Al-Baqara • BN-TAFISR-FATHUL-MAJID
﴿ كُتِبَ عَلَيْكُمُ ٱلْقِتَالُ وَهُوَ كُرْهٌۭ لَّكُمْ ۖ وَعَسَىٰٓ أَن تَكْرَهُوا۟ شَيْـًۭٔا وَهُوَ خَيْرٌۭ لَّكُمْ ۖ وَعَسَىٰٓ أَن تُحِبُّوا۟ شَيْـًۭٔا وَهُوَ شَرٌّۭ لَّكُمْ ۗ وَٱللَّهُ يَعْلَمُ وَأَنتُمْ لَا تَعْلَمُونَ ﴾
“FIGHTING is ordained for you, even though it be hateful to you; but it may well be that you hate a thing the while it is good for you, and it may well be that you love a thing the while it is bad for you: and God knows, whereas you do not know.”
২১৬ নং আয়াতের তাফসীর: অত্র আয়াত দ্বারা আল্লাহ তা‘আলা জিহাদ ফরয করেছেন। ইমাম জুহুরী (রহঃ) বলেন: প্রত্যেক ব্যক্তির ওপর জিহাদ ফরয। সে যুদ্ধ করুক বা বসে থাকুক। যে বসে থাকে তার কাছে যখন সাহায্য চাওয়া হয় তখন সাহায্য করবে, যখন সকলের সাথে ময়দানে বের হতে বলা হয়, তখন বের হবে আর বের হওয়ার যদি প্রয়োজন না থাকে তাহলে বসেই থাকবে। এজন্য রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: مَنْ مَاتَ وَلَمْ يَغْزُو، وَلَمْ يُحَدِّثْ نَفْسهُ بِالْغَزْوِ مَاتَ مِيتَةً جَاهِلِيَّةً যে ব্যক্তি মারা গেল কিন্তু যুদ্ধ করল না এবং যুদ্ধ করার বাসনাও মনে রাখল না সে জাহিলী যুগের মৃত্যু পেল। (সহীহ মুসলিম হা: ১৯১০) জিহাদ ফরয হওয়া সত্ত্বেও অপছন্দীয়। কারণ, তাতে কষ্ট ও জীবননাশ রয়েছে। কিন্তু এতে রয়েছে প্রভূত কল্যাণ। আল্লাহ তা‘আলা বলছেন: (فَاِنْ کَرِھْتُمُوْھُنَّ فَعَسٰٓی اَنْ تَکْرَھُوْا شَیْئًا وَّیَجْعَلَ اللہُ فِیْھِ خَیْرًا کَثِیْرًا) “কেননা হতে পারে তোমরা তাদেরকে অপছন্দ করছ অথচ আল্লাহ তাতে অনেক কল্যাণ নিহিত রেখেছেন।”। (সূরা নিসা ৪:১২) অনেক কল্যাণ হল- শত্র“দের ওপর জয় লাভ, দেশ বিজয়, গনীমত লাভসহ আরো অনেক কিছু। আর অনেক বস্তু পছন্দ কর তা হয়তো তোমাদের জন্য খারাপ। যেমন জিহাদে না গিয়ে ঘরে বসে থাকা, এর ফলে তোমাদের ওপর শত্র“রা জয়যুক্ত হবে এবং তোমাদেরকে লাঞ্ছনা ও অবমাননার শিকার হতে হবে। প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ তা‘আলাই ভাল জানেন কোনটি কল্যাণকর আর কোনটি অকল্যাণকর। আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়: ১. কিয়ামত পর্যন্ত জিহাদের বিধান বহাল থাকবে। ২. অজ্ঞতার কারণে মানুষ খারাপকে পছন্দ আর ভালকে অপছন্দ করে। ৩. আল্লাহ তা‘আলার সকল নির্দেশেই রয়েছে কল্যাণ। আর সকল নিষেধাজ্ঞাপূর্ণ কাজে রয়েছে অকল্যাণ।