slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris slot qris bokep indo
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير الآية 1 من سورة سُورَةُ النِّسَاءِ

An-Nisaa • BN-TAFISR-FATHUL-MAJID

﴿ بِسْمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ ٱتَّقُوا۟ رَبَّكُمُ ٱلَّذِى خَلَقَكُم مِّن نَّفْسٍۢ وَٰحِدَةٍۢ وَخَلَقَ مِنْهَا زَوْجَهَا وَبَثَّ مِنْهُمَا رِجَالًۭا كَثِيرًۭا وَنِسَآءًۭ ۚ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ ٱلَّذِى تَسَآءَلُونَ بِهِۦ وَٱلْأَرْحَامَ ۚ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَلَيْكُمْ رَقِيبًۭا ﴾

“O MANKIND! Be conscious of your Sustainer, who has created you out of one living entity, and out of it created its mate, and out of the two spread abroad a multitude of men and women. And remain conscious of God, in whose name you demand [your rights] from one another, and of these ties of kinship. Verily, God is ever watchful over you!”

📝 التفسير:

নামকরণ ও অবতীর্ণের সময়কাল: (النِّسَاءُ) নিসা শব্দের অর্থ নারীগণ, মহিলাগণ। এ সূরায় মহিলাদের সাথে বিবাহ বন্ধন, ওয়ারিশসহ তাদের সার্বিক অধিকার ও ইসলাম ধর্মে তাদের মর্যাদার কথা আলোচনা করা হয়েছে বিধায় অত্র সূরার নাম সূরা আন্ নিসা (বা নারীগণ) করা হয়েছে। এ সূরা সম্পূর্ণই মদীনায় অবতীর্ণ হয়। ইমাম কুরতুবী (রহঃ) বলেন: একটি আয়াত মক্কা বিজয়ের দিন মক্কাতে অবতীর্ণ হয়েছে তা হল: (إِنَّ اللّٰهَ يَأْمُرُكُمْ أَنْ تُؤَدُّوا الْأَمٰنٰتِ إِلٰٓي أَهْلِهَا) “নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন আমানত তার হকদারকে ফিরিয়ে দিতে।” এছাড়াও নাযিলের সময়কালের ব্যাপারে কয়েকটি বর্ণনা পাওয়া যায়। ইমাম কুরতুবী (রহঃ) বলেন: সঠিক কথা হল সূরাটি মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছে। (তাফসীর কুরতুবী ৫/৩) আয়িশাহ (রাঃ)‎ বলেন: সূরা নিসা অবতীর্ণকালীন সময়ে আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে ছিলাম। অর্থাৎ তিনি আমাকে বিবাহ করে তাঁর ঘরে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন। (সহীহ বুখারী হা: ৪৯৯৩) আর এ বিষয়ে সকলে একমত যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আয়িশার (রাঃ) সাথে মদীনায় বাসর করেছেন। (ফাতহুল কাদীর, অত্র সূরার তাফসীর) সূরা নিসার ফযীলত: এটি বিধি-বিধান সম্বলিত একটি গুরুত্বপূর্ণ সূরা। এ সূরাতে ইয়াতীমের অধিকার, বিবাহের সর্বোচ্চ সংখ্যা, উত্তরাধিকার, যে সকল নারীদের বিবাহ করা হারাম তাদের বর্ণনা, পুরুষদের দায়িত্ব ও ক্ষমতা, শির্ক বর্জিত এক আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত ও তার নিয়ম-পদ্ধতি, মুশরিকদের ইহলৌকিক ও পরলৌকিক বিধান, শরীয়তে সুন্নাতে রাসূলের