slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris slot qris bokep indo
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير الآية 28 من سورة سُورَةُ آلِ عِمۡرَانَ

Aal-i-Imraan • BN-TAFISR-FATHUL-MAJID

﴿ لَّا يَتَّخِذِ ٱلْمُؤْمِنُونَ ٱلْكَٰفِرِينَ أَوْلِيَآءَ مِن دُونِ ٱلْمُؤْمِنِينَ ۖ وَمَن يَفْعَلْ ذَٰلِكَ فَلَيْسَ مِنَ ٱللَّهِ فِى شَىْءٍ إِلَّآ أَن تَتَّقُوا۟ مِنْهُمْ تُقَىٰةًۭ ۗ وَيُحَذِّرُكُمُ ٱللَّهُ نَفْسَهُۥ ۗ وَإِلَى ٱللَّهِ ٱلْمَصِيرُ ﴾

“LET NOT the believers take those who deny the truth for their allies in preference to the believers - since he who does this cuts himself off from God in everything - unless it be to protect yourselves against them in this way. But God warns you to beware of Him: for with God is all journeys' end.”

📝 التفسير:

২৮ নং আয়াতের তাফসীরঃ এ আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা মু’মিনদেরকে মু’মিন ব্যতীত কাফিরদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করতে নিষেধ করছেন। অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন: (يٰٓأَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا تَتَّخِذُوا الْكٰفِرِيْنَ أَوْلِيَا۬ءَ مِنْ دُوْنِ الْمُؤْمِنِيْنَ) “হে মু’মিনগণ! তোমরা মু’মিনগণের পরিবর্তে কাফিরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না।” (সূরা নিসা ৪:১৪৪) আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন: (یٰٓاَیُّھَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَا تَتَّخِذُوا الْیَھُوْدَ وَالنَّصٰرٰٓی اَوْلِیَا۬ئَﺮ بَعْضُھُمْ اَوْلِیَا۬ئُ بَعْضٍﺚ وَمَنْ یَّتَوَلَّھُمْ مِّنْکُمْ فَاِنَّھ۫ مِنْھُمْﺚ اِنَّ اللہَ لَا یَھْدِی الْقَوْمَ الظّٰلِمِیْنَ) “হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানদের বন্ধুরূপে গ্রহণ কর না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্য থেকে যে কেউ তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করবে সে তাদেরই একজন গণ্য হবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ অত্যাচারী লোকেদেরকে সৎপথে পরিচালিত করেন না।” (সূরা মায়িদাহ ৫:৫১) আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন: (يٰٓأَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا تَتَّخِذُوْا عَدُوِّيْ وَعَدُوَّكُمْ أَوْلِيَا۬ءَ) “হে মু’মিনগণ! আমার শত্র“ ও তোমাদের শত্র“কে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না।” (সূরা মুমতাহিনা ৬০:১) সুতরাং অমুসলিমদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করা নিষিদ্ধ ও কবীরা গুনাহ। যে ব্যক্তি এ কবীরা গুনায় লিপ্ত হবে সে আল্লাহ তা‘আলার দায়িত্ব থেকে মুক্ত থাকবে। এ বন্ধুত্ব হলো মুশরিকদেরকে ভালবাসার বন্ধুত্ব আর এটাই হলো কুফরী ও ধর্মহীনতা। মুশরিকদেরকে ভালবাসার মূলে হলো কুফরী ও ধর্মহীনতা। এ ভালবাসা থেকেই তাদেরকে সহযোগিতা করার প্রেরণা জাগে। অতত্রব মুসলিমদের বিরুদ্ধে মুশরিকদের সহযোগিতা করাই তাদের সাথে বন্ধুত্বের প্রমাণ করে। আর মুশরিকদের সাথে এ বন্ধুত্বই হলো ধর্মহীনতার প্রমাণ। সুতরাং মুসলিমদের বিরুদ্ধে মুশরিকরদেরকে সাহায্য সহযোগিতা করা ইসলাম বিনষ্টের অন্যতম কারণ। মুসলিমদের বিরুদ্ধে মুশরিকরদেরকে সাহায্য করার অর্থ হলো কাফিরদেরকে ভালবাসা। আর কাফিরদেরকে ভালবাসা হলো ইসলাম ধর্ম থেকে ধর্মান্তরিত হয়ে যাওয়া। যা কুরআনের আয়াত দ্বারা প্রমাণিত। তবে তাদের সাথে বাহ্যিক বন্ধুত্ব রাখা যাবে যখন তাদের থেকে কোন অনিষ্টতার আশংকা হয়। শুধু বাহ্যিক বন্ধুত্ব হবে কিন্তু অন্তরে ঘৃণা থাকবে। যেমন ইমাম বুখারী (রহঃ) বর্ণনা করেছেন, আবূ দারদা (রাঃ) বলেন, بَاب الْمُدَارَاةِ مَعَ النَّاسِ وَيُذْكَرُ عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ إِنَّا لَنَكْشِرُ فِي وُجُوهِ أَقْوَامٍ وَإِنَّ قُلُوبَنَا لَتَلْعَنُهُمْ কোন কোন জাতির সাথে আমরা হাসি মুখে মিলিত হই কিন্তু আমাদের অন্তর তাদের প্রতি অভিশম্পাত করে। (সহীহ বুখারী, কিতাবুল আদাব, অনুচ্ছেদ দীনের স্বার্থে মানুষের সাথে সদ্ব্যবহার করা) অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে তার শাস্তি সম্পর্কে অবগত করছেন। তাঁর কাছেই সকলকে ফিরে যেতে হবে। সুতরাং কে কোন্ উদ্দেশ্যে অমুসলিমদের সাথে বন্ধুত্ব রাখে মানুষ তা না জানলেও আল্লাহ তা‘আলা তা জানেন, সে অনুযায়ী তিনি বিচার করবেন। আয়াতের শিক্ষাঃ ১. অমুসলিমদের সাথে সর্বপ্রকার সম্পর্ক রাখা হারাম। ২. অমুসলিমদের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তোলা ও ভালবাসা এবং সহযোগিতা করা কুফরী যা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ইসলাম থেকে বের করে দেয়। ৩. মুসলিমদের থেকে কাফিরদের শক্তি সামর্থ্য বেশি থাকলে কিম্বা তাদের থেকে কোন ক্ষতির আশংকা করলে তাদের সাথে বাহ্যিক সম্পর্ক রাখা যেতে পারে তবে অন্তরে ঘৃণা থাকতে হবে।