Luqman • BN-TAFISR-FATHUL-MAJID
﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ ٱتَّقُوا۟ رَبَّكُمْ وَٱخْشَوْا۟ يَوْمًۭا لَّا يَجْزِى وَالِدٌ عَن وَلَدِهِۦ وَلَا مَوْلُودٌ هُوَ جَازٍ عَن وَالِدِهِۦ شَيْـًٔا ۚ إِنَّ وَعْدَ ٱللَّهِ حَقٌّۭ ۖ فَلَا تَغُرَّنَّكُمُ ٱلْحَيَوٰةُ ٱلدُّنْيَا وَلَا يَغُرَّنَّكُم بِٱللَّهِ ٱلْغَرُورُ ﴾
“O MEN! Be conscious of your Sustainer, and stand in awe of the Day on which no parent will be of any avail to his child, nor a child will in the least avail his parent! Verily, God’s promise [of resurrection] is true indeed: let not, then, the life of this world deludes you, and let not [your own] deceptive thoughts about God delude you!”
৩৩ নং আয়াতের তাফসীর: অত্র আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা বান্দাদেরকে তাঁর নির্দেশ পালন ও নিষেধাজ্ঞা সম্বলিত বিষয় থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে তাক্বওয়াবান হওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করছেন এবং কিয়ামতের কঠিন মুহূর্তের ভয় প্রদর্শন করে বলছেন: সেদিন একমাত্র তাক্বওয়া ও সৎ আমল ব্যতীত সন্তান পিতার কোন উপকারে আসবে না এবং পিতাও সন্তানের কোনই উপকারে আসবে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: (یَوْمَ یَفِرُّ الْمَرْئُ مِنْ اَخِیْھِﭱﺫ وَاُمِّھ۪ وَاَبِیْھِﭲﺫ وَصَاحِبَتِھ۪ وَبَنِیْھِﭳﺚ لِکُلِّ امْرِیٍٔ مِّنْھُمْ یَوْمَئِذٍ شَاْنٌ یُّغْنِیْھِﭴ) “সেদিন মানুষ পলায়ন করবে তাঁর নিজের ভাই হতে, এবং তার মাতা, তার পিতা, তার স্ত্রী ও তার সন্তান হতে, তাদের প্রত্যেকের সেদিন এমন গুরুতর অবস্থা হবে যা তাকে সম্পূর্ণরূপে ব্যস্ত রাখবে।” (সূরা আবাসা ৮০:৩৪-৩৭) এখানে ঐ শ্রেণির পিতা-পুত্রকে বুঝানো হয়েছে যাদের মধ্যে একজন মু’মিন, অপরজন কাফির। কেননা মু’মিন পিতা কিংবা পুত্র স্বীয় কাফির পুত্রের কিংবা পিতার শাস্তি বিন্দুমাত্রও হ্রাস করতে পারবে না। তবে যদি উভয়ে মু’মিন হয় তাহলে পিতা-মাতা সন্তানের জন্য এবং সন্তান পিতা-মাতার জন্য সুপারিশ করতে পারবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: (وَالَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَاتَّبَعَتْهُمْ ذُرِّيَّتُهُمْ بِإِيْمَانٍ أَلْحَقْنَا بِهِمْ ذُرِّيَّتَهُمْ وَمَآ أَلَتْنٰهُمْ مِّنْ عَمَلِهِمْ مِّنْ شَيْءٍ ط كُلُّ امْرِئٍۭ بِمَا كَسَبَ رَهِيْنٌ) “এবং যারা ঈমান আনে আর তাদের সন্তান-সন্ততিও ঈমানে তাদের অনুসারী হয়, তাদের সাথে মিলিত করব তাদের সন্তান-সন্ততিকে এবং আমি তাদের কর্মফলের ঘাটতি করব না, প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ কৃতকর্মের জন্য দায়ী।” (সূরা তুর ৫২:২১) তারপর আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে নসীহত করেছেন যে, দুনিয়ার চাকচিক্যময় জীবন যেন তোমাদেরকে ধোঁকায় না ফেলে। তোমরা দুনিয়ার চাক্যচিক্যে পড়ে আখিরাতকে ভুলে যেও না। তোমরা শয়তানের প্রতারণায় পড়ো না। শয়তান শুধু ধোঁকা দিতেই জানে, সে কখনো কারো উপকার করবে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: (يَعِدُهُمْ وَيُمَنِّيْهِمْ ط وَمَا يَعِدُهُمُ الشَّيْطٰنُ إِلَّا غُرُوْرًا) “(শয়তান) সে তাদেরকে প্রতিশ্র“তি দেয় এবং তাদের হৃদয়ে মিথ্যা বাসনার সৃষ্টি করে; আর শয়তান তাদেরকে যে প্রতিশ্র“তি দেয় তা ছলনামাত্র।” (সূরা নিসা ৪:১২০) আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়: ১. আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করতে হবে। ২. পার্থিব মোহে পড়ে পরকালকে ভোলা যাবে না। ৩. কিয়ামতের দিন কেউ কারো কোন উপকার বা ক্ষতি করতে পারবে না।