slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris slot qris bokep indo xhamster/a> jalalive/a>
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير الآية 101 من سورة سُورَةُ يُوسُفَ

Yusuf • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER

﴿ ۞ رَبِّ قَدْ ءَاتَيْتَنِى مِنَ ٱلْمُلْكِ وَعَلَّمْتَنِى مِن تَأْوِيلِ ٱلْأَحَادِيثِ ۚ فَاطِرَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ أَنتَ وَلِىِّۦ فِى ٱلدُّنْيَا وَٱلْءَاخِرَةِ ۖ تَوَفَّنِى مُسْلِمًۭا وَأَلْحِقْنِى بِٱلصَّٰلِحِينَ ﴾

“"O my Sustainer! Thou hast indeed bestowed upon me something of power, and hast imparted unto me some knowledge of the inner meaning of happenings. Originator of the heavens and the earth! Thou art near unto me in this world and in the life to come: let me die as one who has surrendered himself unto Thee, and make me one with the righteous!"”

📝 التفسير:

এটা হচ্ছে সত্যবাদী হযরত ইউসুফের (আঃ) তাঁর প্রতিপালক মহামহিমান্বিত আল্লাহর নিকট প্রার্থনা। তিনি নুবওয়াত লাভ করেছেন, তাঁকে রাজত্ব দান করা হয়েছে, বিপদ-আপদ থেকে তিনি মুক্তি পেয়েছেন, পিতা-মাতা এবং ভ্রাতাদের সাথে মিলন ঘটেছে, তাই এখন তিনি আল্লাহ পাকের নিকট প্রার্থনা করছেনঃ “হে আমার প্রতিপালক! পার্থিব নিয়ামতগুলি যেমন আপনি আমার উপর পরিপূর্ণ করেছেন, অনুরূপভাবে আখেরাতেও এই নিয়ামতগুলি আমাকে পরিপূর্ণভাবে প্রদান করুন। যখন আমার মৃত্যু আসবে তখন যেন তা ইসলাম ও আপনার আনুগত্যের উপরই আসে। আমাকে যেন সৎ লোকদের সাথে মিলিত হওয়ার সুযোগ দেয়া হয়। অন্যান্য নবী ও রাসূলদের সাথে যেন আমার সাক্ষাৎ ঘটে।”খুব সম্ভব হযরত ইউসুফের (আঃ) এই প্রার্থনা ছিল তাঁর মৃত্যুর সময়। যেমন সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে হযরত আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাঁর মৃত্যুর সময় নিজের অঙ্গুলী উত্তোলন করেন এবং প্রার্থনা করেন : (আরবি) অর্থাৎ “হে আল্লাহ্! মহান বন্ধুর সাথে আমার সাক্ষাত করিয়ে দিন!” তিনবার তিনি এই প্রার্থনাই করেন। আবার এটাও হতে পারে যে, তিনি যখনই মারা যাবেন তখনই যেন ইসলামের উপর মারা যান এবং নবীদের সাথে মিলিত হন, এই ছিল তাঁর প্রার্থনার উদ্দেশ্য। এ নয় যে, তখনই তিনি মৃত্যুর জন্যে প্রার্থনা করেছিলেন। এর দৃষ্টান্ত ঠিক এইরূপই যে, যেমন কেউ কাউকেও দুআ’ দিয়ে বলেঃ “আল্লাহ ইসলামের উপর তোমার মৃত্যু দিন।” তখন উদ্দেশ্য এটা থাকে না যে, তখনই আল্লাহ তার মৃত্যু ঘটিয়ে দিন। কিংবা যেমন আমরা প্রার্থনায় বলে থাকিঃ “হে আল্লাহ! আপনার দ্বীনের উপরই যেন আমাদের মৃত্যু হয়।” অথবা আমরা প্রার্থনায় বলিঃ “হে আল্লাহ! ইসলামের উপর আমাদের মৃত্যু ঘটিয়ে দিন এবং সৎ লোকদের সাথে আমাদের সাক্ষাৎ করিয়ে দিন। আর যদি তার উদ্দেশ্য এটাই থেকে থাকে যে, প্রকৃত পক্ষে তৎক্ষণাৎ তিনি মৃত্যুর জন্যে প্রার্থনা করেছিলেন তবে সম্ভবতঃ তাদের শরীয়তে ওটা জায়েয ছিল। যেমন কাতাদা’’র (রঃ) উক্তি রয়েছে যে, যখন হযরত ইউসুফের (আঃ) সমস্ত কাজ সমাপ্ত হয়ে গেল, চক্ষু ঠাণ্ডা হলো এবং রাজত্ব, সম্পদ, মান-সম্মান, বংশ, পরিবার ইত্যাদি সব কিছু মিলে গেল তখন তার সৎকর্মশীলদের সাথে মিলিত হওয়ার আগ্রহ হলো। হযরত ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলতেন যে, হযরত ইউসুফের (আঃ) পূর্বে কোন নবী কখনো মৃত্যু কামনা করেন নাই। অনুরূপভাবে ইবনু জারীর (রঃ) এবং সুন্দী (রঃ) হযরত ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন যে, হযরত ইউসুফ (আঃ) প্রথম নবী যিনি মৃত্যুর জন্যে প্রার্থনা করেছিলেন।আর এটা সম্ভব যে, তিনিই প্রথম ইসলামের উপর মৃত্যু বরণের প্রার্থনা জানিয়েছিলেন যেমন (আরবি) (৭১:২৮) এই দুআ’ সর্বপ্রথম হযরত নূহই (আঃ) করেছিলেন। এসব সত্ত্বেও যদি এটাই বলা হয় যে, হযরত ইউসুফ (আঃ) মৃত্যুর জন্যেই প্রার্থনা করেছিলেন তবে আমরা বলবো যে, হয়তো তাঁদের শরীয়তে এটা জায়েয। আমাদের শরীয়তে কিন্তু এটা কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ। হযরত আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “তোমাদের কেউ যেন তার প্রতি আপতিত কষ্ট ও বিপদের কারণে মৃত্যু কামনা না করে। যদি একান্তই মৃত্যু কামনা করতেই হয় তবে যেন বলেঃ “হে আল্লাহ! আমাকে জীবিত রাখুন যতদিন আমার জীবিত থাকা মঙ্গলজনক হয় এবং আমাকে মৃত্যু দান করুন যদি আমার জন্যে মৃত্যুই কল্যাণকর হয়।” (এ হাদীসটি ইমাম ইবনু হাম্বল (রঃ) স্বীয় মুসনাদে বর্ণনা করেছেন)সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমের এই হাদীসেই রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “তোমাদের কেউ যেন তার উপর আপতিত বিপদ-আপদের কারণে কখনো মৃত্যু কামনা না করে। যদি সে সৎ হয় তবে তার জীবন তার পূণ্য বৃদ্ধি করবে। আর যদি সে দুষ্ট হয় তবে তার জীবনে হয়তো কোন সময় তাওবা করার তাওফীক লাভ হবে। বরং সে যেন বলেঃ হে আল্লাহ! যতদিন আমার জীবিত থাকা কল্যাণকর হয় ততদিন আমাকে জীবিত রাখুন। আর যদি মৃত্যুই আমার জন্যে কল্যাণকর হয় তবে আমাকে মৃত্যু দান করুন।” হযরত আবু উমামা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ “(একদা) আমরা রাসূলুল্লাহর (সঃ) নিকট বসেছিলাম। তিনি আমাদের উপদেশ দান করেন এবং আমাদেরকে অন্তর গলিয়ে দেন। ঐ সময় আমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী ক্রন্দনকারী ছিলেন হযরত সা’দ ইবনু আবি অক্কাস (রাঃ)। কাঁদতে কাঁদতেই তাঁর মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসেঃ যদি আমি মরে যেতাম (তবে কতই