slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris slot qris bokep indo
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير الآية 71 من سورة سُورَةُ النَّحۡلِ

An-Nahl • BN-TAFISR-FATHUL-MAJID

﴿ وَٱللَّهُ فَضَّلَ بَعْضَكُمْ عَلَىٰ بَعْضٍۢ فِى ٱلرِّزْقِ ۚ فَمَا ٱلَّذِينَ فُضِّلُوا۟ بِرَآدِّى رِزْقِهِمْ عَلَىٰ مَا مَلَكَتْ أَيْمَٰنُهُمْ فَهُمْ فِيهِ سَوَآءٌ ۚ أَفَبِنِعْمَةِ ٱللَّهِ يَجْحَدُونَ ﴾

“And on some of you God has bestowed more abundant means of sustenance than on others: and yet, they who are more abundantly favoured are [often] unwilling to share their sustenance with those whom their right hands possess, so that they [all] might be equal in this respect. Will they, then, God's blessings [thus] deny?”

📝 التفسير:

৭১ নং আয়াতের তাফসীর: যারা আল্লাহ তা‘আলার সাথে অংশী স্থাপন করে তাদের জন্য একটি বাস্তব বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। রিযিকের ক্ষেত্রে আল্লাহ তা‘আলা সব মানুষকে সমান করেননি। কাউকে অঢেল সম্পদ দিয়ে ধনী বানিয়েছেন, কাউকে সম্পদ কম দিয়ে দরিদ্র বানিয়েছেন। কাউকে রাজত্ব দিয়েছেন, কাউকে রাজত্ব দেননি, কাউকে সুস্থ শরীর ও উত্তম কাঠামো দিয়েছেন, কাউকে পঙ্গু বা বিকলাঙ্গ করেছেন। এভাবে বিভিন্ন রিযিক দিয়ে একজনকে অন্যজনের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদা দান করেছেন। যারা ধনী তারা কি গরীবদেরকে নিজেদের ধন-সম্পদে শরীক বানাতে পছন্দ করে? যারা মালিক তারা কি দাসদেরকে নিজেদের সম্পদ ও রাজত্বে শরীক বানাতে পছন্দ করে? যারা সুস্থ ও সকল ত্র“টিমুক্ত তারা কি পাগল ও বিকলাঙ্গ লোকদেরকে নিজেদের পরিবারে অংশীদার বানাতে পছন্দ করে? না, কেউ এসব পছন্দ করে না। সুতরাং মানুষ সবাই মাখলুক হওয়া সত্ত্বেও যদি এরূপ সাধারণ বিষয়ে শরীক বানাতে অপছন্দ করে তাহলে কিভাবে স্রষ্টার সাথে সৃষ্টিকে শরীক বানাও? এটা কি স্রষ্টা পছন্দ করবেন? সুতরাং আল্লাহ তা‘আলা সকল শরীক থেকে মুক্ত ও পবিত্র। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: (ضَرَبَ لَكُمْ مَّثَلًا مِّنْ أَنْفُسِكُمْ ط هَلْ لَّكُمْ مِّنْ مَّا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ مِّنْ شُرَكَا۬ءَ فِيْ مَا رَزَقْنٰكُمْ فَأَنْتُمْ فِيْهِ سَوَا۬ءٌ تَخَافُوْنَهُمْ كَخِيْفَتِكُمْ أَنْفُسَكُمْ) “আল্লাহ তোমাদের জন্য তোমাদের নিজেদের মধ্য থেকেই একটি দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন: আমি তোমাদেরকে যে রিযিক দান করেছি, তোমাদের অধিকারভুক্ত দাস-দাসীদের কেউ কি তাতে অংশীদার, যার ফলে তোমরা ও তারা সমান? তোমরা কি তাদেরকে সেরূপ ভয় কর, যেরূপ তোমরা নিজেদের লোককে ভয় কর?” (সূরা রূম-৩০:২৮) এ আয়াতে আরেকটি বিষয়ের প্রতিবাদ করা হচ্ছে। তা হল যারা বিশ্বাস করে সমাজের সবাই সমান থাকবে, কেউ ধনী হবে কেউ গরীব হবে এমন হতে পারবে না। অর্থাৎ সমাজতন্ত্র। তাদের এরূপ দাবী ও বিশ্বাস গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ আর্থিকভাবে সবাই সমান হলে কেউ কাউকে পরওয়া করবে না, কারো কাজ কেউ করে দেবে না, কারো অধীনস্ত কেউ মেনে নেবে না। মানুষের জীবনযাপন দুর্বিসহ হয়ে যাবে। জমিনে ফেতনা-ফাসাদ সৃষ্টি হবে। তাই আল্লাহ তা‘আলা বলেন: (وَلَوْلَآ أَنْ يَّكُوْنَ النَّاسُ أُمَّةً وَّاحِدَةً لَّجَعَلْنَا لِمَنْ يَّكْفُرُ بِالرَّحْمٰنِ لِبُيُوْتِهِمْ سُقُفًا مِّنْ فِضَّةٍ وَّمَعَارِجَ عَلَيْهَا يَظْهَرُوْنَ)‏ “(সত্য অস্বীকারে) মানুষ এক উম্মতে পরিণত হয়ে পড়বে, এই আশঙ্কা না থাকলে দয়াময় আল্লাহকে যারা অস্বীকার করে, তাদেরকে আমি দিতাম তাদের গৃহের জন্য রৌপ্য নির্মিত ছাদ ও সিঁড়ি যাতে তারা আরোহণ করে।” (সূরা যুখরুফ ৪৩:৩৩) (أَفَبِنِعْمَةِ اللّٰهِ يَجْحَدُوْنَ) অর্থাৎ এসব আল্লাহ তা‘আলার নেয়ামতকে অস্বীকার করার কোন সুযোগ আছে কি? আল্লাহ তা‘আলা তিরস্কারের সাথে বলছেন: আল্লাহ তা‘আলার নেয়ামতকে কুফরী ও অবাধ্য কাজে ব্যবহার করা এবং নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা কুফরী করার শামিল। অতএব মানুষ নিজের জন্য যা পছন্দ করে না তা আল্লাহ তা‘আলার জন্য সাব্যস্ত করা খুবই শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়: ১. রিযিকের ক্ষেত্রে মানুষের মাঝে তারতম্য আল্লাহ তা‘আলা প্রদত্ত নিয়ম। ২. সমাজতন্ত্রের দাবী ও কর্মসূচি ইসলাম সমর্থন করে না।