slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris slot qris bokep indo
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير الآية 1 من سورة سُورَةُ الإِسۡرَاءِ

Al-Israa • BN-TAFISR-FATHUL-MAJID

﴿ بِسْمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ سُبْحَٰنَ ٱلَّذِىٓ أَسْرَىٰ بِعَبْدِهِۦ لَيْلًۭا مِّنَ ٱلْمَسْجِدِ ٱلْحَرَامِ إِلَى ٱلْمَسْجِدِ ٱلْأَقْصَا ٱلَّذِى بَٰرَكْنَا حَوْلَهُۥ لِنُرِيَهُۥ مِنْ ءَايَٰتِنَآ ۚ إِنَّهُۥ هُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلْبَصِيرُ ﴾

“LIMITLESS in His glory is He who transported His servant by night from the Inviolable House of Worship [at Mecca] to the Remote House of Worship [, at Jerusalem] - the environs of which We had blessed -so that We might show him some of Our symbols: for, verily, He alone is all-hearing, all-seeing.”

📝 التفسير:

নামকরণ: উক্ত সূরাতে ‘বানী ইসরাঈল’-এর সম্পর্কে আলোচনা থাকার কারণে এ নামে নামকরণ করা হয়েছে। একে ‘সূরাতুস সুবহান’-ও বলা হয়। কেননা সূরার শুরুতে ‘সুবহান’ শব্দের উল্লেখ রয়েছে। আবার একে ‘সূরা ইসরা’-ও বলা হয়। যা অত্র সূরার প্রথম আয়াতে উল্লেখ রয়েছে। ইবনু মাসউদ (রাঃ) নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করে বলেন: সূরা কাহফ, মারইয়াম এবং বানী ইসরাঈল হল সে পুরাতন সূরাগুলোর অন্তর্ভুক্ত যেগুলো মক্কায় প্রথম প্রথম নাযিল হয় এবং যেগুলো আমার পুরাতন হিফযকৃত সূরা। (সহীহ বুখারী হা: ৪৯৯৪) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূরা বানী ইসরাঈল এবং সূরা যুমার তেলাওয়াত না করে ঘুমাতেন না। (তিরমিযী হা: ৩৪০৫, সহীহ) সূরা বানী ইসরাঈল মক্কায় অবতীর্ণ একটি গুরুত্বপূর্ণ সূরা, সূরার শুরুতে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অন্যতম একটি বড় মু‘জিযাহ ইসরা ও মি‘রাজের আলোচনা করা হয়েছে। পূর্ববর্তী উম্মাত বানী ইসরাঈলদের বিবরণ, কুরআনের মর্যাদা, মানুষের আমল লিপিবদ্ধকরণ, যারা কেবল দুনিয়ার জন্য আমল করে তাদের পরিণতি, পিতা-মাতার সাথে সদাচরণের নির্দেশ এবং ৩১-৩৮ নং আয়াত পর্যন্ত কয়েকটি বিধি-বিধান নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সূরার শেষের দিকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মর্যাদা, রূহ সম্পর্কে ইয়াহূদীদের উত্তর, মক্কার মুশরিকদের দাবী খণ্ডন, সর্বশেষ আল্লাহ তা‘আলার একত্ব ও গুণাবলীর কথা বলে ইতি করা হয়েছে। ১ নং আয়াতের তাফসীর: سُبْحَانَ শব্দটি ক্রিয়ামূল, অর্থ হল انزه الله تنزيهاً অর্থাৎ আমি সকল দোষ-ত্র“টি থেকে আল্লাহ তা‘আলাকে পবিত্র ও মহান ঘোষণা করছি। সাধারণত সুবহানাল্লাহ এর ব্যবহার তখন হয় যখন অতীব কোন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার উল্লেখ করা হয়। উদ্দেশ্য হল বাহ্যিক উপায় উপকরণের দিক দিয়ে মানুষের কাছে এ ঘটনা অসম্ভব মনে হলেও আল্লাহ তা‘আলার কাছে কোন কঠিন ব্যাপার নয়। কেননা তিনি কোন উপায় উপকরণের মুখাপেক্ষী নন। তিনি কোন কাজ করার ইচ্ছা করলে ‘হও’ বললে হয়ে যায়। সুতরাং সকল অক্ষমতা, দুর্বলতা ও প্রতিবন্ধকতা থেকে আল্লাহ তা‘আলা র পবিত্রতা বর্ণনা করছি। ইসরা ও মি‘রাজের পরিচয়: ইসরা অর্থ রাতের বেলা ভ্রমণ করা। পরে لَيْلًا উল্লেখ করে রাতের স্বল্পতার কথা পরিস্কার করা হয়েছে। আর এর জন্যই لَيْلًا শব্দকে অনির্দিষ্ট নিয়ে আসা হয়েছে। অর্থাৎ রাতের এক অংশে বা সামান্য সময়ে। চল্লিশ রাতের এ সুদীর্ঘ সফর করতে সম্পূর্ণ রাত লাগেনি বরং রাতের এক সমান্য অংশে সম্পন্ন হয়ে গেছে। ইসলামের পরিভাষায় নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বিশেষ মু‘জিযাহস্বরূপ তাঁকে মাসজিদে হারাম এর চত্বর থেকে মাসজিদে আকসা পর্যন্ত রাত্রিকালে জিবরীলের সাথে বিশেষ বাহনে জাগ্রতাবস্থায় যে ভ্রমণ করানো হয়, তাকে ইসরা বলা হয়। আর মি‘রাজ হল ঊর্ধ্বগমনের মাধ্যম, যা ঊর্ধ্বগমন অর্থেও ব্যবহৃত হয়। ইসলামী পরিভাষায় নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাসজিদে আকসা হতে সপ্ত আকাশ ও তদুর্ধ্বে স্ব-শরীরে জাগ্রতাবস্থায় বিভিন্ন নিদর্শন পরিদর্শন করার যে মু‘জিযাহ লাভ করেন তাকেই মি‘রাজ বলা হয়। (শরহু আকীদাহ তাহাবীয়্যাহ ২২৩ পৃ:) ইসরা ও মি‘রাজ স্বশরীরে জাগ্রত অবস্থায় হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা কুরআনে بِعَبْدِه۪ শব্দটির প্রয়োগ করেছেন আর بِعَبْدِه۪ দ্বারা শরীর ও রূহ উভয়টিই অন্তর্ভুক্ত করে। শুধু রূহ নয় বা শুধু শরীর নয়। ইবনু হাজার আসকালানী (রহঃ) বলেন: নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নুবওয়াত লাভের পর স্ব-শরীরে আত্মা ও দেহসহ জাগ্রতাবস্থায় একই রাতে ইসরা ও মি‘রাজ সংঘটিত হয়। এটাই অধিকাংশ ইসলামী মনীষীদের মত এবং সঠিক মত। (ফাতহুল বারী ১৫/৪৪) মি‘রাজের দিন-তারিখ: মি‘রাজ একটি সত্য ও সুপ্রসিদ্ধ ঘটনা যা কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে প্রমাণিত। কিন্তু এ ইসরা ও মি‘রাজ সংঘটিত হওয়ার নির্দিষ্ট দিন-তারিখ কুরআন ও সুন্নায় উল্লেখ না থাকায় বিদ্বানগণ অনেক মতামত ব্যক্ত করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য দশটি মত আল ইয়ালা গ্রন্থের ৩৫৯-৩৬০, আর রাহীকুল মাখতুম প্রন্থের ১৩৭ এবং আল বিদাআল হাওলিয়া গ্রন্থের ২৭০-২৭৪ নং পৃষ্ঠায় আলোচনা করেছেন। এসব মতামত পর্যালোচনা করলে এটাই প্রমাণিত হয় যে, ইসরা ও মি‘রাজের নির্দিষ্ট কোন দিন-তারিখ জানা নেই। ইমাম ইবনু কাসীর বলেন: যে হাদীসে বলা হয়েছে ইসরা ও মি‘রাজ রজব মাসের ২৭শে রাত্রিতে সংঘটিত হয়েছে সে হাদীস সঠিক নয়। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়াহ ৩/১০৭) ইমাম আবূ শামাহ বলেন: অনেক আলোচক বলে থাকেন যে, ইসরা ও মি‘রাজ রজব মাসে সংঘটিত হয়েছে। মূলত এটা হাদীস শাস্ত্রের পণ্ডিতদের কাছে এক ডাহা মিথ্যা কথা। (আল বায়েস ফী ইনাকারিল বিদা পৃ: ৭১) ইমাম ইবনু তাইমিয়া (রহঃ) বলেন: মি‘রাজ সংঘটিত হওয়ার মাস, দশক বা নির্ধারিত দিনের কোন অকাট্য প্রমাণ নেই। (যাদুল মা‘আদ ১/৫৭) উক্ত আলোচনা থেকে প্রমাণিত হয় ইসরা ও মি‘রাজ ২৭শে রজব হয়নি। তাছাড়া সবার জানা মি‘রাজের রাতে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয