slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris slot qris bokep indo xhamster/a> jalalive/a>
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير الآية 30 من سورة سُورَةُ يُونُسَ

Yunus • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER

﴿ هُنَالِكَ تَبْلُوا۟ كُلُّ نَفْسٍۢ مَّآ أَسْلَفَتْ ۚ وَرُدُّوٓا۟ إِلَى ٱللَّهِ مَوْلَىٰهُمُ ٱلْحَقِّ ۖ وَضَلَّ عَنْهُم مَّا كَانُوا۟ يَفْتَرُونَ ﴾

“There and then will every human being clearly apprehend what he has done in the past; and all will be brought back unto God, their true Lord Supreme, and all their false imagery will have forsaken them.”

📝 التفسير:

২৮-৩০ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তাআলা বলেনঃ দানব ও মানব এবং ভাল ও মন্দ সকলকেই আমি কিয়ামতের দিন হাযির করবো। কাউকে ছাড়া হবে না। মুশরিকদেরকে বলা হবে-তোমরা ও তোমাদের শরীকরা নিজ নিজ স্থানে অবস্থান কর এবং মুমিনদের হতে পৃথক থাকো। যেই দিন কিয়ামত সংঘটিত হবে সেই দিন এই দু'শ্রেণীর মানুষ পৃথক পৃথকভাবে অবস্থান করবে। যেমন মহান আল্লাহ এক জায়গায় বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “হে অপরাধীরা! তোমরা আজ পৃথক হয়ে যাও।” (৩৬:৫৯) আর এক জায়গায় আল্লাহ পাক বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “যেই দিন কিয়ামত সংঘটিত হবে সেই দিন তারা পৃথক পৃথক হয়ে যাবে।" (৩০:১৪) এটা ঐ সময় হবে যখন আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তাআলা মুকদ্দমার ফায়সালা করার ইচ্ছা করবেন। এজন্যেই বলা হয়েছে যে, মুমিনরা আল্লাহ তা'আলার কাছে আবেদন করবে- হে আল্লাহ! তাড়াতাড়ি মুকদ্দমার ফায়সালা করুন এবং আমাদেরকে এই স্থান হতে মুক্তিদান করুন।হাদীসে এসেছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “কিয়ামতের দিন আমরা অন্যান্য লোকদের চেয়ে উঁচু জায়গায় থাকবো। এই আয়াতে আল্লাহ তা'আলা এই খবর দিচ্ছেন যে, ঐদিন তিনি বলবেন, হে মুশরিকদের দল! তোমরা এবং তোমাদের শরীকরা স্ব-স্ব স্থানে পৃথক পৃথকভাবে অবস্থান কর। এভাবে আল্লাহ পাক তাদের পরস্পরের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে দিবেন এবং তাদের শরীকরা তাদের ইবাদতকে অস্বীকার করে ফেলবে। মহান আল্লাহ তাই বলছেন যে, এই মুশরিকরা যাদের অনুসরণ করতো এবং এর উপর ভিত্তি করেই তাদেরকে আল্লাহ তাআলার শরীক মনে করে নিয়েছিল, তারাই ঐ দিন এদের প্রতি অসন্তুষ্টি প্রকাশ করবে। এক জায়গায় আল্লাহ পাক বলেছেনঃ ঐ লোকদের চেয়ে অধিক পথভ্রষ্ট আর কে হতে পারে, যারা আল্লাহকে ছেড়ে এমন সব মা’দকে আহ্বান করছে যারা কিয়ামত পর্যন্ত তাদের ডাকে সাড়া দিতে সক্ষম নয় এবং তারা তাদের আহ্বান থেকে সম্পূর্ণরূপে উদাসীন। আর যখন লোকদেরকে কিয়ামতের দিন উঠানো হবে তখন ওরা (শরীকরা) তাদেরই ইবাদতকারীদের শত্রু হয়ে যাবে এবং বলবে- তোমরা যে আমাদের ইবাদত করতে তাতো আমাদের জানা নেই। তোমরা আমাদের উপাসনা এমনভাবে করতে যে, আমরা নিজেরা তা মোটেই অবগত নই! স্বয়ং আল্লাহ সাক্ষী রয়েছেন যে, আমরা কখনো তোমাদেরকে আমাদের ইবাদত করার জন্যে ডাকিনি, তোমাদেরকে নির্দেশও দেইনি এবং এই ব্যাপারে আমরা