slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير سورة إبراهيم

(Ibrahim) • المصدر: BN-TAFISR-FATHUL-MAJID

مَثَلُ الَّذِينَ كَفَرُوا بِرَبِّهِمْ ۖ أَعْمَالُهُمْ كَرَمَادٍ اشْتَدَّتْ بِهِ الرِّيحُ فِي يَوْمٍ عَاصِفٍ ۖ لَا يَقْدِرُونَ مِمَّا كَسَبُوا عَلَىٰ شَيْءٍ ۚ ذَٰلِكَ هُوَ الضَّلَالُ الْبَعِيدُ

📘 ১৮ নং আয়াতের তাফসীর: উক্ত আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা কাফিরদের সৎ আমলগুলোর একটি দৃষ্টান্ত পেশ করেছেন। প্রচণ্ড ঝড় এলে ছাই যেমন বাতাসের সাথে উড়ে যায় তেমনি কাফিরদের সৎ আমল যথা আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা, মেহমানদারী করা ও অন্যকে সহযোগিতা করা ইত্যাদি যা তারা করত কিয়ামতের ভয়াবহ দিনে তা কোন কাজে আসবে না, ছাইয়ের মত উড়ে যাবে। আল্লাহ তা‘আলার বাণী: (وَالَّذِیْنَ کَفَرُوْٓا اَعْمَالُھُمْ کَسَرَابٍۭ بِقِیْعَةٍ یَّحْسَبُھُ الظَّمْاٰنُ مَا۬ئًﺚ حثج اِذَا جَا۬ءَھ۫ لَمْ یَجِدْھُ شَیْئًا وَّوَجَدَ اللہَ عِنْدَھ۫ فَوَفّٰٿھُ حِسَابَھ۫ﺚ وَاللہُ سَرِیْعُ الْحِسَابِﭶﺫ)‏ “যারা কুফরী করে তাদের কর্ম মরুভূমির মরীচিকা সদৃশ, পিপাসার্ত যাকে পানি মনে করে থাকে, কিন্তু সে যখন সেখানে উপস্থিত হয় তখন কিছুই দেখতে পায় না। এবং সে পাবে সেথায় আল্লাহকে, অতঃপর তিনি তার কর্মফল পূর্ণ মাত্রায় দেবেন। আল্লাহ হিসেব গ্রহণে তৎপর।” (সূরা নূর ২৪:৩৯) অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন: (وَقَدِمْنَآ إِلٰي مَا عَمِلُوْا مِنْ عَمَلٍ فَجَعَلْنٰهُ هَبَا۬ءً مَّنْثُوْرًا )‏ “আমি তাদের কৃতকর্মের দিকে অগ্রসর হব, অতঃপর সেগুলোকে বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত করব।” (সূরা ফুরকান - ২৫:২৩) সুতরাং ঈমান বিহীন কোন আমল গ্রহণযোগ্য হবে না। তবে যারা বলেন, কাফির অবস্থায় সৎ আমল যেমন কাজে আসে না তেমনি মু’মিন অবস্থায় গুনাহ করলে ক্ষতি হয়না। এটা ভুল ও ভ্রান্ত চিন্তা চেতনা, কারণ মু’মিন অবস্থায় গুনাহ করলে ঈমানের ক্ষতি হয় তা কুরআন ও সুন্নাহ দ্বারা সুস্পষ্ট। আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়: ১. ঈমান বিহীন সৎ আমল কোন কাজে আসবে না। ২. আল্লাহ তা‘আলার বিধানের সাথে কুফরী করা যাবে না। আর যদি কুফরী করা হয় তাহলে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে।

قُلْ لِعِبَادِيَ الَّذِينَ آمَنُوا يُقِيمُوا الصَّلَاةَ وَيُنْفِقُوا مِمَّا رَزَقْنَاهُمْ سِرًّا وَعَلَانِيَةً مِنْ قَبْلِ أَنْ يَأْتِيَ يَوْمٌ لَا بَيْعٌ فِيهِ وَلَا خِلَالٌ

