slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris slot qris bokep indo
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير الآية 177 من سورة سُورَةُ البَقَرَةِ

Al-Baqara • BN-TAFISR-FATHUL-MAJID

﴿ ۞ لَّيْسَ ٱلْبِرَّ أَن تُوَلُّوا۟ وُجُوهَكُمْ قِبَلَ ٱلْمَشْرِقِ وَٱلْمَغْرِبِ وَلَٰكِنَّ ٱلْبِرَّ مَنْ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَٱلْيَوْمِ ٱلْءَاخِرِ وَٱلْمَلَٰٓئِكَةِ وَٱلْكِتَٰبِ وَٱلنَّبِيِّۦنَ وَءَاتَى ٱلْمَالَ عَلَىٰ حُبِّهِۦ ذَوِى ٱلْقُرْبَىٰ وَٱلْيَتَٰمَىٰ وَٱلْمَسَٰكِينَ وَٱبْنَ ٱلسَّبِيلِ وَٱلسَّآئِلِينَ وَفِى ٱلرِّقَابِ وَأَقَامَ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتَى ٱلزَّكَوٰةَ وَٱلْمُوفُونَ بِعَهْدِهِمْ إِذَا عَٰهَدُوا۟ ۖ وَٱلصَّٰبِرِينَ فِى ٱلْبَأْسَآءِ وَٱلضَّرَّآءِ وَحِينَ ٱلْبَأْسِ ۗ أُو۟لَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ صَدَقُوا۟ ۖ وَأُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْمُتَّقُونَ ﴾

“True piety does not consist in turning your faces towards the east or the west - but truly pious is he who believes in God, and the Last Day; and the angels, and revelation, and the prophets; and spends his substance - however much he himself may cherish - it - upon his near of kin, and the orphans, and the needy, and the wayfarer, and the beggars, and for the freeing of human beings from bondage; and is constant in prayer, and renders the purifying dues; and [truly pious are] they who keep their promises whenever they promise, and are patient in misfortune and hardship and in time of peril: it is they that have proved themselves true, and it is they, they who are conscious of God.”

📝 التفسير:

১৭৭ নং আয়াতের তাফসীর: অত্র আয়াত কেবলা সংক্রান্ত ব্যাপারেই অবতীর্ণ হয়েছে। একদিকে ইয়াহূদীরা নিজেদের কেবলার (বাইতুল মুকাদ্দাসের পশ্চিম দিক) অন্যদিকে খ্রিস্টানরা তাদের কেবলার (বাইতুল মুকাদ্দাসের পূর্বদিক)-কে খুব গুরুত্ব দিচ্ছিল এবং তা নিয়ে গর্বও করছিল। আর অপরদিকে মুসলিমদের কেবলার পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে তারা বিভিন্ন রকমের মন্তব্য করছিল। যার কারণে অনেক মুসলিমও অনেক সময় আন্তরিক দুঃখবোধ করত। সে জন্য আল্লাহ তা‘আলা বলেন: প্রকৃতপক্ষে পশ্চিম ও পূর্ব দিকে মুখ করাটাই নেকীর কাজ নয়- যদি আল্লাহ তা‘আলার নির্দেশ ও শরীয়ত অনুপাতে না হয়। মূলতঃ আল্লাহ তা‘আলা পরীক্ষা করেন কে তাঁর আনুগত্য করতঃ আদেশ বাস্তবায়ন করে, তিনি যেদিকেই মুখ ফিরিয়ে সালাত আদায় করতে বলেন সেদিকেই মুখ ফিরিয়ে সালাত আদায় করে এবং তিনি যা শরীয়ত সিদ্ধ করে দেন তার একান্ত অনুগত হয়। আর এটাই হল সৎ কাজ, তাকওয়া ও পরিপূর্ণ ঈমান। তারপর আল্লাহ তা‘আলা মৌলিক আকীদা ও আমলের বর্ণনা দিয়েছেন। আর তা হলো: আল্লাহ তা‘আলার প্রতি ঈমান আনা অর্থাৎ তাঁর রুবুবিয়্যাহ, উলুহিয়্যার এককত্বে বিশ্বাস রাখা ও সেই অনুপাতে আমল করা এবং কুরআন ও সহীহ সুন্নাহয় বর্ণিত নাম ও গুণাবলীর কোন পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও বিকৃতি করা হতে মুক্ত থেকে বিশ্বাস রাখা। পরকাল তথা মৃত্যু, পুনরুত্থান, হাশর, হিসাব, জান্নাত ও জাহান্নামে বিশ্বাস করা, ফেরেশতারা আল্লাহ তা‘আলার মাখলুক ও তারা আল্লাহ তা‘আলার আদেশ বাস্তবায়নে সর্বদা রত বিশ্বাস রাখা। সকল আসমানী কিতাবের ওপর ঈমান আনা। নাবীদের মধ্যে কোন পার্থক্য না করে সকলের প্রতি ঈমান আনা। সম্পদের প্রতি আসক্তি থাকা সত্ত্বেও ব্যয় করা। হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞাসা করা হল কোন্ দান উত্তম? তিনি বললেন: أَنْ تَصَدَّقَ وَأَنْتَ صَحِيحٌ شَحِيحٌ تَخْشَي الْفَقْرَ وَتَأْمُلُ الْغِنَي সর্বোত্তম দান হল- তুমি সুস্থ ও মালের প্রতি আসক্ত অবস্থায় দান করবে। যখন তুমি ধনী হবার আশা কর এবং দরিদ্র হবার আশঙ্কা কর। (সহীহ বুখারী হা: ১৪১৯) ইয়াতীম হল- প্রাপ্ত বয়স্ক হবার পূর্বে যার পিতা মারা গেছে। মা মারা গেলে শরীয়ত তাকে ইয়াতীম বলে না। الْبَأْسَآءِ দ্বারা দরিদ্র এবং অতিব অভাবী বুঝানো হয়েছে। الضَرآءَ দ্বারা ক্ষতি ও রোগ আর البأس দ্বারা যুদ্ধ ও তার কাঠিন্যতাকে বুঝানো হয়েছে। এ তিন অবস্থায় ধৈর্য ধরা। অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলার বিধানাবলীর ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকা বড় কঠিন কাজ, তাই এ তিনটি অবস্থাকে বিশেষভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়: ১. নিজে যা নেকী বা গুনাহর কাজ মনে করব তাই নেকী বা গুনাহর কাজ এমনটা নয়। বরং নেকী ও গুনাহর কাজ কোন্টি তা কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর আলোকে সাব্যস্ত হবে। ২. ঈমানের রুকনের পরিচয় জানতে পারলাম। ৩. সালাত ও যাকাতের গুরুত্বের বর্ণনা জানলাম। ৪. অঙ্গীকার পূরণের গুরুত্ব অপরিসীম। ৫. তাক্বওয়া হল ইবাদতের মূল।