Yunus • BN-TAFISR-FATHUL-MAJID
﴿ وَيَقُولُونَ لَوْلَآ أُنزِلَ عَلَيْهِ ءَايَةٌۭ مِّن رَّبِّهِۦ ۖ فَقُلْ إِنَّمَا ٱلْغَيْبُ لِلَّهِ فَٱنتَظِرُوٓا۟ إِنِّى مَعَكُم مِّنَ ٱلْمُنتَظِرِينَ ﴾
“NOW THEY [who deny the truth] are wont to ask, "Why has no miraculous sign ever been bestowed upon him from on high by his Sustainer?" Say, then: "God's alone is the knowledge of that which. is beyond the reach of human perception. Wait, then, [until His will becomes manifest:] verily, I shall wait with you!"”
২০ নং আয়াতের তাফসীর: অত্র আয়াত দ্বারা আল্লাহ তা‘আলা কাফিরদের একটি দাবীর কথা তুলে ধরেছেন যে, যখন মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ওপর কোন বিধান নাযিল করা হয় তখন তারা বলে: যদি তাকে নাবী হিসেবে প্রেরণই করা হয় তাহলে তাঁর ওপর তাঁর রবের পক্ষ থেকে সামূদ সম্প্রদায়ের ন্যায় উষ্ট্রী প্রেরণ করা হয় না কেন, এই সাফা পাহাড় স্বর্ণে পরিণত হয় না কেন, অথবা মক্কার পাহাড়গুলো অন্যত্র সরে যায় না কেন? মূলত তারা আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে বড় ধরনের মু‘জিযাহ কামনা করছে। কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা ভাল করেই জানেন যে, মু‘জিযাহ প্রকাশ করা হলে কে ঈমান আনবে আর কে ঈমান আনবে না। আল্লাহ তা‘আলা সকল বিষয়েই সক্ষম। যেমন আল্লাহ তা‘আলার বাণী: (تَبٰرَکَ الَّذِیْٓ اِنْ شَا۬ئَ جَعَلَ لَکَ خَیْرًا مِّنْ ذٰلِکَ جَنّٰتٍ تَجْرِیْ مِنْ تَحْتِھَا الْاَنْھٰرُﺫ وَیَجْعَلْ لَّکَ قُصُوْرًاﭙ بَلْ کَذَّبُوْا بِالسَّاعَةِ وَاَعْتَدْنَا لِمَنْ کَذَّبَ بِالسَّاعَةِ سَعِیْرًا) “কত মহান তিনি যিনি ইচ্ছা করলে তোমাকে দিতে পারেন এটা অপেক্ষা উৎকৃষ্টতর বস্তু উদ্যানসমূহ যার নিম্নদেশে নদী-নালাসমূহ প্রবাহিত হয় এবং তিনি দিতে পারেন তোমাকে প্রাসাদসমূহ! কিন্তু তারা কিয়ামতকে অস্বীকার করেছে আর যারা কিয়ামতকে অস্বীকার করে তাদের জন্য আমি প্রস্তুত রেখেছি জ্বলন্ত অগ্নি।” (সূরা ফুরকান ২৫:১০-১১) সুতরাং তিনি জানেন যে, মু‘জিযাহ প্রকাশ করা হলেও তা তাদের কোন উপকারে আসবে না। কক্ষনো তারা তাতে ঈমান আনবে না, যার কারণে আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে এই ধরনের মু‘জিযাহ প্রকাশ করে দেখান নি। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: (إِنَّ الَّذِيْنَ حَقَّتْ عَلَيْهِمْ كَلِمَتُ رَبِّكَ لَا يُؤْمِنُوْنَ) “নিশ্চয়ই যাদের বিরুদ্ধে তোমার প্রতিপালকের বাক্য সাব্যস্ত হয়ে গিয়েছে, তারা ঈমান আনবে না।” (সূরা ইউনুস ১০: ৯৬) আর দাবী অনুপাতে মুজিযাহ দেখানোর পরেও যদি কোন জাতি ঈমান না আনে তাহলে তাদেরকে সত্বর ধ্বংস করে দেয়া হবে। তাই আল্লাহ তা‘আলার হিকমত তাদের দাবী অনুপাতে মুজিযাহ না দিয়ে অবকাশ দিলেন, তারা অপেক্ষা করুক, অচিরেই বুঝতে পারবে সত্য প্রত্যাখ্যানের পরিণতি কত ভয়াবহ। আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়: ১. অদৃশ্যের জ্ঞান একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার নিকটই রয়েছে, অন্য কেউ তা জানে না। ২. আল্লাহ তা‘আলা ইচ্ছা করলে যেকোন ধরনের মু‘জিযাহ প্রকাশ করতে পারেন।