না ভাল হতো)!' এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাকে বলেনঃ “হে সা’দ (রাঃ)! আমার সামনে তুমি মৃত্যু কামনা করছো?” তিন বার তিনি এ কথাই বলেন। অতঃপর বলেনঃ “হে সা’দ (রাঃ)! তোমাকে যদি বেহেশতের জন্যে সৃষ্টি করা হয়ে থাকে তবে তোমার বয়স যত বেশি হবে, পুন্য তত বৃদ্ধি পাবে। আর এটাই হবে তোমার জন্যে উত্তম।” (এ হাদীসটিও ইমাম আহমদ (রঃ) স্বীয় মুসনাদে বর্ণনা করেছেন)হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী (সঃ) বলেছেনঃ “তোমাদের কেউ যেন বিপদ আপতিত হওয়ার কারণে কখনো মৃত্যু কামনা না করে এবং তার জন্যে প্রর্থনা না করে তা এসে যাওয়ার পূর্বে। হ্যাঁ, তবে যদি তার নিজের আমলের উপর ভরসা থাকে তবে ওটা স্বতন্ত্র কথা। জেনে রেখোঁরেখো যে, যখন তোমাদের কেউ মারা যায় তখন তার আমল শেষ হয়ে যায়। মু'মিনের আমল তার পূণ্যই বাড়িয়ে থাকে।” জেনে রাখা প্রয়োজন যে, এই হুকুম হচ্ছে পার্থিব বিপদের ব্যাপারে এবং যা তার ব্যক্তিগত সম্পর্কযুক্ত হয়। কিন্তু যদি ধর্মীয় ফিৎনা হয় এবং দ্বীনী বিপদ হয় তবে মৃত্যুর জন্যে প্রার্থনা করা জায়েয। যেমন ফিরআউনের জাদুকরগণ ঐ সময় প্রার্থনা করেছিলেন যখন ফিরআউন তাদেরকে হত্যা করার হুমকি দিয়েছিল। ঐ সময় তারা প্রার্থনা করেছিলেনঃ “হে আমাদের প্রতিপালক! (আমাদের উপর ধৈর্য ঢেলে দিন এবং মুসলমান রূপে) আমাদেরকে মৃত্যু দান করুন। অনুরূপভাবে হযরত মরিয়ম (আঃ) কে যখন প্রসব বেদনা এক খেজুর বৃক্ষ তলে আশ্রয়ে বাধ্য করেছিল তখন তিনি বলেছিলেনঃ “হায়! এর পূর্বেই আমি যদি মরে যেতাম এবং লোকের স্মৃতি হতে সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হতাম।” এ কথা তিনি ঐ সময় বলেছিলেন যখন জনগণ তাঁকে ব্যাভিচারের অপবাদ দিচ্ছিল।কেননা, তাঁর স্বামী ছিল না, অথচ তিনি গর্ভধারণ করেছিলেন। যখন তার সন্তান ভূমিষ্টি হয় এবং তিনি সন্তানকে নিয়ে তাঁর সম্প্রদায়ের নিকট উপস্থিত হন তখন তারা বলেঃ “হে মরিয়ম (আঃ)! তুমি তো এক অদ্ভুত কাণ্ড করে বসেছে। হে হারুণ-ভগ্নী! তোমার পিতা অসৎ ব্যক্তি ছিল না এবং তোমার মাতাও ছিল না ব্যভিচারিণী।” কিন্তু তিনি যে এ পাপ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত এটা প্রমাণ করবার জন্যে আল্লাহ আআ’লা শিশু ঈসার (আঃ) মুখ দিয়ে বের করলেনঃ “আমি তো আল্লাহর বান্দা! তিনি আমাকে কিতাব দিয়েছেন এবং আমাকে নবী করেছেন। একটি হাদীসে একটি দীর্ঘ দুআ’’র বর্ণনা রয়েছে, যাতে এই বাক্যটিও রয়েছেঃ “যখন কোন কওমকে ফিৎনার মধ্যে নিক্ষেপ করার ইচ্ছা করবেন তখন আমাকে ঐ ফিৎনার মধ্যে জড়িত করার পূর্বেই উঠিয়ে নেন।” হযরত মাহমুদ ইবনু ওয়ালীদ (রঃ) হতে মারফূ’ রূপে বর্ণিত আছে যে, নবী (সঃ) বলেছেনঃ “বণী আদম নিজের পক্ষে দু’টি জিনিষকে খারাপ মনে করে থাকে। (১) মানুষ মৃত্যুকে খারাপ মনে করে। কিন্তু মৃত্যু মু’মিনের জন্যে ফিৎনা হতে উত্তম। (২) মালের স্বল্পতাকে মানুষ খারাপ মনে করে। অথচ মালের স্বল্পতা (কিয়ামতের দিনের) হিসাবকে কমিয়ে দেবে।” (এ হাদীসটি ইমাম আহমদ (রঃ) স্বীয় মুসনাদ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন) মোট কথা দ্বীনী ফিৎনার সময় মৃত্যু কামনা করা জায়েয।