Hud • BN-TAFISR-FATHUL-MAJID
﴿ أَفَمَن كَانَ عَلَىٰ بَيِّنَةٍۢ مِّن رَّبِّهِۦ وَيَتْلُوهُ شَاهِدٌۭ مِّنْهُ وَمِن قَبْلِهِۦ كِتَٰبُ مُوسَىٰٓ إِمَامًۭا وَرَحْمَةً ۚ أُو۟لَٰٓئِكَ يُؤْمِنُونَ بِهِۦ ۚ وَمَن يَكْفُرْ بِهِۦ مِنَ ٱلْأَحْزَابِ فَٱلنَّارُ مَوْعِدُهُۥ ۚ فَلَا تَكُ فِى مِرْيَةٍۢ مِّنْهُ ۚ إِنَّهُ ٱلْحَقُّ مِن رَّبِّكَ وَلَٰكِنَّ أَكْثَرَ ٱلنَّاسِ لَا يُؤْمِنُونَ ﴾
“Can, then, [he who cares for no more than the life of this world be compared with] one who takes his stand on a clear evidence from his Sustainer, conveyed through [this] testimony from Him, as was the revelation vouchsafed to Moses aforetime-[a divine writ ordained by Him] to be a guidance and grace [unto man]? They [who understand this message-it is they alone who truly] believe in it; whereas for any of those who, leagued together [in common hostility], deny its truth - the fire shall be their appointed state [in the life to come]. And so, be not in doubt about this [revelation]: behold, it is the truth from thy Sustainer, even though most people will not believe in it.”
১৭ নং আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:: আল্লাহ তা‘আলা এখানে ঐ সকল মু’মিনদের অবস্থার বর্ণনা দিচ্ছেন যারা তাঁর সেই প্রকৃতির ওপর রয়েছে যার ওপর তিনি তাঁর বান্দাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। যারা মনে প্রাণে স্বীকার করে যে, আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই। অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন: (فَأَقِمْ وَجْهَكَ لِلدِّيْنِ حَنِيْفًا ط فِطْرَتَ اللّٰهِ الَّتِيْ فَطَرَ النَّاسَ عَلَيْهَا ط لَا تَبْدِيْلَ لِخَلْقِ اللّٰهِ ط ذٰلِكَ الدِّيْنُ الْقَيِّمُ) “অতএব তুমি একনিষ্ঠভাবে নিজেকে দীনের ওপর প্রতিষ্ঠিত রাখ; এটাই আল্লাহর ফিতরাত (প্রকৃতি) যার ওপর তিনি মানব সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহর সৃষ্টির কোন পরিবর্তন নেই। এটাই সরল-সঠিক দীন।” (সূরা রূম ৩০:৩০) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: সকল শিশু প্রকৃতির ওপর জন্ম গ্রহণ করে, অতঃপর তার পিতা-মাতা তাকে ইয়াহূদী , খ্রিস্টান, অগ্নিপূজক বানায়। (সহীহ বুখারী হা: ১৩৫৯) (وَيَتْلُوْهُ شَاهِدٌ مِّنْهُ) বলতে কুরআন অথবা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বুঝানো হয়েছে। যা সঠিক পথের দিকে আহ্বান করে। অনুরূপ মূসা (عليه السلام)-এর কিতাবও সত্যের দিকে পথ প্রদর্শন করত ও রহমতের কারণ বটে। এগুলো একজন মু’মিন ব্যক্তির ঈমানের ওপর সাক্ষী। সুতরাং সে একজন বিশ্বাসী বা ঈমানদার। আর সে সমস্ত দল তা ইয়াহূদী বা খ্রিস্টান, মাজূসী যাই হোক না কেন যারা এতে ঈমান আনবে না তারা নিঃসন্দেহে কাফির আর তারা জাহান্নামী। তাই একজন কাফির ও একজন মু’মিন সমান হতে পারে না। (فَلَا تَكُ فِيْ مِرْيَةٍ) আর আল্লাহ তা‘আলা এই কিতাব অবতীর্ণ করেছেন তাতে কোন সন্দেহ নেই এবং এই ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করা যাবে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: (ال۬مّ۬ تَنْزِیْلُ الْکِتٰبِ لَا رَیْبَ فِیْھِ مِنْ رَّبِّ الْعٰلَمِیْنَ) “আলিফ- লাম- মীম-; এ কিতাব বিশ্বজগতের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ, এতে কোন সন্দেহ নেই।” (সূরা সিজদাহ ৩২:১-২) (أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يُؤْمِنُوْنَ) অর্থাৎ অধিকাংশ মানুষ রয়েছে তাদেরকে যতই উপদেশ নসীহত করা হোক না কেন তারা উপদেশও গ্রহণ করবে না এবং ঈমানও আনবে না। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন: (وَمَآ أَكْثَرُ النَّاسِ وَلَوْ حَرَصْتَ بِمُؤْمِنِيْنَ) “তুমি যতই আকাক্সক্ষা কর না কেন, অধিকাংশ লোকই বিশ্বাসী নয়।” (সূরা ইউসূফ ১২:১০৩) সুতরাং তারা ঈমান আনবে না আর তাদেরই আবাসস্থল হবে জাহান্নাম। আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়: ১. মানুষ প্রকৃতপক্ষে ইসলামের ওপরই জন্ম গ্রহণ করে। ২. কুরআন আল্লাহ তা‘আলার কিতাব তাতে সন্দেহ পোষণ করা যাবে না। ৩. এক ধরনের লোক রয়েছে যারা উপদেশ শোনে বটে, কিন্তু ঈমান আনে না তাদের মত হওয়া যাবে না।