🕋 تفسير سورة سبأ
(Saba) • المصدر: BN-TAFISR-FATHUL-MAJID
۞ قُلْ إِنَّمَا أَعِظُكُمْ بِوَاحِدَةٍ ۖ أَنْ تَقُومُوا لِلَّهِ مَثْنَىٰ وَفُرَادَىٰ ثُمَّ تَتَفَكَّرُوا ۚ مَا بِصَاحِبِكُمْ مِنْ جِنَّةٍ ۚ إِنْ هُوَ إِلَّا نَذِيرٌ لَكُمْ بَيْنَ يَدَيْ عَذَابٍ شَدِيدٍ
📘 ৪৬ নং আয়াতের তাফসীর:
নাবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পক্ষ থেকে এটা হল মক্কার কাফির-মুশরিকদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রমাণ ও দাওয়াত যে, আমি তোমাদেরকে একটি বিষয়ের উপদেশ দিচ্ছি, তোমরা একনিষ্ঠতার সাথে সত্যানুসন্ধানের জন্য উঠে পড়, তা সমষ্টিগত হোক আর একাকী হোক, তারপর চিন্তা করে দেখ তোমাদের সাথী মুহাম্মাদ কি পাগল? তাঁর মাঝে কি পাগলের কোন গুণাগুণ আছে? তাঁর চলা-ফেরায়, কথা বার্তায়, লেবাস-পোষাকে? না কি তিনি একজন নাবী, যিনি তোমাদের সম্মুখে আগত কঠিন শাস্তি থেকে ভীতি প্রদর্শন করছেন? তোমরা যদি এসব চিন্তা করে দেখ তাহলে অবশ্যই জানতে পারবে যে, তিনি কোন পাগল নন, তিনি একজন রাসূল যিনি আগত কঠিন শাস্তি সম্পর্কে ভয় দেখাচ্ছেন।
তাছাড়া তোমরা কিভাবে পাগল বল? তিনি তোমাদের সাথে বড় হয়েছেন, তোমাদের এলাকার সন্তান, বহিরাগত কোন এলাকা থেকে আসেননি? সুতরাং তাঁকে পাগল বলা তোমাদের সমীচীন নয়। হাদীসে বলা হয়েছে।
ইবনু ‘আব্বাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন: একদা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাফা পাহাড়ের ওপর আরোহণ করে বললেন: “ইয়া স্ববা-হা-হু” (আরবরা যখন দুঃখজনক কোন বিষয়ে ঘোষণা দিতেন তখন এ শব্দটি বা এ জাতীয় শব্দ ব্যবহার করতেন) তখন কুরাইশরা তাঁর নিকট একত্রিত হলো। অতঃপর তারা বলল: তোমার কী হয়েছে? তখন তিনি বললেন: যদি আমি বলি যে, শত্র“ সৈন্য তোমাদের ওপর হামলা করতে আসছে এবং এতে বিস্ময়ের কিছুই নেই যে, তারা সকালে বা সন্ধ্যায় তোমাদেরকে আক্রমণ করে বসবে, তাহলে কি তোমরা আমার কথাকে সত্য বলে মেনে নিবে? তারা বলল: হ্যাঁ। তিনি বললেন: আমি তোমাদেরকে ঐ শাস্তি থেকে ভয় দেখাচ্ছি যা তোমাদের সামনে রয়েছে। (সহীহ বুখারী হা: ৪৮০১)
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মূলত একজন সতর্ককারী ও সুসংবাদদাতা। তিনি কোন পাগল নন।