Yunus • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ وَلَوْ جَآءَتْهُمْ كُلُّ ءَايَةٍ حَتَّىٰ يَرَوُا۟ ٱلْعَذَابَ ٱلْأَلِيمَ ﴾
“even though every sign [of the truth] should come within their ken - until they behold the grievous suffering [that awaits them in the life to come].”
৯৪-৯৭ নং আয়াতের তাফসীর: কাতাদা ইবনে আমা (রঃ) বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ)! বলেছেনঃ “আমি সন্দেহও করি না এবং আমার জিজ্ঞেস করার কোন প্রয়োজনও নেই।এই আয়াতে উম্মতে মুহাম্মাদীকে দ্বীনের উপর অটল থাকার প্রতি উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে। এতে জানানো হয়েছে যে, পূর্ববর্তী আসমানী গ্রন্থ তাওরাত, ইঞ্জীলে নবী (সঃ)-এর গুণাবলীর বর্ণনা বিদ্যমান ছিল। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “যারা নবী উম্মী (সঃ)-এর আনুগত্য করে, তারা এর উপর ভিত্তি করেই করে যে, তার গুণাবলীর বর্ণনা তারা তাওরাত ও ইঞ্জীলে লিখিত পেয়ে থাকে। কিন্তু তাদের অধিকাংশ লোক তার উপর ঈমান আনয়ন করে না, অথচ তারা তার সত্যবাদিতা ও সততাকে এমনভাবে জানে ও চিনে, যেমনভাবে চিনে নিজেদের সন্তানদেরকে। তারা ইঞ্জীলের মধ্যে পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করে এবং নবী (সঃ)-এর গুণাবলী গোপন করে দেয়। হুজ্জত কায়েম হওয়ার পরেও তারা ঈমান আনে না। এ জন্যেই আল্লাহ পাক বলেনঃ “সত্যের প্রমাণাদি কায়েম হয়ে গেছে, কিন্তু যতই প্রমাণ তাদের কাছে উপস্থিত করা হাক না কেন, তারা ঐ পর্যন্ত ঈমান আনবে , যে পর্যন্ত না আল্লাহর আযাৰ অবলোকন করে। কিন্তু ঐ সময় তাদের ঈমান আনয়নে কোনই লাভ হবে না। কওমের এই পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ার পরই মূসা (আঃ) তাদের উপর বদ দুআ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেনঃ “হে আমার প্রতিপালক! তাদের ধন-সম্পদ ধ্বংস করে দিন এবং তাদের অন্তরসমূহের উপর মোহর লাগিয়ে দিন। শাস্তি দেখা ছাড়া তারা ঈমান আনবে না।” অনুরূপভাবে আল্লাহ পাকের উক্তি রয়েছে- “আমি যদি তাদের উপর ফিরিশতাও অবতীর্ণ করি এবং মৃত লোকেরা তাদের সাথে কথাও বলতে থাকে, আর সমস্তই যদি তাদের কাছে জমা করে দেয়া হয়, তবুও তারা ঈমান আনবে না। তাদের মধ্যে অধিকাংশ লোকই অজ্ঞ।