slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris slot qris bokep indo
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير الآية 64 من سورة سُورَةُ آلِ عِمۡرَانَ

Aal-i-Imraan • BN-TAFISR-FATHUL-MAJID

﴿ قُلْ يَٰٓأَهْلَ ٱلْكِتَٰبِ تَعَالَوْا۟ إِلَىٰ كَلِمَةٍۢ سَوَآءٍۭ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ أَلَّا نَعْبُدَ إِلَّا ٱللَّهَ وَلَا نُشْرِكَ بِهِۦ شَيْـًۭٔا وَلَا يَتَّخِذَ بَعْضُنَا بَعْضًا أَرْبَابًۭا مِّن دُونِ ٱللَّهِ ۚ فَإِن تَوَلَّوْا۟ فَقُولُوا۟ ٱشْهَدُوا۟ بِأَنَّا مُسْلِمُونَ ﴾

“Say: "O followers of earlier revelation! Come unto that tenet which we and you hold in common: that we shall worship none but God, and that we shall not ascribe divinity to aught beside Him, and that we shall not take human beings for our lords beside God." And if they turn away, then say: "Bear witness that it is we who have surrendered ourselves unto Him."”

📝 التفسير:

৬৪ নং আয়াতের তাফসীর: এ আয়াতের সম্বোধনে ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানসহ সকল অমুসলিম অন্তর্ভুক্ত। সবাইকে দু’টি বিষয়ের দিকে আহ্বান করা হয়েছে: ১. আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করব না এবং কাউকে তাঁর সাথে শরীক করব না। ২. আমাদের মধ্য থেকে কেউ কাউকে রব বানিয়ে নেব না। এখানে যে বিষয়ের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে তা হলো, সবাই এক আল্লাহর ইবাদত করব, তাঁর সাথে কাউকে শরীক করব না। আল্লাহর এ এককত্বের বাণী গ্রহণের জন্য আহলে কিতাবসহ সকল ধর্মের লোককে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। তাই বলা হয়েছে, ‘আস এমন একটি কালেমার দিকে যা তোমাদের এবং আমাদের মধ্যে সমান’। আর আমাদের মধ্য হতে কোন পণ্ডিত, ধর্মযাজক, ইমাম, সংসার বিরাগী, ওলী, গাউস-কুতুব ও রাজনৈতিক নেতার হালাল-হারাম বিধান দেয়ার অধিকার নেই। তারা আল্লাহ তা‘আলা প্রদত্ত হালালকে হারাম করবে আর হারামকে হালাল করবে এ অধিকার তাদেরকে দেয়া হয়নি। যারা তাদেরকে এক্ষেত্রে মান্য করে তারা তাদেরকে রব হিসেবে গ্রহণ করে। সাহাবী ‘আদী বিন হাতিম (রাঃ) বলেন: একদা আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে আসলাম এমতাবস্থায় যে, আমার গর্দানে স্বর্ণের ক্রুশ ছিল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: হে ‘আদী! তোমার থেকে এ মূর্তিটা সরিয়ে ফেল। ‘আদী (রাঃ) বলেন: এ সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূরা তাওবার এ আয়াত তেলাওয়াত করলেন, (اِتَّخَذُوْٓا اَحْبَارَھُمْ وَرُھْبَانَھُمْ اَرْبَابًا مِّنْ دُوْنِ اللہِ) ‘তারা আল্লাহ ব্যতীত তাদের পণ্ডিত ও সংসার-বিরাগিদেরকে প্রভুরূপে গ্রহণ করেছে।’ (সূরা তাওবা ৯:৩১) ‘আদী (রাঃ) বললেন: আমরা (ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানরা) তো তাদের ইবাদত করি না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তখন বললেন, আল্লাহ তা‘আলা হারাম করে দিয়েছেন এমন বিধানকে তারা হালাল বললে তোমরা কি তা হালাল হিসেবে গ্রহণ করে নাও না? আবার আল্লাহ তা‘আলা হালাল করে দিয়েছেন এমন বিধানকে তারা হারাম বললে তোমরা কি তা হারাম হিসেবে গ্রহণ করে নাও না? ‘আদি বলল: হ্যাঁ। তিনি বললেন, এটাই তাদের ইবাদত করা। (তিরমিযী হা: ৩০৯৫) সুতরাং আল্লাহ তা‘আলার বিধানের বিপরীত বিধান চালু করা এবং তা গ্রহণ করা সবই শির্ক। এ অপরাধ স্বেচ্ছায় বুঝে-শুনে করলে মু’মিন থাকা যাবে না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ওপর এ আয়াত অবতীর্ণ হলে রোম ও পারস্যসহ বিভিন্ন বাদশার প্রতি তিনি দাওয়াতনামা লিখে ইসলামের প্রতি আহ্বান জানান এবং সে দাওয়াতনামায় এ আয়াত উল্লেখ করেন। (সহীহ বুখারী হা: ৭) অমুসলিমদের দাওয়াত দেয়ার ক্ষেত্রে এ আয়াত একটি মূলনীতি। এ আয়াতের সমর্থক মুয়ায (রাঃ)-এর হাদীস। যখন তাঁকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইয়ামানের আহলে কিতাবদের নিকট দাওয়াতের জন্য প্রেরণ করেছিলেন তখন সেখানে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: হে মুয়ায! তুমি এমন একটি সম্প্রদায়ের নিকট যাচ্ছ যারা আহলে কিতাব। অতএব তুমি সর্বপ্রথম যে দাওয়াত দেবে তা হল, আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া সত্য কোন মা‘বূদ নেই আর মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহ তা‘আলার প্রেরিত রাসূল। (সহীহ বুখারী হা: ১৩৩১) সুতরাং অমুসলিমদেরকে প্রথম যে দাওয়াত দিতে হবে তা হল তাওহীদের দাওয়াত। আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়: ১. ইসলামের মূল ভত্তি হল তাওহীদ। ২. অমুসলিমদের সর্বপ্রথম তাওহীদের দিকে আহ্বান করতে হবে। ৩. অমুসলিমদের থেকে সর্ব প্রথম শির্ক দূর করার ব্যাপারে চেষ্টা করতে হবে।