Al-Mumtahana • BN-TAFISR-FATHUL-MAJID
﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ لَا تَتَوَلَّوْا۟ قَوْمًا غَضِبَ ٱللَّهُ عَلَيْهِمْ قَدْ يَئِسُوا۟ مِنَ ٱلْءَاخِرَةِ كَمَا يَئِسَ ٱلْكُفَّارُ مِنْ أَصْحَٰبِ ٱلْقُبُورِ ﴾
“O YOU who have attained to faith! Be not friends with people whom God has condemned! They [who would befriend them] are indeed bereft of all hope of a life to come - just as those deniers of the truth are bereft of all hope of [ever again seeing] those who are [now] in their graves.”
১৩ নম্বর আয়াতের তাফসীর : সূরার শুরুতে যেমন আল্লাহ তা‘আলা কাফিরদের সাথে বন্ধুত্বসূলভ সম্পর্ক করতে নিষেধ করেছেন সূরার শেষেও সে কথা পুনরায় স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন। (قَوْمًا غَضِبَ اللّٰهُ) ‘আল্লাহ যে সম্প্রদায়ের প্রতি রাগান্বিত’ সে সম্প্রদায় হল ইয়াহূদ, খ্রিস্টান ও সকল কাফির শ্রেণি। যেমন আমরা সূরা ফাতিহা পাঠ কালে বলি ‘তাদের পথ নয় যারা গযবপ্রাপ্ত এবং তাদের পথও নয় যারা পথভ্রষ্ট।’ (كَمَا يَئِسَ الْكُفَّارُ) এখানে ইমাম ইবনু কাসীর (রহঃ) দুটি কথা বর্ণনা করেছেন : ১. যেমন জীবিত কাফিররা তাদের মৃত কবরস্থ কাফিরদের ব্যাপারে নিরাশ হয়ে গেছে, এরপর তারাও তাদের সাথে মিলিত হবে। কারণ তারা পুনরুত্থানে বিশ্বাস করে না। তাদের এ বিশ্বাসের কারণে কবরস্থ কাফিরদের পুনর্জীবিত হওয়ার ব্যাপারে নিরাশ হয়ে গেছে। ২. যেমন নিরাশ হয়ে গেছে সকল কল্যাণ থেকে কাফিররা যারা কবরস্থ আছে তাদের বিষয়ে। প্রকৃত অবস্থা দেখে কবরস্থ কাফিররা আখিরাতে আল্লাহ তা‘আলার রহমতের আশা থেকে নিরাশ হয়ে গেছে। (তাফসীর মুয়াসসার)। সুতরাং কাফিরদের সাথে সকল প্রকার সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। তাহলেই মুসলিমরা আবার স্বর্ণ যুগে ফিরে যেতে পারবে। ঈমানের পূর্ণ স্বাদ আস্বাদন করতে পারবে। আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় : ১. কাফিরদের সাথে বন্ধুত্ব করা হারাম। ২. ইয়াহূদ, খ্রিস্টানসহ সকল প্রকার কাফিরদের ওপর আল্লাহ তা‘আলার ক্রোধ। ৩. কাফিররা মারা যাওয়ার পর বুঝতে পারবে তারা আল্লাহ তা‘আলার কোনরূপ রহমত পাবে না।