📘 ৩১ নং আয়াতের তাফসীর: অত্র আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মাধ্যমে মু’মিন বান্দাদেরকে আদেশ করছেন, তারা যেন সালাত আদায় করে, গোপনে ও প্রকাশ্যে আল্লাহ তা‘আলার পথে ব্যয় করে। এ ব্যয় এর মাঝে যাকাত, সাদকাহ ও অন্যান্য নফল দান অন্তর্ভুক্ত। এসব আমল সেদিন আগমনের আগেই করতে বলা হয়েছে, যেদিন কোন ক্রয়-বিক্রয় থাকবে না এবং থাকবে না কোন বন্ধুত্ব। অর্থাৎ কিয়ামত দেবসের পূর্বেই। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: (يٰٓأَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْآ أَنْفِقُوْا مِمَّا رَزَقْنٰكُمْ مِّنْ قَبْلِ أَنْ يَّأْتِيَ يَوْمٌ لَّا بَيْعٌ فِيْهِ وَلَا خُلَّةٌ وَّلَا شَفَاعَةٌ ط وَالْكٰفِرُوْنَ هُمُ الظّٰلِمُوْنَ ) “হে ঈমানদারগণ! আমি তোমাদেরকে যে রিযিক দান করেছি তা হতে তোমরা ব্যয় কর এমন এক দিন আসার আগে যেদিন কোন বেচা-কেনা, বন্ধুত্ব এবং সুপারিশ কাজে আসবে না। মূলত কাফিররাই অত্যাচারী।” (সূরা বাক্বারাহ ২:২৫৪) সেদিন কেউ কারো কোন উপকারও করতে পারবেনা। এ সর্ম্পকে আল্লাহ তা‘আলা বলেন: (وَاتَّقُوْا يَوْمًا لَّا تَجْزِيْ نَفْسٌ عَنْ نَّفْسٍ شَيْئًا وَّلَا يُقْبَلُ مِنْهَا عَدْلٌ وَّلَا تَنْفَعُهَا شَفَاعَةٌ وَّلَا هُمْ يُنْصَرُوْنَ) “আর তোমরা এমন এক দিনকে ভয় কর যেদিন কোন ব্যক্তি কোন ব্যক্তি হতে কিছু মাত্র উপকৃত হবে না এবং কারও নিকট হতে বিনিময় গৃহীত হবে না, কারও শাফা‘আত (সুপারিশ) কাজে লাগবে না এবং তারা সাহায্য প্রাপ্তও হবে না।” (সূরা বাক্বারাহ ২:১২৩) আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন: (فَالْيَوْمَ لَا يُؤْخَذُ مِنْكُمْ فِدْيَةٌ وَّلَا مِنَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا) “আজ তোমাদের নিকট হতে কোন মুক্তিপণ নেয়া হবে না এবং কাফিরদের নিকট হতেও নয়। ” (সূরা হাদীদ ৫৭:১৫) অত্র আয়াতে মূলত দান করার মহত্ত্ব বুঝানো হয়েছে, সে দান অবশ্যই কিয়ামত সংঘটিত হবার পূর্বেই হতে হবে, কারণ যখন নির্ধারিত সময় চলে আসবে তখন শুধু দান-সাদাকা নয় কোন প্রকার সৎ আমলই গ্রহণ করা হবে না। তাই আমাদের উচিত যাবতীয় ভাল কাজ মৃত্যুর পূর্বেই করা। কেননা মৃত্যুর পর ভাল মন্দ কোন কাজ করার সুযোগ থাকেব না। আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়: ১. কিয়ামতের দিন মানুষের সর্ম্পক ছিন্ন হয়ে যাবে, তবে ঈমান ও তাকওয়ার সম্পর্ক বহাল থাকবে। ২. আল্লাহ তা‘আলা মানুষের প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সকল বিষয় সম্পর্কে জানেন। ৩. দুনিয়া আমল করার জায়গা আর আখিরাত প্রতিদান গ্রহণের জায়গা, আখিরাত আমলের জায়গা নয়।

وَمَا أَرْسَلْنَا مِنْ رَسُولٍ إِلَّا بِلِسَانِ قَوْمِهِ لِيُبَيِّنَ لَهُمْ ۖ فَيُضِلُّ اللَّهُ مَنْ يَشَاءُ وَيَهْدِي مَنْ يَشَاءُ ۚ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ

📘 ৪ নং আয়াতের তাফসীর: অত্র আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা বর্ণনা করেছেন যে, তিনি সকল রাসূলকে তাদের স্বজাতির ভাষায় প্রেরণ করেছেন। যাতে উম্মাতের কাছে দীনের দাওয়াত দিতে কোন প্রকার জটিলতা সৃষ্টি না হয়, বুঝাতে কোন প্রকার কষ্টের সম্মুখীন হতে না হয়। কারণ রাসূল যদি এক ভাষাভাষী হন আর যাদের কাছে তাঁকে প্রেরণ করা হয়েছে তারা অন্য ভাষাভাষী হয় তাহলে যে উদ্দেশ্যে রাসূল প্রেরণ করা হয়েছে তা হাসিল হবে না। রাসূল প্রেরণের উদ্দেশ্যই হল, তিনি তাদের কাছে দীনের বিধানাবলী সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরবেন তারা বুঝে সে অনুপাতে জীবন যাপন করবে। কিন্তু মানুষ যদি রাসূলের কথাই না বুঝে, আর মানুষের সমস্যা বুঝে যদি সমাধান না দিতে পারেন তাহলে রাসূল প্রেরণের উদ্দেশ্যই পূরণ হবে না। সুতরাং যে এলাকায় যে ভাষার প্রচলন সে এলাকার জন্য সে ভাষাভাষী ব্যক্তিকেই মনোনীত রাসূল হিসেবে প্রেরণ করা হয়েছে। আমাদের রাসূল তো আরবি ভাষাভাষী ছিলেন কিন্তু তিনি তো আরবদের রাসূল নন, তিনি সারা জাহানের রাসূল (সূরা আ‘রাফ ৭:১৫৮) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন প্রত্যেক জাতির কাছে তাদের স্বভাষায় রাসূল প্রেরণ করা হয়েছে, আমাকে প্রত্যেক লাল, কালো অর্থাৎ সারা পৃথিবীবাসীর জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। (সহীহ মুসলিম হা: ৫২১) তাহলে আমরা কি করব? আমরা কি মানুষের কাছে দাওয়াত দেয়ার সময় আরবিতে দাওয়াত দেব, আরবিতে ওয়াজ-নসিহত করব, আরবিতে জুমু‘আর খুৎবা পড়ব না মাতৃভাষায় করব? উত্তর অত্র আয়াতেই আল্লাহ তা‘আলা বলে দিয়েছেন। রাসূল প্রেরণের উদ্দেশ্যই হল মানুষের কাছে দীনের কথা সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরা। সুতরাং যে জাতির নিকট যে ভাষায় ব্যক্ত করলে বুঝতে পারবে তাদের কাছে সে ভাষায় ব্যক্ত করা উচিত। এর মাঝে জুমু‘আর খুৎবাও শামিল, কারণ জুমু‘আর খুৎবা হল একটি দাওয়াত, ওয়াজ এবং দীনের বিধি বিধান বর্ণনা করার অন্যতম মাধ্যম। এখানে যদি আরবিতে বলা হয় তাহলে ওয়াজ নসিহতের কোন উদ্দেশ্যই ঠিক থাকবে না? অতএব জুমু‘আর খুৎবাও রাসূলের পদ্ধতিতে মানুষের বোধগম্য মাতৃভাষায় প্রদান করতে হবে। (فَيُضِلُّ اللّٰهُ مَنْ يَّشَا۬ءُ) অর্থাৎ রাসূলদের দাওয়াত পাওয়া সত্ত্বেও সবাই মু’মিন-মুসলিম হবে না, বরং আল্লাহ তা‘আলা যাকে ইচ্ছা করবেন এবং যাকে তাওফীক দেবেন সেই কেবল হিদায়াত পাবে, অন্য কেউ নয়। এ সম্পর্কে অত্র সূরার প্রথম আয়াতে আলোচনা করা হয়েছে। আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়: ১. প্রত্যেক রাসূলকে স্বগোত্রীয় ভাষায় প্রেরণ করা হয়েছে। ২. জুমু‘আর খুৎবা মানুষ যে ভাষায় দিলে বুঝতে পারে সে ভাষাতেই হতে হবে।

وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا مُوسَىٰ بِآيَاتِنَا أَنْ أَخْرِجْ قَوْمَكَ مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ وَذَكِّرْهُمْ بِأَيَّامِ اللَّهِ ۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَاتٍ لِكُلِّ صَبَّارٍ شَكُورٍ

📘 ৫ নং আয়াতের তাফসীর: অত্র আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দাওয়াত দেয়ার প্রতি উৎসাহী করণার্থে মূসা (عليه السلام)-এর কথা নিয়ে এসেছেন। মূসা (عليه السلام)-কে আল্লাহ তা‘আলা অনেক নিদর্শন, মু‘জিযাহ ও দলীল-প্রমাণসহ বানী ইসরাঈলের কাছে প্রেরণ করেছেন তাদেরকে কুফর, গোমরাহ ও অজ্ঞতার অন্ধকার থেকে বের করে ঈমান ও জ্ঞানের আলোর দিকে নিয়ে আসার জন্য, অনুরূপ নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কেও সারা পৃথিবীর জন্য প্রেরণ করেছেন যাতে তিনি মানুষকে কুফর ও গোমরাহীর পথ থেকে ঈমান ও জ্ঞানের আলোর দিকে নিয়ে আসতে পারেন। তাই নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নির্ভয়ে আল্লাহ তা‘আলার পথে মানুষকে আহ্বান করেছেন, আল্লাহ তা‘আলা তাকে হিফাযত করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: (يٰٓأَيُّهَا الرَّسُوْلُ بَلِّغْ مَآ أُنْزِلَ إِلَيْكَ مِنْ رَّبِّكَ ط وَإِنْ لَّمْ تَفْعَلْ فَمَا بَلَّغْتَ رِسَالَتَه۫ ط وَاللّٰهُ يَعْصِمُكَ مِنَ النَّاسِ ط إِنَّ اللّٰهَ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْكٰفِرِيْنَ) “হে রাসূল! তোমার প্রতিপালকের নিকট হতে তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তা প্রচার কর; যদি না কর তবে তুমি তাঁর রিসালাত প্রচার করলে না। আল্লাহ তোমাকে মানুষ হতে রক্ষা করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ কাফির সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না।” (সূরা মায়িদা ৫:৬৭) (أَيّٰمِ اللّٰهِ) ‘আল্লাহর দিবসগুলো’ ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন: এর অর্থ হল আল্লাহ তা‘আলার নেয়ামতসমূহ। অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা বানী ইসরাঈলদেরকে যে সকল নেয়ামত দান করেছেন সেসব নেয়ামত। আর এগুলো মূলত অনুধাবন করে তারা, যারা অধিক ধৈর্যশীল এবং যারা অধিক কৃতজ্ঞ, তারা ব্যতীত অন্যরা এটা বুঝে না এবং উপদেশও গ্রহণ করে না। বরং তারা উপদেশ গ্রহণ করার পরিবর্তে বিমুখ হয়ে যায়। ধৈর্য ও কৃতজ্ঞতা দুটি মহৎ গুণ; যার ওপর নির্ভর করে ঈমান, এজন্য এখানে এ দুটি গুণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ শব্দ দুটি অতিশয়োক্তিরূপে এসেছে। صَبَّارٍ অর্থ অধিক ধৈর্যশীল, شَكُوْر অর্থ অধিক কৃতজ্ঞ। কৃতজ্ঞার পূর্বে ধৈর্যের উল্লেখ করার কারণ হল কৃতজ্ঞতা ধৈর্যের ফলাফল। যাদের মাঝে এ দুটি গুণ রয়েছে, তারা সকল ক্ষেত্রেই সফলকাম হয়। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: মু’মিনদের ব্যাপারটাই আশ্চর্যজনক। এটা মু’মিন ছাড়া অন্য কারো ক্ষেত্রে নয়। যদি কোন ভাল কিছু পায় তাহলে আল্লাহ তা‘আলার শুকরিয়া আদায় করে, এটা তার জন্য কল্যাণ, আর যদি খারাপ কিছুতে আক্রান্ত হয় তাহলে ধৈর্য ধারণ করে, এটাও তার জন্য কল্যাণ। (সহীহ মুসলিম, মুসনাদে আহমাদ হা: ১৮৯৩৪) আয়াতের শিক্ষা: ১. ছোটদের দ্বারাও কখনো বড়দের জন্য দৃষ্টান্ত পেশ করা যায়। ২. রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পূর্ববর্তী নাবী-রাসূলদের মত নবুওয়াতের পূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। ৩. বিপদাপদে ধৈর্য ধারণ করা একটি মহৎ গুণ।

