Al-Baqara • BN-TAFISR-FATHUL-MAJID
﴿ ٱللَّهُ وَلِىُّ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ يُخْرِجُهُم مِّنَ ٱلظُّلُمَٰتِ إِلَى ٱلنُّورِ ۖ وَٱلَّذِينَ كَفَرُوٓا۟ أَوْلِيَآؤُهُمُ ٱلطَّٰغُوتُ يُخْرِجُونَهُم مِّنَ ٱلنُّورِ إِلَى ٱلظُّلُمَٰتِ ۗ أُو۟لَٰٓئِكَ أَصْحَٰبُ ٱلنَّارِ ۖ هُمْ فِيهَا خَٰلِدُونَ ﴾
“God is near unto those who have faith, taking them out of deep darkness into the light - whereas near unto those who are bent on denying the truth are the powers of evil that take them out of the light into darkness deep: it is they who are destined for the fire, therein to abide.”
২৫৭ নং আয়াতের তাফসীর: পূর্বের আয়াত হল আসল ও মূলভিত্তি। আর এ আয়াত তার ফলাফল। যারা সকল প্রকার তাগুতকে বর্জন করে আল্লাহ তা‘আলার প্রতি ঈমান আনবে এবং ঈমানের ওপর বহাল থাকবে আল্লাহ তা‘আলা তাদের অভিভাবক। রাসূল ও মু’মিনগণ তাদের বন্ধু। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: (اِنَّمَا وَلِیُّکُمُ اللہُ وَرَسُوْلُھ۫ وَالَّذِیْنَ اٰمَنُوا الَّذِیْنَ یُقِیْمُوْنَ الصَّلٰوةَ وَیُؤْتُوْنَ الزَّکٰوةَ وَھُمْ رٰکِعُوْنَ) “তোমাদের বন্ধু তো আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও মু’মিনগণ- যারা বিনীত হয়ে সালাত কায়িম করে ও যাকাত দেয়।”(সূরা মায়িদাহ ৫:৫৫) আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন: (وَالْمُؤْمِنُونَ وَالْمُؤْمِنَاتُ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَآءُ بَعْضٍ) “মু’মিন নর ও মু’মিন নারী একে অপরের বন্ধু।”(সূরা তাওবা ৯:৭১) আল্লাহ তা‘আলা মু’মিনদেরকে অন্ধকার তথা কুফরী ও পথভ্রষ্টতা থেকে আলো তথা ইসলামের দিকে নিয়ে আসেন। যাদের অভিভাবক আল্লাহ তা‘আলা হবেন তাদের ফলাফল হল, তাদের কোন ভয় নেই, কোন দুশ্চিন্তা নেই। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: (أَلَآ إِنَّ أَوْلِيَآءَ اللّٰهِ لَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُوْنَ) “জেনে রাখো! আল্লাহর বন্ধুদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না।”(সূরা ইউনুস ১০:৬২) পক্ষান্তরে যারা কাফির তাদের অভিভাবক হল তাগুত। অর্থাৎ শয়তান এবং মানুষ ও জিনদের মধ্যে যারা শয়তান তারাও। এজন্য আল্লাহ তা‘আলা তাদের অভিভাকের সংখ্যা বুঝাতে বহুবচন ব্যবহার করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: (الَّذِينَ آمَنُوا يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللّٰهِ وَالَّذِينَ كَفَرُوا يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ الطَّاغُوتِ) “যারা মু’মিন তারা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করে এবং যারা কাফির তারা তাগূতের পথে যুদ্ধ করে।”(সূরা নিসা ৩:৭৬) যারা কাফির ও কাফিরদের অভিভাবক এবং বন্ধু সবাই জাহান্নামে চিরস্থায়ী থাকবে। আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়: ১. ঈমানদারদের স্বয়ং আল্লাহ তা‘আলা অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেছেন। ২. আল্লাহ তা‘আলার অভিভাবকত্ব পেতে হলে সকল প্রকার তাগুত বর্জন করে এক আল্লাহ তা‘আলার প্রতি ঈমান আনতে হবে, ঈমানের সাথে কুফর মিশ্রিত থাকলে হবে না। ২. কাফিরদের অভিভাবক শয়তান, মানুষ ও জিনরূপী শয়তান।