গুরুত্বসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করা হয়েছে। আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রাঃ)‎ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: সূরা নিসায় পাঁচটি আয়াত রয়েছে, যদি আমি সারা দুনিয়া পেতাম তাহলে তত খুশি হতাম না যত খুশি হয়েছি এ আয়াতগুলো পেয়ে। আয়াত পাঁচটি হল: ১. (إِنَّ اللّٰهَ لَا يَظْلِمُ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ) “আল্লাহ অণু পরিমাণও জুলুম করেন না।”(সূরা নিসা ৪:৪০) ২. (إِنْ تَجْتَنِبُوْا كَبَا۬ئِرَ مَا تُنْهَوْنَ عَنْهُ.. ) “তোমাদেরকে যে সকল কবীরা গুনাহ থেকে নিষেধ করা হয়েছে তা হতে বিরত থাকলে ...” (সূরা নিসা ৪:৩১) ৩. (إِنَّ اللّٰهَ لَا يَغْفِرُ أَنْ يُّشْرَكَ بِه۪ وَيَغْفِرُ مَا دُوْنَ ذٰلِكَ لِمَنْ يَّشَا۬ءُ) “নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর সঙ্গে শরীক করা ক্ষমা করেন না। এটা ব্যতীত অন্যান্য অপরাধ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন।” (সূরা নিসা ৪:৪৮) ৪. (وَلَوْ أَنَّهُمْ إِذْ ظَّلَمُوْآ أَنْفُسَهُمْ جَا۬ءُوْكَ) “যখন তারা নিজেদের ওপর জুলুম করেছিল তখন যদি তারা তোমার নিকট আসত।” (সূরা নিসা ৪:৬৪) ৫. (وَمَنْ يَّعْمَلْ سُوْ۬ءًا أَوْ يَظْلِمْ نَفْسَه۫ ثُمَّ يَسْتَغْفِرِ) “যে ব্যক্তি কোন মন্দ কাজ করে অথবা নিজের প্রতি জুলুম পরে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে।” (সূরা নিসা ৪:১১০)। (হাকিম ২/৩০৫, মুরসাল সহীহ) ১ নং আয়াতের তাফসীর: সূরার শুরুতেই আল্লাহ তা‘আলা সারা জাহানের মানুষকে তাক্বওয়া তথা তাঁকে ভয় করে চলার নির্দেশ দিচ্ছেন। তাক্বওয়া হল, আল্লাহ তা‘আলার আদেশসমূহ মেনে চলা, নিষেধসমূহ বর্জন করা, একমাত্র তাঁর ইবাদত করা এবং তাঁর সাথে অন্য কাউকে শরীক না করা। যে জাতি তাক্বওয়া অবলম্বন করে চলবে সে জাতি দুনিয়াতে সফলতা ও পরকালে মুক্তি লাভ করবে। তাক্বওয়ার ফলাফল সূরা বাকারাতে আলোচনা করা হয়েছে। অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা তাঁর মহান কুদরতের ব্যাপারে অবগত করে বলছেন, তিনি সমস্ত মানুষকে একজন মাত্র ব্যক্তি আদম (আঃ) থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং তাঁর স্ত্রী হাওয়াকেও তাঁর থেকে সৃষ্টি করেছেন। অর্থাৎ এ একজন মানুষ থেকে সৃষ্টি করে পরস্পরের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও আত্মীয়তার সুদৃঢ় সম্পর্ক তৈরি করে দিয়েছেন। পারস্পরিক এ সহানুভূতি ও সহমর্মিতায় উদ্বুদ্ধ হয়েই একে অন্যের অধিকারের প্রতি সজাগ থাকে এবং উঁচু-নীচু, ধনী-গরীব, ইতর-ভদ্রের ব্যবধান ভুলে গিয়ে একই মানদণ্ডে সম্পর্ক তৈরি করে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: মহিলাদেরকে পাঁজর হতে সৃষ্টি করা হয়েছে এবং সবচেয়ে উঁচু পাঁজর হচ্ছে বেশি বক্র। সুতরাং তুমি যদি তাকে সম্পূর্ণ সোজা করতে চাও তবে তাকে ভেঙ্গে ফেলবে। আর যদি তার