Yunus • BN-TAFISR-FATHUL-MAJID
﴿ ۞ وَلَوْ يُعَجِّلُ ٱللَّهُ لِلنَّاسِ ٱلشَّرَّ ٱسْتِعْجَالَهُم بِٱلْخَيْرِ لَقُضِىَ إِلَيْهِمْ أَجَلُهُمْ ۖ فَنَذَرُ ٱلَّذِينَ لَا يَرْجُونَ لِقَآءَنَا فِى طُغْيَٰنِهِمْ يَعْمَهُونَ ﴾
“NOW IF GOD were to hasten for human beings the ill [which they deserve by their sinning] in the same manner as they [themselves] would hasten [the coming to them of what they consider to be] good, their end would indeed come forthwith! But We leave them alone [for a while] -all those who do not believe that they are destined to meet Us: [We leave them alone] in their overweening arrogance, blindly stumbling to and fro.”
১১ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দার প্রতি অনুগ্রহ এবং দয়া যে, তারা যেভাবে নাবী-রাসূলগণের কাছে শাস্তির ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করত যদি আল্লাহ তা‘আলা ঐ অনুপাতে তাদেরকে শাস্তি দিয়ে দিতেন তাহলে তারা সকলেই ধ্বংস হয়ে যেত। বরং আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে কিছু সময়ের জন্য অবকাশ দেন। যদি আল্লাহ তা‘আলা তাদের অপরাধের কারণে পাকড়াও করেন তাহলে পৃথিবীর বুকে তাদের কোন অস্তিত্বই থাকবে না। বরং আল্লাহ তা‘আলা সহনশীল। আর আল্লাহ তা‘আলা অত্র আয়াতের মাধ্যমে তাদেরকে বদ্দু‘আ করতে নিষেধ করছেন যে, তোমরা তোমাদের স্ত্রী-পরিজনদের ওপর তাড়াতাড়ি শাস্তি আসার ব্যাপারে বদ্দু‘আ করিও না। কেননা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: তোমরা নিজেদের ওপর, সন্তানের ওপর, সম্পদের ওপর বদ্দু‘আ কর না। কেননা তোমাদের বদদু‘আ এমন সময়ে যেন না হয় যে সময় আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে দু‘আ কবূল করা হয়, অতঃপর তিনি তোমাদের সে বদ্দু‘আ কবূল করেন। (সহীহ মুসলিম হা: ৩০০৯, আবূ দাঊদ হা: ১৫৩২) যেমন মানুষ অনেক সময় বিরক্তিবোধ করে স্ত্রী, সন্তান ও সম্পদকে বলে থাকে যে, তোমার ধ্বংস হোক বা তুমি মরে গেলেই ভাল হয় ইত্যাদি বদ্দু‘আ। আয়াত হতে শিক্ষনীয় বিষয়: ১. বান্দার প্রতি আল্লাহ তা‘আলার অনুগ্রহ। ২. অপরাধ করার সাথে সাথেই আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দাকে শাস্তি প্রদান করেন না। ৩. শাস্তির ব্যাপারে তাড়াতাড়ি করা যাবে না। ৪. কারো জন্য রাগের বশবতী হয়ে বদদু‘আ করা যাবে না ইত্যাদি।