slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris slot qris bokep indo
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير الآية 228 من سورة سُورَةُ البَقَرَةِ

Al-Baqara • BN-TAFISR-FATHUL-MAJID

﴿ وَٱلْمُطَلَّقَٰتُ يَتَرَبَّصْنَ بِأَنفُسِهِنَّ ثَلَٰثَةَ قُرُوٓءٍۢ ۚ وَلَا يَحِلُّ لَهُنَّ أَن يَكْتُمْنَ مَا خَلَقَ ٱللَّهُ فِىٓ أَرْحَامِهِنَّ إِن كُنَّ يُؤْمِنَّ بِٱللَّهِ وَٱلْيَوْمِ ٱلْءَاخِرِ ۚ وَبُعُولَتُهُنَّ أَحَقُّ بِرَدِّهِنَّ فِى ذَٰلِكَ إِنْ أَرَادُوٓا۟ إِصْلَٰحًۭا ۚ وَلَهُنَّ مِثْلُ ٱلَّذِى عَلَيْهِنَّ بِٱلْمَعْرُوفِ ۚ وَلِلرِّجَالِ عَلَيْهِنَّ دَرَجَةٌۭ ۗ وَٱللَّهُ عَزِيزٌ حَكِيمٌ ﴾

“And the divorced women shall undergo, without remarrying, a waiting-period of three monthly courses: for it is not lawful for them to conceal what God may have created in their wombs, if they believe in God and the Last Day. And during this period their husbands are fully entitled to take them back, if they desire reconciliation; but, in accordance with justice, the rights of the wives [with regard to their husbands] are equal to the [husbands'] rights with regard to them, although men have precedence over them [in this respect]. And God is almighty, wise.”

📝 التفسير:

২২৮ নং আয়াতের তাফসীর: অত্র আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা মানুষের বংশধারা সংরক্ষণের জন্য একটি সুন্দর বিধান দিয়েছেন। আর তা হল- যদি কোন স্ত্রীকে তার স্বামী তালাক দেয় তাহলে সে তিন তুহুর বা তিন ঋতু পর্যন্ত অপেক্ষা করবে, এর মাঝে অন্য স্বামীর সাথে বিবাহ বসবে না। যাতে এটা নিশ্চিত হয়ে যায় যে, তার গর্ভে কোন সন্তান আছে কিনা? কেননা যদি যাচাই-বাছাই না করে দ্বিতীয় স্বামীর সাথে বিবাহ বসে এমতাবস্থায় পূর্ব স্বামীর সন্তান তার গর্ভে, তাহলে সন্তান জন্ম নিল দ্বিতীয় স্বামীর ঘরে অথচ সন্তান প্রথম স্বামীর। এতে মানুষের বংশনামায় সমস্যা সৃষ্টি হবে। সন্তান হল পূর্ব স্বামীর আর পিতা বলে ডাকবে মায়ের দ্বিতীয় স্বামীকে যেন এমনটি না হয়, এ জন্য তিন ঋতু অপেক্ষা করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। قروء শব্দ দ্বারা দু’টি অর্থ নেয়া হয়েছে: ১. ঋতু। অতএব তিন ঋতু অতিক্রম না হলে অন্যত্র বিবাহ বৈধ হবে না। এটা ইমাম আবূ হানিফার মত। ২. তুহুর বা ঋতু পরবর্তী পবিত্রতার সময়। এটা অন্যান্য ইমামদের মত। প্রথমটাই বেশি সঠিক। তবে দু’টি মতই গ্রহণযোগ্য হতে পারে। (وَلَا يَحِلُّ لَهُنَّ أَنْ يَكْتُمْنَ) এ থেকে মাসিক ও গর্ভ উভয়টাই উদ্দেশ্য। মাসিক গোপন করার অর্থ হল তালাকের পর স্ত্রী বলবে, আমার একবার বা দু’বার মাসিক হয়েছে। আসলে তার তিন মাসিক পার হয়ে গেছে। এরূপ বলার কারণ হল, প্রথম স্বামীর কাছে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা। আর যদি ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা না থাকে তাহলে বলবে, আমার তিন মাসিক চলে গেছে। অথচ প্রকৃতপক্ষে এ রকম হয়নি যাতে স্বামী ফিরিয়ে নিতে না পারে। অনুরূপভাবে গর্ভে যা আছে তা গোপন করা বৈধ নয়। কারণ এতে বংশের সংমিশ্রণ ঘটে যায়। (وَبُعُولَتُهُنَّ أَحَقُّ بِرَدِّهِنَّ) “তবে তাদের স্বামীরা ঐ সময়ের মধ্যে (ইদ্দতের মধ্যে) তাদেরকে ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে অধিক হকদার” অর্থাৎ স্বামীর ফিরিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্য যদি সংকীর্ণতা সৃষ্টি করা না হয়, তাহলে তার ফিরিয়ে নেয়ার সম্পূর্ণ অধিকার আছে। স্ত্রীর অভিভাবকদের ঐ অধিকারে অন্তরায় সৃষ্টি করার অনুমতি নেই। (وَلَهُنَّ مِثْلُ الَّذِي عَلَيْهِنَّ) “মহিলাদের জন্যও ন্যায়সঙ্গত অধিকার রয়েছে যেমন তাদের ওপর পুরুষদের অধিকার রয়েছে” অর্থাৎ উভয়ের অধিকারগুলো একে অপরের মতই। আর এগুলো আদায় করার ব্যাপারে উভয়েই শরীয়ত কর্তৃক বাধ্য। তবে মহিলাদের ওপর পুরুষের বেশি মর্যাদা রয়েছে। যেমন গঠনশক্তি, জিহাদের অনুমতি, দ্বিগুণ ওয়ারিস, অভিভাবকত্ব ও নেতৃত্ব এবং তালাক দেয়া ও ফিরিয়ে নেয়ার অধিকার ইত্যাদির ব্যাপারে।