হয়। খাদিজা (রাঃ) মারা যান নবুওয়াতের ১০ম বছর রমযান মাসে। তখনও পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয পাননি। তাহলে কিভাবে সে রমযান মাসের দু’মাস আগে রজব মাসে মি‘রাজ হতে পারে? সুতরাং প্রচলিত সমাজে শবে মি‘রাজ উদ্যাপনের রাত বা মাসটি কুরআন, সহীহ হাদীস ও বাস্তব ইতিহাসের তথ্য অনুযায়ী এক বানোয়াট মিথ্যা তারিখ ছাড়া কিছুই নয়। তাই এ রাতকে কেন্দ্র করে সালাতুর রাগাইব, বিশেষ সিয়াম পালন, রাত ভর সবাই মিলে ইবাদত করা, সিন্নী বিতরণ ও আনন্দ উৎসব করার কোন প্রমাণ নেই। এ সবই বিদআত। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজে, কোন সাহাবী ও তাবেয়ী এবং প্রসিদ্ধ ইমামগণ করেননি। ইসরা ও মি‘রাজের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মক্কায় প্রকাশ্যে ইসলামের দাওয়াতী কাজ শুরু করেন তখন কাফির-মুশরিকদের থেকে বিভিন্ন বাধা-বিপত্তি আসে এবং নানা নির্যাতনের শিকার হন। এতদসত্ত্বেও তিনি দাওয়াতী কাজ করেই যেতেন। নিজের দুঃখ-কষ্ট প্রিয়তমা স্ত্রী খাদিজার সাথে ভাগ করে নিতেন, সাথে দাওয়াতী কাজের বাধা-বিপত্তিতে সাহায্য করতেন প্রাণপ্রিয় চাচা আবূ তালেব। কিন্তু নবুওয়াতের দশম বছরের রজব মাসে চাচা আবূ তালেব মারা যান, চাচা আবূ তালেবের মৃত্যুর তিন দিন, মতান্তরে দু’মাস পর প্রিয়তমা স্ত্রী খাদিজাও মারা যান। এখন মক্কাতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আশ্রয়স্থল বলতে কোন জায়গা রইল না। (আর-রাহীকুল মাখতুম ) তাই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মনবেদনাকে দূর করে সান্ত্বনা দেয়ার জন্য আল্লাহ তা‘আলা মি‘রাজের ব্যবস্থা করেন। অন্য আরেকটি উদ্দেশ্য আল্লাহ তা‘আলা কুরআনেই উল্লেখ করেছেন, তা হল “যাতে আমি তাকে আমার কিছু নিদর্শন দেখাই।” এছাড়াও রাসূলের মু’জিযাহ, সালাত ফরযসহ বিভিন্ন বিধান প্রদানের উদ্দেশ্যেই মি‘রাজ হয়। মি‘রাজে বিভিন্ন নিদর্শন দর্শন: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাসজিদে হারামের চত্বর হতে বোরাক নামক (খচ্চর আর গাধার মাঝারি সাইজের) একটি প্রাণীতে আরোহণপূর্বক মাসজিদে আকসা (জেরুযালেম) পর্যন্ত রাতে আগমন করেন। সেখানে সকল নাবীদের ইমামতি করেন (এ ইমামতি যাওয়ার পথে করেছেন, না আসার পথে করেছেন তা নিয়ে ইমাম ইবনু কাসীর ও ইবনু হাজার আসকালানী ভিন্ন ভিন্ন মত দিয়েছেন)। অতঃপর সেখান থেকে ঊর্ধ্বাকাশে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রতি আকাশে অবস্থানরত নাবীর সাথে দেখা করেন এবং পরিচয় হয়। তারপর সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত পৌঁছেন। সেখানে আল্লাহ তা‘আলার সাথে কথা হয়, কিন্তু দেখা হয়নি। আয়েশা (রাঃ) বলেন: যে ব্যক্তি বলবে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহ তা‘আলাকে দেখেছেন সে মিথ্যা বলবে। (সহীহ বুখারী হা: ৪৮৫৫) তারপর জান্নাত জাহান্নাম দেখেন, অধিকাংশ জান্নাতী দরিদ্র গরীব লোকেরা আর অধিকাংশ জাহান্নামী মহিলা দেখতে পেলেন। এ আয়াতের তাফসীরে ঈমাম বুখারী (عليه السلام) তার সহীহুল বুখারী গ্রন্থে উল্লেখ করেন। আবু হুরাইরা < বলেন, মি‘রাজের রাত্রিতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট দুটো পাত্র পেশ করা হল। একটি ছিল মদের আর অপরটি ছিল দুধের। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উভয় পাত্র দেখলেন, অতঃপর দুধের পাত্রটি গ্রহণ করলেন। তখন জিবরীল (عليه السلام) বললেন: সকল প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার, যিনি আপনাকে সঠিক পথের হেদায়েত দিয়েছেন। যদি আপনি মদের পাত্র গ্রহণ করতেন তাহলে আপনার উম্মত বিভ্রান্ত হয়ে যেত। (সহীহ বুখারী: ৪৭০৯, সহীহ মুসলিম: ১৬৮-১৭২) অন্য একটি হাদীসে রয়েছে, “জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেন, যখন কুরাইশরা আমাকে মিথ্যাবাদী বলতে লাগল তখন আমি একটি পাথরের ওপর উঠে দাঁড়ালাম। আর আল্লাহ তা‘আলা আমার জন্য বাইতুল মাকদাস উন্মুক্ত করে দিলেন। আমি তা দেখছিলাম এবং তাঁর নিদর্শন সম্পর্কে তাদেরকে সংবাদ দিচ্ছিলাম।” (সহীহ বুখারী: ৪৭১০) এছাড়াও অনেক নিদর্শন রয়েছে যা বিস্তারিত হাদীস গ্রন্থে বিদ্যমান। (الَّذِيْ بَارَكْنَا حَوْلَه) এখানে বায়তুল মাকদাস এর মর্যাদা বর্ণনা করা হয়েছে যে, তার চতুর্দিক দিয়ে বরকতে ভরপুর। তা হল গাছ-গাছালি, নদ-নদী, ফল-মূল, শস্য ইত্যাদি। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, (وَنَجَّيْنٰهُ وَلُوْطًا إِلَي الْأَرْضِ الَّتِيْ بٰرَكْنَا فِيْهَا لِلْعٰلَمِيْنَ)‏ “এবং আমি তাকে ও লূতকে উদ্ধার করে নিয়ে গেলাম সে দেশে, যেথায় আমি কল্যাণ রেখেছি বিশ্ববাসীর জন্য। ”(সূরা আম্বিয়া ২১:৭১) আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, (وَلِسُلَيْمٰنَ الرِّيْحَ عَاصِفَةً تَجْرِيْ بِأَمْرِه۪ٓ إِلَي الْأَرْضِ الَّتِيْ بَارَكْنَا فِيْهَا ط وَكُنَّا بِكُلِّ شَيْءٍ عٰلِمِيْنَ) “এবং সুলায়মানের বশীভূত করে দিয়েছিলাম প্রচণ্ড বায়ূকে; সে বায়ু তার আদেশত্র“মে প্রবাহিত হতো সে দেশের দিকে যেখানে আমি কল্যাণ রেখেছি; প্রত্যেক বিষয় সম্পর্কে আমি সম্যক অবগত।” (সূরা আম্বিয়া ২১:৮১) সুতরাং প্রত্যেক মু’মিনের বিশ্বাস করতে হবে ইসরা ও মি‘রাজ সত্য, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ব-শরীরে হয়েছিল, কিন্তু কোন নির্দিষ্ট দিন-তারিখ জানা নেই। এ মি‘রাজকে কেন্দ্র করে কোন বিশেষ ইবাদত শরীয়তসম্মত নয়। তাই এসব থেকে বেঁচে থাকা কর্তব্য। আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়: ১. ইসরা ও মি‘রাজ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর একটি বড় মু‘জিযাহ। ২. মি‘রাজ স্বশরীরে ও জাগ্রত অবস্থায় হয়েছে । ৩. বায়তুল মাকদাস এর মর্যাদা সম্পর্কে অবগত হলাম। ৪. মি‘রাজের রাতে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহ তা‘আলার বড় বড় নিদর্শন দেখেছেন। ৫. মি‘রাজ এর অন্যতম শিক্ষা হল আল্লাহ তা‘আলা ঊর্ধ্বে রয়েছেন, তিনি স্বসত্ত্বায় সর্বত্র বিরাজমান নন। কেননা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঊর্ধ্বগমন ছাড়া পৃথিবীতে কখনো তাঁর কাছে যেতে পারেননি। ৬. রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মি‘রাজের রাতে আল্লাহ তা‘আলাকে স্বচক্ষে দেখেননি।