Faatir • BN-TAFISR-FATHUL-MAJID
﴿ مَّا يَفْتَحِ ٱللَّهُ لِلنَّاسِ مِن رَّحْمَةٍۢ فَلَا مُمْسِكَ لَهَا ۖ وَمَا يُمْسِكْ فَلَا مُرْسِلَ لَهُۥ مِنۢ بَعْدِهِۦ ۚ وَهُوَ ٱلْعَزِيزُ ٱلْحَكِيمُ ﴾
“Whatever grace God opens up to man, none can withhold it; and whatever He withholds, none can henceforth release: for He alone is almighty, truly wise.”
২ নং আয়াতের তাফসীর: সকল রহমতের উৎস একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা, তিনি যদি কাউকে কোন কিছু দান করতে চান বা কারো প্রতি কোন অনুগ্রহ করতে চান তাহলে তা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা তিনি ব্যতীত আর কারো নেই। আর যদি কারো থেকে কোন কিছু ছিনিয়ে নিতে চান তাহলে তা ফিরিয়ে দেবার ক্ষমতা তিনি ব্যতীত আর কারো নেই। যেমন হাদীসে রয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফরয সালাতের সালাম ফিরানোর পর এ দু‘আ পাঠ করতেনন ্র لٰا إِلٰهَ إِلاَّ اللّٰهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَي كُلِّ شَيْئٍ قَدِيرٌ اللّٰهُمَّ لاَ مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ وَلاَ مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ وَلاَ يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ গ্ধ আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া কোন সঠিক মা‘বূদ নেই, তিনি এক, তাঁর কোন অংশীদার নেই, রাজ্য-রাজত্ব ও প্রশংসা তাঁরই এবং তিনি প্রত্যেক বস্তুর ওপর ক্ষমতাবান। হে আল্লাহ তা‘আলা! তুমি যা দান করো তা কেউ রোধ করতে পারে না এবং যা বন্ধ করে দাও তা কেউ দিতে পারে না এবং কোন প্রভাবশালীর প্রভাব কোনই উপকারে আসবে না তোমার ক্ষমতার সামনে। (সহীহ মুসলিম হা: ১৩৬৬) আল্লাহ তা‘আলা অন্য এক আয়াতে বলেন: (وَإِنْ يَّمْسَسْكَ اللّٰهُ بِضُرٍّ فَلَا كَاشِفَ لَه۫ٓ إِلَّا هُوَ ج وَإِنْ يُّرِدْكَ بِخَيْرٍ فَلَا رَآدَّ لِفَضْلِه۪ ط يُصِيْبُ بِه۪ مَنْ يَّشَا۬ءُ مِنْ عِبَادِه۪ ط وَهُوَ الْغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ) ‘‘যদি আল্লাহ তোমাকে কষ্ট দিতে চান তাহলে তিনি ব্যতীত তা মোচনকারী আর কেউ নেই এবং আল্লাহ যদি তোমার মঙ্গল চান তবে তাঁর অনুগ্রহ রদ করার কেউ নেই। তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা তিনি মঙ্গল দান করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’’ (সূরা ইউনুস ১০:১০৭) সুতরাং যিনি সকল রহমতের উৎস তাঁর কাছেই চাওয়া উচিত। তিনি দান করলে কেউ পতিরোধ করতে পারবে না, আর না দিলে তা কেউ এনেও দিতে পারবে না। আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়: ১. আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত কোন কিছু দান করার ক্ষমতা কারো নেই, আবার আল্লাহ তা‘আলা দান করলে বাধা দেয়ারও কেউ নেই। অতএব আমাদের একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার কাছেই চাওয়া উচিত।