slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris slot qris bokep indo
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير الآية 41 من سورة سُورَةُ الحَجِّ

Al-Hajj • BN-TAFISR-FATHUL-MAJID

﴿ ٱلَّذِينَ إِن مَّكَّنَّٰهُمْ فِى ٱلْأَرْضِ أَقَامُوا۟ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتَوُا۟ ٱلزَّكَوٰةَ وَأَمَرُوا۟ بِٱلْمَعْرُوفِ وَنَهَوْا۟ عَنِ ٱلْمُنكَرِ ۗ وَلِلَّهِ عَٰقِبَةُ ٱلْأُمُورِ ﴾

“[well aware of] those who, [even] if We firmly establish them on earth, remain constant in prayer, and give in charity, and enjoin the doing of what is right and forbid the doing of what is wrong; but with God rests the final outcome of all events.”

📝 التفسير:

৪১ নং আয়াতের তাফসীর: মু’মিনদেরকে পৃথিবীতে আল্লাহ তা‘আলা প্রতিষ্ঠিত করলে তাদের ইসলামী রাষ্ট্রের যে মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হবে তা উক্ত আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে। মু’মিনরা খেলাফতের দায়িত্ব পেলে সর্ব প্রথম সালাত কায়েম করবে এবং সকল মুসলিমদেরকে সালাত আদায় করতে বাধ্য করবে। রাষ্ট্রের মধ্যে যাদের যাকাতের নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকবে তাদের থেকে যাকাত আদায় করে নির্দিষ্ট খাতে ব্যয় করবে এবং রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা ও আল্লাহ তা‘আলার সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য সৎ কাজের নির্দেশ করবে এবং অসৎ কাজ থেকে বাধা দিবে। এ যদি হয় একটি রাষ্ট্রের মূলমন্ত্র এবং দায়িত্বশীলদের প্রধান কর্তব্য তাহলে সে রাষ্ট্রে কোন অন্যায়-অবিচার, খুন-গুম, অশ্লীলতা-বেহায়াপনা, চুরি-ডাকাতি এবং দুর্নীতি থাকবেনা। কারণ সালাত মানুষকে অশ্লীলতা, অন্যায় কাজসহ যাবতীয় শরীয়ত গর্হিত কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার শিক্ষা দেয়। কোন নামাযী ব্যক্তি অন্যায় কাজে জড়িত হয় না, দুর্নীতি করে না, রাষ্ট্রের মাল আত্মসাৎ করে না। যাকাত আদায় হলে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সকল অপরাধ উঠে যাবে। আর এসব কাজে রাষ্ট্রীয় নির্দেশ না থাকলে অসৎ কাজে জড়িত হওয়া কার দুঃসাহস হবে? এরূপ শান্তিপূর্ণ ও আদর্শ রাষ্ট্র খেলাফতে রাশেদা ও প্রথম শতাব্দীর ইসলামী রাষ্ট্রগুলোতে লক্ষ্য করা গিয়েছিল। তাঁরা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ঐ সমস্ত উদ্দেশ্য সাধন করাকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। সে কারণে তাদের রাষ্ট্রে কোন অন্যায়, অবিচার ও দুর্নীতি লক্ষ্য করা যায়নি। এ যুগগুলোকে বলা হয় স্বর্ণযুগ। মানুষগুলো সোনার মানুষে পরিণত হয়েছিল, তাদের দুর্নীতি ধরার জন্য কমিশন গঠন করতে হয়নি, বিচার-ফায়সালার জন্য আলাদা কোন ট্র্যাইবুনাল গঠন করা হয়নি। প্রত্যেকেই আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করে স্বীয় দায়িত্ব পালন করেছেন। সুতরাং গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা ইত্যাদি যা কিছু রয়েছে কোন কিছ্ইু পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না, অরাজকতা দূর করতে পারবে না, যদি ইসলামের বিধানের দিকে সকলে ফিরে না আসে। আল্লাহ তা‘আলার বাণী: (وَلَوْ أَنَّ أَهْلَ الْقُرٰٓي اٰمَنُوْا وَاتَّقَوْا لَفَتَحْنَا عَلَيْهِمْ بَرَكٰتٍ مِّنَ السَّمَا۬ءِ وَالْأَرْضِ وَلٰكِنْ كَذَّبُوْا فَأَخَذْنٰهُمْ بِمَا كَانُوْا يَكْسِبُوْنَ)‏ “যদি সে সকল জনপদের অধিবাসী ঈমান আনত ও তাক্বওয়া অবলম্বন করত তবে আমি তাদের জন্য আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর কল্যাণ উন্মুক্ত করে দিতাম, কিন্তু তারা প্রত্যাখ্যান করেছিল; সুতরাং তাদের কৃতকর্মের জন্য তাদেরকে শাস্তি দিয়েছি।” (সূরা আ‘রাফ ৭:৯৬) অতএব প্রতিটি মুসলিম শাসকের উচিত হবে ইসলামের অনুশাসন মেনে রাষ্ট্র পরিচালনা করা, এতে দুনিয়াতে যেমন শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে, তেমনি সে শাসক নাগরিকের সৎ আমলের নেকীর অংশ পাবেন। আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়: ১. মুসলিম শাসকদের রাষ্ট্র পরিচালনার প্রধান দায়িত্বগুলো জানতে পারলাম। ২. যে দেশ বা এলাকার লোক ঈমান ও তাক্বওয়া অবলম্বন করবে তাদেরকে আকাশ ও জমিনের বরকত দেয়া হবে। ৩. দেশে সালাত কায়েম ও যাকাত প্রদান এবং ভাল কাজের আদেশ ও মন্দ কাজ হতে বাধা দিলে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে।