slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris slot qris bokep indo
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير الآية 125 من سورة سُورَةُ البَقَرَةِ

Al-Baqara • BN-TAFISR-FATHUL-MAJID

﴿ وَإِذْ جَعَلْنَا ٱلْبَيْتَ مَثَابَةًۭ لِّلنَّاسِ وَأَمْنًۭا وَٱتَّخِذُوا۟ مِن مَّقَامِ إِبْرَٰهِۦمَ مُصَلًّۭى ۖ وَعَهِدْنَآ إِلَىٰٓ إِبْرَٰهِۦمَ وَإِسْمَٰعِيلَ أَن طَهِّرَا بَيْتِىَ لِلطَّآئِفِينَ وَٱلْعَٰكِفِينَ وَٱلرُّكَّعِ ٱلسُّجُودِ ﴾

“AND LO! We made the Temple a goal to which people might repair again and again, and a sanctuary: take then, the place whereon Abraham once stood as your place of prayer." And thus did We command Abraham and Ishmael: "Purify My Temple for those who will walk around it, and those who will abide near it in meditation, and those who will bow down and prostrate themselves [in prayer]."”

📝 التفسير:

১২৫ নং আয়াতের তাফসীর: উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, তিনটি বিষয়ে আমার প্রতিপালক আমার সাথে একমত হয়েছেন। (তার মধ্যে ১টি হল: আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! যদি “মাকামে ইবরাহীম”কে সালাতের স্থান হিসেবে গ্রহণ করে নিতেন। তখন এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। (সহীহ বুখারী: ৪৪৮৩) এছাড়াও এ আয়াতের কয়েকটি শানে নুযূল পাওয়া যায়। (লুবাবুন নুকূল ফী আসবাবে নুযূল পৃঃ ৩০) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এমন একটি নিদর্শনের কথা তুলে ধরলেন যা ইবরাহীম (আঃ)-এর ইমামতের ওপর প্রমাণ বহন করে। তা হল বাইতুল্লাহ যা ইসলামের অন্যতম একটি রুকন। এ ঘরকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মানুষের প্রত্যাবর্তন স্থল বানিয়েছেন। মানুষ একবার আগমন করে পরিবারে ফিরে যাবে আবার আসবে। এরূপ বারবার মানুষের মন চাইবে আরো যাওয়ার। আরেকটি নিদর্শন হল এ ঘরকে নিরাপদ স্থান করেছেন। যত বড় অপরাধীই এখানে প্রবেশ করুক না কেন কোন প্রকার ঝগড়া, মারামারি, লুণ্ঠন এখানে করা যাবে না। এমনকি পশু পাখি ও বৃক্ষলতাও নিরাপদে থাকবে। জাহিলি যুগের মুশরিকরাও এ ঘরের সম্মান করত। ইসলাম এসে এ সম্মান আরো বৃদ্ধি করে দিয়েছে। ‘মাকামে ইবরাহীম’দ্বারা কোন্ জায়গাকে বোঝোনো হয়েছে এ নিয়ে অনেক বর্ণনা পাওয়া যায়। তন্মধ্যে প্রসিদ্ধ দু’টি বর্ণনা হল: ১. সে পাথর যার ওপর পা রেখে ইবরাহীম (আঃ) কাবা নির্মাণ করেছিলেন। (তাফসীর মুয়াসসার, পৃঃ ১৯) ২. হজ্জের সকল মাশ‘আর (স্থানসমূহ)। (তাফসীর সা‘দী পৃঃ ৪৬) তবে প্রথম মত-ই সঠিক। এ আয়াতটিকে দলীল হিসেবে গ্রহণ করে শিয়া ও বিদ‘আতী সম্প্রদায় বলে: ওলীদের কবরে সালাত আদায় করা যাবে। কারণ আল্লাহ তা‘আলা বরকত লাভের জন্য মুসল্লী ও হাজীদেরকে মাকামে ইবরাহীমে সালাত আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন । এ আয়াতকে ওলীদের কবরে সালাত আদায়ের সপক্ষে দলীল গ্রহণ করা প্রবৃত্তির মনগড়া চিন্তার অনুসরণ ছাড়া কিছুই নয়। কারণ মাকামে ইবরাহীম কোন কবর নয় এবং কবর সংশ্লিষ্ট কোন স্থানও নয়। বরং তা বাইতুল্লাহ সংশ্লিষ্ট স্থান। এ দৃষ্টিকোণ থেকে সে স্থানটি বরকতময়। অপরপক্ষে কোন ব্যক্তির কবর শরীয়তে বরকতময় বলে প্রমাণিত নয় এবং কবরকে কেন্দ্র করে সালাত বা অন্য কোন ইবাদতও শরীয়তসম্মত নয়। এমনকি কবরস্থানে সিজদা ও সালাত আদায় করলে আল্লাহ তা‘আলার লা‘নত প্রাপ্ত হবে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: ইয়াহূদ ও খ্রিস্টানরা তাদের নাবীদের কবরকে সিজদার স্থানে পরিণত করায় তাদের ওপর আল্লাহ তা‘আলার লা‘নত। (সহীহ বুখারী হা: ১৩৩০, সহীহ মুসলিম হা: ৫৩০) আল্লাহ তা‘আলা ইবরাহীম ও ইসমাঈল (আঃ)-কে ওয়াহী করেছেন এ ঘর অপবিত্রতা ও মূর্তি হতে পবিত্র রাখতে, যাতে সকল ইবাদত পালনে কোন প্রকার সমস্যার সম্মুখীন না হতে হয়। এখানে শুধু কাবা ঘর সীমাবদ্ধ নয় বরং সকল মাসজিদ এ নির্দেশের শামিল। তাই প্রত্যেক মাসজিদ সকল প্রকার অপবিত্রতা ও মূর্তি থেকে পবিত্র রাখা ঈমানি দায়িত্ব। আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়: ১. ইবরাহীম ও ইসমাঈল (আঃ)-এর মর্যাদা জানা গেল। ২. উমার (রাঃ)-এর মর্যাদা জানতে পারলাম। ৩. সকল মাসজিদকে অপবিত্রতা ও মূর্তি হতে পবিত্র রাখতে হবে। ৪. কোন কবরে সালাত আদায় করা যাবে না, কবরবাসী যদিও নাবী বা ওলী হয়ে থাকেন।