মধ্যে কিছু বক্রতা রেখে দিয়ে উপকার লাভ করতে চাও তাহলে উপকার নিতে পারবে। (সহীহ বুখারী হা: ৩৩৩১) অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা এ দু’জন (আদম ও হাওয়া ‘আলাইহিমাস সালাম) ব্যক্তি থেকে সারা পৃথিবী জুড়ে বিভিন্ন রং ও ভাষা-ভাষী করে নারী-পুরুষে ছড়িয়ে দিয়েছেন। সে দুজন ব্যক্তি থেকে মানুষ দিনান্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিভিন্ন জায়াগায় ছড়িয়ে বসবাস করছে যেখানে পূর্বে কখনো বসবাস ছিল না। تَسَا۬ءَلُوْنَ ‘তোমরা একে অপরের কাছে আবেদন কর’ অর্থাৎ সেই আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় কর, যে আল্লাহ তা‘আলার নামে একে অপরের কাছে চেয়ে থাক, যেমন বলা হয়: আল্লাহর ওয়াস্তে তোমার কাছে চাচ্ছি। وَالْأَرْحَامَ ‘আত্মীয়তাকে (সম্পর্ক ছিন্ন করাকে) ভয় কর’ অর্থাৎ আত্মীয়তা সম্পর্ক ছিন্ন করা থেকে বিরত থাক। বরং আত্মীয়তা সম্পর্ক বহাল রাখ। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: আল্লাহ যাবতীয় সৃষ্টিকে সৃষ্টি করলেন। এমনকি যখন তাঁর সৃষ্টি কাজ শেষ করলেন, তখন আত্মীয়তা সম্পর্ক বলে উঠলো: সম্পর্ক ছিন্ন করা থেকে আপনার আশ্রয় লাভকারীদের এটাই যথাযোগ্য স্থান। তিনি (আল্লাহ) বললেন: হ্যাঁ, তুমি কি এতে খুশি নও যে, তোমার সাথে যে ব্যক্তি সুসম্পর্ক রাখবে আমিও তার সাথে সুসম্পর্ক রাখব। আর যে তোমার থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করবে, আমিও তার থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করব? সে (রক্ত সম্পর্ক) বলল: হ্যাঁ, সন্তুষ্ট হে আমার রব। আল্লাহ বললেন: তাহলে এ মর্যাদা তোমাকে দেয়া হল। (সহীহ বুখারী হা: ৫৯৮৭) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: لَيْسَ الوَاصِلُ بِالْمُكَافِئِ، وَلَكِنِ الوَاصِلُ الَّذِي إِذَا قُطِعَتْ رَحِمُهُ وَصَلَهَا কেউ কিছু প্রদান করে, ফলে আমিও প্রদান করি এটা আত্মীয়তায় সম্পর্ক বহাল রাখা নয়। বরং আত্মীয়তার সম্পর্ক বহাল রাখা হল, কেউ যদি সম্পর্ক ছিন্ন করে তার সাথে বহাল রাখা। (সহীহ বুখারী হা: ৫৯৯১) যারা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করে তাদের ব্যাপারে কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারণ করে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে যাবে না। (সহীহ বুখারী হা: ৫৯৮৪) সুতরাং আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করা এবং তাঁর নির্দেশাবলী পালন করা ও নিষেধাজ্ঞা বর্জন করে চলা প্রত্যেক মু’মিনের দায়িত্ব। আর আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা ঈমানী দায়িত্ব। আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়: ১. পৃথিবীর সকল মানুষ একজন নর ও নারী থেকে সৃষ্ট। ২. তাক্বওয়ার গুরুত্ব জানতে পারলাম। ৩. আত্মীয়তার সম্পর্ক বহাল রাখা ওয়াজিব। ৪. আল্লাহ তা‘আলা সবকিছুর সম্পর্কে অবগত রয়েছেন।