Al-Ankaboot • BN-TAFISR-FATHUL-MAJID
﴿ ٱتْلُ مَآ أُوحِىَ إِلَيْكَ مِنَ ٱلْكِتَٰبِ وَأَقِمِ ٱلصَّلَوٰةَ ۖ إِنَّ ٱلصَّلَوٰةَ تَنْهَىٰ عَنِ ٱلْفَحْشَآءِ وَٱلْمُنكَرِ ۗ وَلَذِكْرُ ٱللَّهِ أَكْبَرُ ۗ وَٱللَّهُ يَعْلَمُ مَا تَصْنَعُونَ ﴾
“CONVEY [unto others] whatever of this divine writ has been revealed unto thee, and be constant in prayer: for, behold, prayer restrains [man] from loathsome deeds and from all that runs counter to reason; and remembrance of God is indeed the greatest [good]. And God knows all that you do.”
৪৫ নং আয়াতের তাফসীর: (اُتْلُ مَآ أُوْحِيَ إِلَيْكَ مِنَ الْكِتٰبِ) আল্লাহ তা‘আলা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তাঁর ওপর অবতীর্ণ কিতাব কুরআনুল কারীম তেলাওয়াত করার নির্দেশ দিচ্ছেন। তেলাওয়াতের অর্থ হলন পাঠ করা, অর্থ অনুধাবন করা, যে সকল বিষয়ে সংবাদ দেয়া হয়েছে তা বিশ্বাস করা, কুরআনের হিদায়াত গ্রহণ করা, যা আদেশ করা হয়েছে তা পালন করা এবং যা থেকে নিষেধ করা হয়েছে তা থেকে বিরত থাকা। (তাফসীর সা‘দী) এ সম্পর্কে সূরা কাহফের ২৭ নং আয়াতে আলোচনা করা হয়েছে। (وَالْمُنْكَرِ...... وَأَقِمِ الصَّلٰوةَ) আল্লাহ তা‘আলা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সম্বোধন করে সকলকে সালাত আদায়ের নির্দেশ প্রদান করেছেন। অতঃপর সালাত আদায় করার ফযীলত বর্ণনা করে বলেন: সালাত ব্যক্তিকে অশ্লীল ও মন্দ কার্য হতে রক্ষা করে। الْفَحْشَا۬ءِ হলন এমন অশ্লীল গুনাহের কাজ যা মানুষের কুপ্রবৃত্তি কামনা করে। وَالْمُنْكَرِ হল- ঐসকল গুনাহ যা ধর্মীয় ও স্বাভাবিক জ্ঞান অপছন্দ করে। সালাত এ উভয়টি হতে বাধা দেয়ার কারণ হলন যে ব্যক্তি সালাতের রুকন, শর্তসমূহ যথাযথভাবে ঠিক রেখে আদায় করে তখন সালাত তার অন্তরকে আলোকিত ও পবিত্র করে। ফলে সে ব্যক্তির ঈমান ও তাক্বওয়া এবং ভাল কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়িয়ে দেয়। অপর দিকে খারাপ কাজের প্রতি আগ্রহ কমিয়ে দেয়। সুতরাং সালাত আদায় করার জন্য জরুরী হচ্ছে রুকন-আরকানসহ শর্তাবলী সর্বদা সংরক্ষন করা। (وَلَذِكْرُ اللّٰهِ أَكْبَرُ) ‘আল্লাহ তা‘আলার স্মরণই তো সর্বশ্রেষ্ঠ’ আব্দুল্লাহ বিন রবী‘আহ বলেন: ইবনু আব্বাস আমাকে বললেন: তুমি কি জান আল্লাহর (وَلَذِكْرُ اللّٰهِ أَكْبَرُ) এ কথার অর্থ কী? আমি বললাম হ্যাঁ, তিনি বললেনন তা কী? আমি বললাম: সালাতে তাসবীহ, তাকবীর, প্রশংসা করা ও কুরআন তেলাওয়াত করা। তিনি বললেন: তুমি একটি আশ্চর্যজনক কথা বলেছো। বিষয়টি এরূপ নয়, বরং আল্লাহ বলেছেন: প্রত্যেক আদেশ পালন ও নিষেধ থেকে বিরত থাকার সময় আল্লাহকে স্মরণ করা। আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় : ১. কুরআন তেলাওয়াত করার অর্থ হল তা পাঠ করা, অর্থ বুঝা ও আদেশ-নিষেধ মেনে চলা। ২. সালাত কায়েম প্রত্যেকের ওপর আবশ্যক, কেননা সালাত ব্যক্তিকে অশ্লীল ও মন্দ কার্য থেকে বিরত রাখে। ৩. আল্লাহ তা‘আলাকে স্মরণ করলে আল্লাহ তা‘আলাও তার বান্দাকে স্মরণ করেন।