slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris slot qris bokep indo
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير الآية 24 من سورة سُورَةُ النِّسَاءِ

An-Nisaa • BN-TAFISR-FATHUL-MAJID

﴿ ۞ وَٱلْمُحْصَنَٰتُ مِنَ ٱلنِّسَآءِ إِلَّا مَا مَلَكَتْ أَيْمَٰنُكُمْ ۖ كِتَٰبَ ٱللَّهِ عَلَيْكُمْ ۚ وَأُحِلَّ لَكُم مَّا وَرَآءَ ذَٰلِكُمْ أَن تَبْتَغُوا۟ بِأَمْوَٰلِكُم مُّحْصِنِينَ غَيْرَ مُسَٰفِحِينَ ۚ فَمَا ٱسْتَمْتَعْتُم بِهِۦ مِنْهُنَّ فَـَٔاتُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ فَرِيضَةًۭ ۚ وَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا تَرَٰضَيْتُم بِهِۦ مِنۢ بَعْدِ ٱلْفَرِيضَةِ ۚ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَلِيمًا حَكِيمًۭا ﴾

“And [forbidden to you are] all married women other than those whom you rightfully possess [through wedlock]: this is God's ordinance, binding upon you. But lawful to you are all [women] beyond these, for you to seek out, offering them of your possessions, taking them in honest wedlock, and not in fornication. And unto those with whom you desire to enjoy marriage, you shall give the dowers due to them; but you will incur no sin if, after [having agreed upon] this lawful due, you freely agree with one another upon anything [else]: behold, God is indeed all-knowing, wise.”

📝 التفسير:

২৪ নং আয়াতের তাফসীর: (المُحْصَنَاتُ مِنَ النِّسَا۬ءِ) শানে নুযূল: আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ)‎ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: আওতাসের যুদ্ধে কতকগুলো সধবা স্ত্রীলোক বন্দি হয়ে আসে। আমরা তাদের সাথে সহবাস করতে অপছন্দ করলাম কারণ তাদের স্বামী রয়েছে। আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলাম। তখন এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। (সহীহ মুসলিম হা: ১৪৫৬) অর্থাৎ যে সকল নারীদের স্বামী রয়েছে তাদের বিবাহ করা হারাম যতক্ষণ সে স্বামীর সাথে বিবাহ বন্ধনে থাকবে। তবে যদি মুসলিমরা কাফির জাতির ওপর বিজয় লাভ করে, তাদের নারীদের হস্তগত করে নেয় তাহলে তাদের কাফির স্বামী থাকতেও তাদের বিবাহ করা দূষণীয় নয়। আর কোন মুসলিম নারীর শরীয়তসম্মত বিবাহ বিচ্ছিন্ন না হলে তার সাথে বিবাহ বন্ধন হারাম। সুতরাং যে সকল নারী স্বামীদের ছেড়ে দিয়ে অন্য পুরুষের সাথে অভিভাবক ছাড়া নিজে নিজেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় তাদের সে বিবাহ অবৈধ। বিবাহ শরীয়তসম্মত হবে না, যতদিন তারা এ অবস্থায় থাকবে ততদিন ব্যভিচারে লিপ্ত থাকবে। এ ছাড়া বাকিদেরকে বিবাহ করা বৈধ। উল্লেখ্য: محصنات শব্দটি কুরআনে চারটি অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে- ১. সধবা স্ত্রী। যেমন অত্র সূরার ২৪ নং আয়াত: (وَّالْمُحْصَنٰتُ مِنَ النِّسَا۬ءِ) ২. স্বাধীন মহিলা। যেমন: (وَمَنْ لَّمْ يَسْتَطِعْ مِنْكُمْ طَوْلًا أَنْ يَّنْكِحَ الْمُحْصَنٰتِ) ৩. ব্যভিচার থেকে পবিত্র। যেমন: (مُحْصَنٰتٍ غَيْرَ مُسٰفِحٰتٍ) ৪. মুসলিম নারী। যেমন: فإن أحصن (ফাতহুল কাদীর, ১/৫৯৯) (مُّحْصِنِیْنَ غَیْرَ مُسٰفِحِیْنَ) ‘বিয়ে করার জন্য তোমরা তাদের কামনা করবে, ব্যভিচারের জন্য নয়’ অর্থাৎ অন্যান্য নারীদের হালাল করে দেয়া হয়েছে এ শর্তে যে, তোমরা মাহর দিয়ে বিবাহের মাধ্যমে গ্রহণ করবে। অর্থের বিনিময়ে উপপতœী হিসেবে ব্যবহার করার জন্য নয়। এ আয়াত দ্বারাও মুতা বিবাহর অবৈধতা বুঝা যাচ্ছে এবং অর্থ দিয়ে বিনা বিবাহে উপভোগ করাও হারাম। (فِیْمَا تَرٰضَیْتُمْ بِھ۪ مِنْۭ بَعْدِ الْفَرِیْضَةِ) ‘মাহর ধার্য করার পর কোন বিষয়ে উভয়ে একমত হও’ অর্থাৎ মাহর ধার্য করার পর স্বামীর পক্ষ থেকে মাহর এর অতিরিক্ত কিছু দেয়া অথবা স্ত্রীর পক্ষ থেকে সন্তুষ্টচিত্তে মাফ করে দেয়ার ব্যাপারে উভয়ে একমত হলে তাতে কোন গুনাহ হবে না। আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়: ১. জাহিলী যুগের সকল বিবাহ পদ্ধতি হারাম। তবে যা ইসলামের সাথে সামঞ্জস্য রাখে তা ব্যতীত। ২. বংশজাত, দুধ সম্পর্কীয় ও বৈবাহিক সম্পর্কীয় যাদের বিবাহ করা হারাম তাদের ব্যাপারে জানতে পারলাম। ৩. পালক পুত্রের স্ত্রীকে বিবাহ বৈধ। তাদের সাথে পর্দা ওয়াজিব। ৪. আপন দুই বোনকে একত্রে বিবাহ হারাম। ৫. অন্যের স্ত্রীকে বলপ্রয়োগপূর্বক বিবাহ হারাম। ৬. খবরে ওয়াহিদ দ্বারা কুরআনের ওপর বৃদ্ধি শরীয়তসিদ্ধ।