Yunus • BN-TAFISR-FATHUL-MAJID
﴿ وَمَا تَكُونُ فِى شَأْنٍۢ وَمَا تَتْلُوا۟ مِنْهُ مِن قُرْءَانٍۢ وَلَا تَعْمَلُونَ مِنْ عَمَلٍ إِلَّا كُنَّا عَلَيْكُمْ شُهُودًا إِذْ تُفِيضُونَ فِيهِ ۚ وَمَا يَعْزُبُ عَن رَّبِّكَ مِن مِّثْقَالِ ذَرَّةٍۢ فِى ٱلْأَرْضِ وَلَا فِى ٱلسَّمَآءِ وَلَآ أَصْغَرَ مِن ذَٰلِكَ وَلَآ أَكْبَرَ إِلَّا فِى كِتَٰبٍۢ مُّبِينٍ ﴾
“AND IN whatever condition thou mayest find thyself, [O Prophet,] and whatever discourse of this [divine writ] thou mayest be reciting, and whatever work you [all, O men,] may do -[remember that] We are your witness [from the moment] when you enter upon it: for, not even an atom's weight [of whatever there is] on earth or in heaven escapes thy Sustainer's knowledge; and neither is there anything smaller than that, or larger, but is recorded in [His] clear decree.”
৬১ নং আয়াতের তাফসীর: এই আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং মু’মিনদেরকে সম্বোধন করে বলছেন যে, তিনি সমস্ত সৃষ্টির অবস্থা সম্পর্কে অবগত আছেন এবং সর্বক্ষণ তিনি মানুষের সকল অবস্থা অবলোকন করছেন। আকাশ ও পৃথিবীর ছোট বড় কোন বস্তুই তাঁর নিকট লুক্কায়িত নয়। তিনি দৃশ্য, অদৃশ্য সবই জানেন। কারণ তাঁরই নিকট রয়েছে অদৃশ্যের চাবিকাঠি। আল্লাহ তা‘আলার বাণী: (وَعِنْدَه۫ مَفَاتِحُ الْغَيْبِ لَا يَعْلَمُهَآ إِلَّا هُوَ ط وَيَعْلَمُ مَا فِي الْبَرِّ وَالْبَحْرِ ط وَمَا تَسْقُطُ مِنْ وَّرَقَةٍ إِلَّا يَعْلَمُهَا وَلَا حَبَّةٍ فِيْ ظُلُمٰتِ الْأَرْضِ وَلَا رَطْبٍ وَّلَا يَابِسٍ إِلَّا فِيْ كِتٰبٍ مُّبِيْنٍ) “সকল গায়েবের চাবিকাঠি তাঁরই নিকট রয়েছে, তিনি ব্যতীত অন্য কেউ তা জানে না। জলে ও স্থলে যা কিছু আছে তা তিনিই অবগত, তাঁর অজ্ঞাতসারে একটি পাতাও পড়ে না। মাটির অন্ধকারে এমন কোন শস্যকণাও অঙ্কুরিত হয় না অথবা রসযুক্ত কিংবা শুষ্ক এমন কোন বস্তু নেই যা সুস্পষ্ট কিতাবে (লাওহে মাহফুজে) নেই।” (সূরা আনআম ৬:৫৯) জলে-স্থলে যা কিছু আছে তা তিনিই অবগত। তাঁর অজ্ঞাতসারে একটি পাতাও পড়ে না, মৃত্তিকার অন্ধকারে এমন কোন শষ্যকণা অথবা রসযুক্ত কিংবা শুষ্ক কোন বস্তু পড়ে না, যা সুস্পষ্ট কিতাবে নেই। তিনি রিযিকের যিম্মাদার ও দায়িত্বশীল। ভূপৃষ্ঠে বিচরণকারী সকল সৃষ্টি জীব মানুষ হোক বা জিন হোক, পশু হোক বা পক্ষীকুল হোক, মোট কথা তিনি সমুদয় প্রাণীকে তার প্রয়োজন মত খাদ্য দেন। সুতরাং যে আল্লাহ তা‘আলা সব কিছু দেখেন ও শোনেন তাঁকে ভয় করে চলা উচিত। কিছু বলার বা কিছু করার পূর্বে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, কেননা তিনি সব কিছুর হিসাব নেবেন। আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়: ১. আল্লাহ তা‘আলা সকল কিছু জানেন, তার নিকট কোন কিছু লুকায়িত থাকে না। ২. গায়েব একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাই জানেন অন্য কেউ নয়। ৩. সকল কিছুর রিযিকের মালিক একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা।