Hud • BN-TAFISR-FATHUL-MAJID
﴿ وَلَئِنْ أَخَّرْنَا عَنْهُمُ ٱلْعَذَابَ إِلَىٰٓ أُمَّةٍۢ مَّعْدُودَةٍۢ لَّيَقُولُنَّ مَا يَحْبِسُهُۥٓ ۗ أَلَا يَوْمَ يَأْتِيهِمْ لَيْسَ مَصْرُوفًا عَنْهُمْ وَحَاقَ بِهِم مَّا كَانُوا۟ بِهِۦ يَسْتَهْزِءُونَ ﴾
“And thus it is: if We defer their suffering until a time-limit set [by Us], they are sure to say, "What is preventing it [from coming now]?" Oh, verily, on the Day when it befalls them there will be nothing to avert it from them; and they shall be overwhelmed by the very thing which they were wont to deride.”
৮ নং আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:: উক্ত আয়াতে কাফির, মুশরিকদের একটি মন্দ অভ্যাসের কথা বর্ণনা করা হচ্ছে যে, আল্লাহ তা‘আলা বলেন: আমি যখন তাদের থেকে কোন শাস্তিকে কিছু দিন/সময় পিছিয়ে দেই তাহলে তারা আল্লাহ তা‘আলাকে দোষারোপ করে ও বলে যে, কিসে এই শাস্তিকে আটকে রেখেছে। আল্লাহ তা‘আলা শাস্তি দিতে অক্ষম। অথচ তারা জানে না যে, এই পিছিয়ে দেয়াটা তাদের প্রতি একটা অনুগ্রহ আর এই শাস্তি একদিন অবশ্যই আসবে। এই শাস্তি যখন আসবে তখন তা তাদের সকলকে গ্রাস করে নেবে, সকলকে ধ্বংস করে দেবে। কেউ তখন সেই শাস্তিকে প্রতিরোধ করতে পারবে না। সুতরাং শাস্তি পিছিয়ে দেয়ার ফলে ঠাট্টা-বিদ্রƒপ করা ঠিক নয়। আল্লাহ তা‘আলার শাস্তি যেকোন সময় আসতে পারে। আল্লাহ তা‘আলা তাতে অক্ষম নন; বরং তিনি তা দিতে সক্ষম। أمة শব্দটি পবিত্র কুরআনে একাধিক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন- (১) জাতি অর্থে আল্লাহ তা‘আলা বলেন: (وَلِكُلِّ أُمَّةٍ رَّسُوْلٌ) “প্রত্যেক জাতির জন্য (পাঠানো হয়েছে) একজন রাসূল।” (সূরা ইউনুস ১০:৪৭) (২) দল অর্থে আল্লাহ তা‘আলার বাণী: (وَلَمَّا وَرَدَ مَا۬ءَ مَدْيَنَ وَجَدَ عَلَيْهِ أُمَّةً مِّنَ النَّاسِ) “যখন সে মাদইয়ানের কূপের নিকট পৌঁছল, দেখল, একদল লোক।” (সূরা কাসাস-২৮:২৩) (৩) মতাদর্শ অর্থে আল্লাহ তা‘আলা বলেন: (إِنَّا وَجَدْنَآ اٰبَا۬ءَنَا عَلٰٓي أُمَّةٍ) “আমরা তো আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে পেয়েছি এক মতাদর্শের ওপর।” (সূরা যুখরুফ ৪৩:২৩) (৪) ইমাম অর্থে আল্লাহ তা‘আলা বলেন: (إِنَّ إِبْرٰهِيْمَ كَانَ أُمَّةً) “নিশ্চয়ই ইব্রাহীম ছিল এক ‘উম্মাত’।” (সূরা নাহল ১৬:১২০) আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়: ১. আল্লাহ তা‘আলা শাস্তি দ্রুতও দিতে পারেন বিলম্বেও দিতে পারেন। ২. আল্লাহ তা‘আলার শাস্তিকে প্রতিহত করার মত কেউ নেই।