমি আল্লাহ তা‘আলার বিধানকে হেফাযত কর আল্লাহ তা‘আলা তোমাকে হেফাযত করবেন, তুমি আল্লাহ তা‘আলার বিধানকে হেফাযত কর (তাহলে) সর্বাবস্থায় তাঁকে পাবে। যখন কিছু চাবে তখন আল্লাহ তা‘আলার কাছেই চাবে, যখন সাহায্য চাবে তখন আল্লাহ তা‘আলার কাছেই সাহায্য চাবে। (তিরমিযী হা: ২৫১৬, মিশকাত হা: ৫৩০২, সহীহ)