Hud • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ ۞ وَأَمَّا ٱلَّذِينَ سُعِدُوا۟ فَفِى ٱلْجَنَّةِ خَٰلِدِينَ فِيهَا مَا دَامَتِ ٱلسَّمَٰوَٰتُ وَٱلْأَرْضُ إِلَّا مَا شَآءَ رَبُّكَ ۖ عَطَآءً غَيْرَ مَجْذُوذٍۢ ﴾
“But as for those who [by virtue of their past deeds] will have been blest with happiness, [they shall live] in paradise, therein to abide as long as the heavens and the earth endure -unless thy Sustainer wills it otherwise -as a gift unceasing.”
আল্লাহ তাআ’লা বলেন যে, ভাগ্যবানরা অর্থাৎ রাসূলদের অনুসারীরা বেহেশতে অবস্থান করবে। সেখান থেকে তাদেরকে বের করা হবে না। আসমান ও যমীনের অস্তিত্ব যতদিন বাকী থাকবে ততদিন তারাও বেহেশতে থাকবে। কিন্তু যদি আল্লাহরই ইচ্ছা হয় তবে সেটা আলাদা কথা। অর্থাৎ তাদেরকে চিরদিন বেহেশতে রাখা আল্লাহর সত্ত্বার উপর ওয়াজিব বা বাধ্যতামূলক নয়। বরং এটা তাঁর ইচ্ছার উপর নির্ভর করে। যহ্হাক (রঃ) ও হাসানের (রঃ) উক্তি এই যে, এটাও একত্ববাদী পাপীদের ব্যাপারেই প্রযোজ্য। তারা কিছুকাল জাহান্নামে অবস্থান করবে। অতঃপর তাদেরকে সেখান থেকে বের করা হবে। এটা হচ্ছে আল্লাহর দান যা কখনো শেষ হবার নয়। মহান আল্লাহ এ কথা এ জন্যই বললেন যে, বেহেশতীরা জান্নাতে চিরকাল থাকবে না এরূপ খটকা বা সন্দেহ যেন না থাকে। যেমন তিনি জাহান্নামীদের চিরস্থায়িত্বের বর্ণনার পরেও ওটা নিজের ইচ্ছা ও অভিপ্রায়ের দিকে ফিরিয়েছেন। এ সবই তাঁর নিপূণতা ও ইনসাফই বটে।সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে এসেছে যে, মৃত্যুকে সাদা কালো মিশ্রিত রং এর ভেড়ার আকারে নিয়ে আসা হবে। অতঃপর ওটাকে জান্নাতী ও জাহান্নামীদের মধ্যস্থানে যবাহ করা হবে। তারপর বলা হবেঃ “হে জান্নাতবাসী! তোমাদের এখানে চিরস্থায়ীভাবে অবস্থান করতে হবে। তোমাদের আর মৃত্যু হবে না। আর হে জাহান্নামবাসী! তোমাদেরকে এখানে চিরকাল অবস্থান করতে হবে এবং আর তোমাদের মরণ হবে না”।সহীহ হাদীসে আরো রয়েছে যে, বলা হবেঃ হে জান্নাতবাসী তোমাদের জন্য এই ফায়সালা করা হলো যে, তোমরা এখানে চিরকাল বাস করবে এবং তোমাদের কখনো মৃত্যু হবে না। তোমরা যুবক অবস্থাতেই থাকবে এবং কখনো বৃদ্ধ হবে না, তোমরা সুস্থ থাকবে এবং কখনো রোগাক্রান্ত হবে না, তোমরা খুশী থাকবে এবং কখনো দুঃখিত হবে না।