slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris slot qris bokep indo
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير الآية 9 من سورة سُورَةُ الزُّمَرِ

Az-Zumar • BN-TAFISR-FATHUL-MAJID

﴿ أَمَّنْ هُوَ قَٰنِتٌ ءَانَآءَ ٱلَّيْلِ سَاجِدًۭا وَقَآئِمًۭا يَحْذَرُ ٱلْءَاخِرَةَ وَيَرْجُوا۟ رَحْمَةَ رَبِّهِۦ ۗ قُلْ هَلْ يَسْتَوِى ٱلَّذِينَ يَعْلَمُونَ وَٱلَّذِينَ لَا يَعْلَمُونَ ۗ إِنَّمَا يَتَذَكَّرُ أُو۟لُوا۟ ٱلْأَلْبَٰبِ ﴾

“Or [dost thou deem thyself equal to] one who devoutly worships [God] throughout the night, prostrating himself or standing [in prayer], ever- mindful of the life to come, and hoping for his Sustainer’s grace?” Say: “Can they who know and they who do not know be deemed equal?” [But] only they who are endowed with insight keep this in mind!”

📝 التفسير:

৯ নম্বর আয়াতের তাফসীর : আল্লাহ তা‘আলা অত্র আয়াতে ঈমানদার আর কাফিরের মধ্যে পার্থক্যের উপমা দিচ্ছেন। আল্লাহ বলেন : যারা দৈনন্দিন ইবাদতের পাশাপাশি রাত্রিকালে আল্লাহ তা‘আলার ইবাদতে মশগুল থাকে, সে কখনো সিজদাবনত হয়ে তাঁর ইবাদত করে আবার কখনো দাঁড়িয়ে। কখনো এ ব্যক্তির সমান মর্যাদা লাভ করতে পারে না ঐ ব্যক্তি, যে আল্লাহ তা‘আলার সাথে শরীক করে ও তাঁর দেয়া বিধানকে অস্বীকার করে। যেমন অন্যত্র আল্লাহ এ সম্পর্কে বলেন, (لَيْسُوْا سَوَا۬ءً ط مِنْ أَهْلِ الْكِتٰبِ أُمَّةٌ قَآئِمَةٌ يَّتْلُوْنَ اٰيٰتِ اللّٰهِ اٰنَا۬ءَ الَّيْلِ وَهُمْ يَسْجُدُوْنَ)‏ “তারা সবাই সমান নয়; আহলে কিতাবদের মধ্যে একটি দল রয়েছে দীনের ওপর অটল, তারা রাতের বেলা আল্লাহর আয়াত তেলাওয়াত করে এবং সিজদা করে।” (সূরা আলি ‘ইমরান ৩ : ১১৩) তাঁর মর্যাদা অবশ্যই কাফির ব্যক্তির থেকে বেশি হবে। কেননা এ সকল আমলের দ্বারা তার মন আখিরাতের ভয়ে ভীত এবং প্রভুর রহমতের আশাধারী হয়। অর্থাৎ ভয় ও আশা উভয় অবস্থা-ই তার মধ্যে পাওয়া যায়, যা প্রকৃত ঈমানের পরিচয়। এরা দুজন কখনো সমান হতে পারে না। ভয় ও আশা সম্পর্কে সহীহ হাদীস রয়েছে। ‘আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত, একটি লোকের মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে আসলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার নিকট গমন করেন এবং তাকে জিজ্ঞাসা করেন : নিজেকে তুমি কী অবস্থায় পাচ্ছ? উত্তরে লোকটি বলল : নিজেকে আমি এমন অবস্থায় পাচ্ছি যে, আমি আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করছি এবং তাঁর রহমতের আশা করছি। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন : এরূপ সময়ে যার অন্তরে এ দুটো জিনিস একত্রিত হয় তার আশা আল্লাহ তা‘আলা পূরণ করে থাকেন এবং যা হতে সে ভয় পায় তা হতে তাকে মুক্তি দান করেন। (নাসায়ী হা. ১০৬২, ইবনু মাজাহ হা. ৪২৬১) এরপর আল্লাহ মূর্খের ওপর জ্ঞানী ব্যক্তির মর্যাদার কথা বর্ণনা করে বলেন যে, জ্ঞানী ব্যক্তি ও মূর্খ ব্যক্তি কখনো সমান হতে পারে না। জ্ঞানী ব্যক্তির মর্যাদা মূর্খ ব্যক্তির চেয়ে বেশি। জ্ঞানীদের সম্পর্কে আল্লাহ বলেন : (يَرْفَعِ اللّٰهُ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا مِنْكُمْ لا وَالَّذِيْنَ أُوْتُوا الْعِلْمَ دَرَجٰتٍ ط وَاللّٰهُ بِمَا تَعْمَلُوْنَ خَبِيْرٌ)‏ “তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে, আল্লাহ তাদের মর্যাদা আরো উন্নত করে দেবেন। তোমরা যা কিছু কর, সে সম্পর্কে আল্লাহ সবিশেষ অবহিত।” (সূরা মুজাদালাহ ৫৮ : ১১) অন্ধ এবং চক্ষুষ্মান ব্যক্তি যেমন সমান হতে পারে না তেমনি জ্ঞানী ও মূর্খ কখনো সমান হতে পারে না। তবে এখানে জ্ঞানী দ্বারা উদ্দেশ্য হলো যারা কুরআন ও সহীহ হাদীসের জ্ঞানে জ্ঞানী, যারা তাদের প্রতিপালক সম্পর্কে জ্ঞান রাখে, যারা শরীয়তের বিধি-বিধান সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান রাখে এবং সে অনুপাতে আমল করে। আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় : ১. তাহাজ্জুদের সলাত অনেক মর্যাদাপূর্ণ, তাই যথাসম্ভব কম হলেও নিয়মিত আদায় করা উচিত। ২. কুফরীর ওপর ঈমানের মর্যাদা সম্পর্কে জানা গেল। ৩. মূর্খ ব্যক্তিদের ওপর জ্ঞানীদের মর্যাদা অনেক বেশি।