هَٰذَا بَلَاغٌ لِلنَّاسِ وَلِيُنْذَرُوا بِهِ وَلِيَعْلَمُوا أَنَّمَا هُوَ إِلَٰهٌ وَاحِدٌ وَلِيَذَّكَّرَ أُولُو الْأَلْبَابِ

📘 ৫২ নং আয়াতের তাফসীর: هٰذَا بَلٰغٌ বার্তা- বলতে কুরআনকে বুঝানো হয়েছে, অর্থাৎ এ কুরআন মানুষের জন্য বার্তা, যদি কুরআনের বার্তা শুনে ঈমান আনে তাহলে কুরআন তার জন্য সুসংবাদ দিবে, আর যদি বার্তা শুনে মুখ ফিরিয়ে নেয় তাহলে কুরআন তাকে জাহান্নামের বিষয়ে সতর্ক করবে, তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। সুতরাং এ কুরআন দিয়ে অবাধ্যদেরকে আল্লাহ তা‘আলার শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করা হবে। কুরআন নাযিল করার অন্যতম আরো হিকমত হল যে, মানুষ যাতে জেনে নিতে পারে আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া সত্য কোন মা‘বূদ নেই। কুরআনে এ ব্যাপারে সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করা হয়েছে এবং যাতে বুদ্ধিমানগণ এ কুরআন থেকে উপদেশ গ্রহণ করতে পারে। প্রথম হিকমতের দিকে ইঙ্গিত করে আল্লাহ তা‘আলা বলেন: (كِتٰبٌ أُحْكِمَتْ اٰيٰتُه۪ ثُمَّ فُصِّلَتْ مِنْ لَّدُنْ حَكِيْمٍ خَبِيْرٍ لا أَلَّا تَعْبُدُوْآ إِلَّا اللّٰهَ) ‏ “এটা এমন গ্রন্থ যার আয়াতগুলো সুদৃঢ়, অতঃপর বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হয়েছে প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞের পক্ষ থেকে। তোমরা আল্লাহ ব্যতীত অন্যের ইবাদত করবে না।” (সূর হূদ ১১:১-২) দ্বিতীয় হিকমতের দিকে ইঙ্গিত করে আল্লাহ তা‘আলা বলেন: (كِتٰبٌ أَنْزَلْنٰهُ إِلَيْكَ مُبَارَكٌ لِّيَدَّبَّرُوْآ اٰيٰتِه۪ وَلِيَتَذَكَّرَ أُولُوا الْأَلْبَابِ)‏ “(এ কুরআন) একটি বরকতময় কিতাব, আমি তা তোমার প্রতি নাযিল করেছি যেন মানুষ এর আয়াতসমূহ অনুধাবন করে এবং জ্ঞানবান লোকেরা উপদেশ গ্রহণ করে।” (সূরা স্ব-দ ৩৮:২৯) সুতরাং যারা কুরআন থেকে শিক্ষা নেয় তারাই প্রকৃত জ্ঞানী তাই বলতে পারি জ্ঞানী হওয়ার মানদণ্ড হল কুরআনকে গ্রহণ করা। যার মাঝে কুরআনের জ্ঞান নেই সে প্রকৃত জ্ঞানী নয়। আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে কুরআন থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রকৃত জ্ঞানী হওয়ার তাওফীক দান করুন। আমীন! আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়: ১. কুরআন মাজীদ মানবজাতির জন্য একটি সতর্কবার্তা এবং জ্ঞানী লোকদের জন্য উপদেশবাণী। ২. আল্লাহ তা‘আলাই সত্যিকার মা‘বূদ বা ইবাদতের হকদার।