তোমাদের প্রতি সন্তুষ্টও নই। এভাবে মুশরিকদের মুখ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে যে, তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে এমন কিছুর ইবাদত করছে যারা শুনেও না, দেখেও না, তাদের কোন উপকারও করতে পারে না, তাদেরকে এর নির্দেশও দেয়নি এবং এতে তাদের সম্মতিও ছিল না । বরং তারা ছিল এ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। তারা এমন প্রতিপালকের ইবাদত পরিত্যাগ করেছে যিনি চিরঞ্জীব ও চিরবিরাজমান। যিনি সবকিছু শ্রবণকারী, সবকিছু দর্শনকারী ও যিনি সবকিছুর উপর পূর্ণ ক্ষমতাবান। যিনি তাঁর রাসূলগণকে পাঠিয়েছেন এবং কিতাবসমূহ অবতীর্ণ করেছেন এই উদ্দেশ্যে যে, যেন একমাত্র তাঁরই ইবাদত করা হয় এবং তিনি ছাড়া অন্যদের ইবাদত পরিত্যাগ করা হয়। যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ “আমি প্রত্যেক উম্মতের মধ্যে রাসূল পাঠিয়েছি (এবং বলতে বলেছি) যে, তোমরা আল্লাহরই ইবাদত করবে এবং তাগুত (শয়তান) থেকে দূরে থাকবে, সুতরাং তাদের মধ্যে যারা সুপথ পাওয়ার তারা সুপথ প্রাপ্ত হলো এবং যারা পথভ্রষ্ট হওয়ার তারা পথভ্রষ্ট হলো।” আল্লাহ তা'আলা আরো বলেনঃ “(হে নবী সঃ)! তোমার পূর্বে আমি যে রাসূলই পাঠিয়েছি তার কাছেই অহী করেছি। আমি ছাড়া কেউ উপাস্য নেই, সুতরাং তোমরা আমারই ইবাদত করো।” আল্লাহ আর এক জায়গায় বলেনঃ “তোমার পূর্ববর্তী রাসূলদেরকে আমি জিজ্ঞেস করবো-তোমরা কি মানুষকে এই আদেশ করেছিলে যে, রাহমান (আল্লাহ)-কে বাদ দিয়ে বিভিন্ন মা’ৰূদগুলোর ইবাদত করবে?”মুশরিকদের অনেক প্রকার রয়েছে। আল্লাহ তা'আলা স্বীয় কিতাবে তাদেরকে উল্লেখ করেছেন এবং তাদের কথা ও অবস্থা বর্ণনা করে তাদের সবকিছু খণ্ডন করেছেন। ঘোষণা করা হচ্ছে যে, কিয়ামতের দিন হিসাবের জন্যে দাড়াবার স্থানে প্রত্যেকের পরীক্ষা হয়ে যাবে এবং ভাল ও মন্দ যা কিছু আমল করেছে তা সামনে হাযির করে দেয়া হবে। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “সেই দিন সকলের গুপ্ত বিষয় প্রকাশ হয়ে পড়বে। আর এক জায়গায় মহান আল্লাহ বলেনঃ “সেই দিন মানুষকে তার সমস্ত পূর্বকৃত ও পরে কৃত কার্যাবলী জানিয়ে দেয়া হবে।” আল্লাহ তা'আলা অন্য এক জায়গায় বলেনঃ “কিয়ামতের দিন আমি তার আমলনামা তার জন্যে বের করে তার সামনে হাযির করবো, যা সে উন্মুক্ত অবস্থায় দেখতে পাবে । (বলা হবে) তোমার আমলনামা পাঠ কর; আজ তোমার হিসাব গ্রহণকারীরূপে তুমি নিজেই যথেষ্ট।” কেউ কেউ (আরবী) এরূপ পড়েছেন। অর্থাৎ -এর স্থলে পড়েছেন, যার অর্থ হবে পাঠ করা। কেউ কেউ এর তাফসীর করেছেন- ভাল বা মন্দ কাজ যা সে করেছে তার ফল সে ভোগ করবে। যেমন হাদীসে রয়েছে- “প্রত্যেক উম্মত নিজ নিজ মা’ৰূদের পিছনে থাকবে। সূর্যপূজক থাকবে সূর্যের পিছনে, চন্দ্রপূজক থাকবে চন্দ্রের পিছনে এবং মূর্তিপূজক থাকবে মূর্তির পিছনে।আল্লাহ পাকের উক্তি (আরবী) অর্থাৎ তারা আল্লাহরই কাছে। প্রত্যাবর্তিত হবে। শুধু তারা কেন, বরং সবকিছুই আল্লাহ তাআলার নিকট ফিরিয়ে নেয়া হবে। অতঃপর তিনি ফায়সালা করে জান্নাতীদেরকে জান্নাতে এবং জাহান্নামীদেরকে জাহান্নামে পাঠিয়ে দেবেন। আর পথভ্রষ্ট লোকেরা নিজেদের পক্ষ হতে যেসব কপোলকল্পিত মাবুদ বানিয়ে নিয়েছিল তারা সব বাতাসের মত উড়ে যাবে।