slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris slot qris bokep indo
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير الآية 198 من سورة سُورَةُ البَقَرَةِ

Al-Baqara • BN-TAFISR-FATHUL-MAJID

﴿ لَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَن تَبْتَغُوا۟ فَضْلًۭا مِّن رَّبِّكُمْ ۚ فَإِذَآ أَفَضْتُم مِّنْ عَرَفَٰتٍۢ فَٱذْكُرُوا۟ ٱللَّهَ عِندَ ٱلْمَشْعَرِ ٱلْحَرَامِ ۖ وَٱذْكُرُوهُ كَمَا هَدَىٰكُمْ وَإِن كُنتُم مِّن قَبْلِهِۦ لَمِنَ ٱلضَّآلِّينَ ﴾

“[However,] you will be committing no sin if [during the pilgrimage] you seek to obtain any bounty from your Sustainer. And when you surge downward in multitudes from `Arafat, remember God at the holy place, and remember Him as the One who guided you after you had indeed been lost on your way;”

📝 التفسير:

১৯৮ নং আয়াতের তাফসীর: শানে নুযূল: ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, জাহিলী যুগে উকায, মুজিন্না এবং যুল-মাজায নামে বাজার ছিল। (ইসলাম গ্রহণের পর হজ্জের সময়) এসব বাজারে ব্যবসা করা সাহাবীগণ পাপের কাজ মনে করল। ফলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তারা জিজ্ঞাসা করল। তখন এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। (সহীহ বুখারী হা: ৪৫১৯) এছাড়াও এ আয়াতের কয়েকটি শানে নুযূল পাওয়া যায়। এটি সবচয়ে বেশি সহীহ। (তাফসীর ইবনে কাসীর ১ম খণ্ড, পৃঃ ৫২০) আয়াতে فضل ‘অনুগ্রহ’অর্থ ব্যবসায় বাণিজ্য। যেমন সূরা জুমু‘আর ১০ নং আয়াতে এসেছে। হজ্জের মওসুমে ব্যবসা-বাণিজ্য করা বৈধ। তবে অবশ্যই যেন শুধু ব্যবসার উদ্দেশ্যে হজ্জে গমন করা না হয়। বরং এটা হল অতিরিক্ত কাজ। অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা হজ্জের অন্যতম একটি রুকনের কথা তুলে ধরেছেন। তা হল ৯ই যুলহজ্জ সূর্যাস্তের পর হাজীগণ আরাফা থেকে প্রত্যাবর্তন করে মুযদালিফায় চলে আসবে এবং তথায় তাসবীহ তাহলীল ও দু‘আ করবে। এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: আরাফায় অবস্থানই হল মূল হজ্জ। যে ব্যক্তি ফজর হবার পূর্বেই আরাফায় অবস্থান পেল সে হজ্জ পেল। (সহীহ ইবুন খুযাইমা হা: ২৮২২, তিরমিযী হা: ৮৮৯, সহীহ) আরাফার ময়দানে সূর্যাস্ত হবে কিন্তু মাগরিবের সালাত পড়া যাবে না, বরং মুযদালিফায় পৌঁছে মাগরিবের তিন রাকাত ও এশার দু‘ রাকাত (কসর) এক সাথে এক আযানে ও দু’ইকামাতে পড়বে। মুযদালিফাকে ‘মাশআরে হারাম’বলা হয়। কেননা এটা হারামের অন্তর্ভুক্ত। এখানে হাজীদেরকে আল্লাহ তা‘আলার যিকিরের প্রতি গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। ফজরের সালাত অন্ধকার থাকতেই অর্থাৎ প্রথম ওয়াক্তে আদায় করে যিকিরে ব্যস্ত থাকবে, অতঃপর ফর্সা হলে সূর্যোদয়ের পূর্বে মিনা অভিমুখে যাত্রা করবে। হাজীগণ আরাফার দিন রোযা রাখবে না, যারা হজ্জ করতে যাবে না তারা রোযা রাখবে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: আরাফার দিন রোযা রাখলে আল্লাহ তা‘আলা পূর্বের ও পরের এক বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। (সহীহ মুসলিম হা: ১১৬২) অন্য হাদীসে এসেছে: সর্বোত্তম দু‘আ আরাফার দু‘আ, আর সর্বোত্তম কথা আমি যা বলেছি ও আমার পূর্বের নাবীরা যা বলেছেন: لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللّٰهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلٰي كُلِّ شَئءٍ قَدِيرٌ আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া সত্যিকার কোন মা‘বূদ নেই, তিনি একক তাঁর কোন শরীক নেই, তাঁরই জন্য রাজত্ব, তাঁর জন্য সকল প্রশংসা এবং তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান। (সহীহ মুসলিম হা: ১১৬২) অতএব আল্লাহ তা‘আলাকে স্মরণ কর যেমন তিনি তোমাদের স্মরণ করতে বলেছেন। আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়: ১. মুযদালিফায় অবস্থান/রাত্রিযাপন ওয়াজিব। ২. হজ্জ আদায়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সুন্নাতের প্রতি খেয়াল রাখা আবশ্যক। ৩. আল্লাহ তা‘আলার আনুগত্য ও যিকিরের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করা উচিত। ৪. হজ্জ করতে গিয়ে ব্যবসা করা বৈধ তবে শুধু ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যেই যাওয়া যাবেনা।