হযরত আলী (রাঃ) তাঁর খিলাফতের শেষ যুগে যখন দেখেন যে, জনগণের দুষ্টামী ও দুর্ব্যবহার কোন ক্রমেই কমছে না এবং কোন উপায়েই তাদেরকে একত্রিত করা সম্ভব হচ্ছে না, তখন তিনি প্রার্থনা করেনঃ “হে আল্লাহ! আমাকে আপনার নিকট উঠিয়ে নিন। আমি জনগণের উপর অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি এবং তারাও আমার উপর অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।”ইমাম বুখারীও (রঃ) যখন অত্যাধিক ফিৎনার মধ্যে পড়ে গেলেন এবং দ্বীনকে রক্ষা করা তাঁর পক্ষে অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে পড়লো, আর খুরাসানের আমীরের সাথে তাঁর বড় বড় যুদ্ধ সংঘটিত হলো তখন তিনি জনাব বারী তাআ’লার কাছে প্রার্থনা করলেনঃ “হে আল্লাহ! আপনি আমাকে আপনার নিকট উঠিয়ে নিন।”হাদীসে রয়েছে যে, ফিৎনার যুগে মানুষ কবরকে দেখে বলবেঃ “হায় যদি আমি এই জায়গায় থাকতাম। কেননা, ফিৎনা-ফাসাদ, বালা-মুসিবত এবং কাঠিন্য প্রত্যেক ফিৎনা পীড়িতকে ফিৎনায় নিক্ষেপ করবে।বর্ণিত আছে যে, হযরত ইয়াকুবের (আঃ) যে পুত্রগণ খুব বেশী অপরাধ করেছিলেন তাদের জন্যে যখন তিনি মহান আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করেন তখন আল্লাহ তাআ’লা তা কবুল করে নেন এবং তাদেরকে ক্ষমা করে দেন। (এটা তাফসীরে ইবনু জারীরে রয়েছে) হযরত আনাস (রাঃ) বলেন যে, যখন হযরত ইয়াকুবের (আঃ) বংশের সবাই মিসরে একত্রিত হন তখন হযরত ইউসুফের (আঃ) ভ্রাতাগণ পরস্পর বলাবলি করেনঃ “আমরা আমাদের পিতাকে যে জ্বালাতন করেছি তা তো স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়ে রয়েছে এবং ভাই ইউসুফের (আঃ) প্রতি যে অন্যায় আচরণ করেছি তাওতো প্রকাশমান। এখন যদিও এই দু’মহান ব্যক্তি আমাদেরকে কিছুই বললেন না বরং ক্ষমা করে দিলেন, তবুও আল্লাহর কাছে আমাদের অবস্থা কি হবে তা বাস্তবিকই চিন্তার বিষয়।” শেষ পর্যন্ত তারা একটা সিদ্ধান্তে উপণীত হয়ে বললেনঃ “চল আমরা আমাদের পিতার কাছে যাই এবং তাঁর সাথে এ ব্যাপারে আলাপ আলোচনা করি।” সুতরাং সবাই মিলে পিতার কাছে আসলেন। ঐ সময় হযরত ইউসুফ (আঃ) তাঁর নিকট বসেছিলেন। তারা সবাই একই সাথে বললেন : “জনাব, আজ আমরা আপনার কাছে এমন এক গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্যে এসেছি যে, এরূপ কাজের জন্যে ইতিপূর্বে আর কখনো আসি নাই। হে পিত! এবং হে ভ্রাতঃ আমরা এই সময় এমন বিপদে জড়িত হয়ে পড়েছি এবং আমাদের অন্তর এমনভাবে কাঁপছে যে, আজকের পূর্বে আমাদের অবস্থা এইরূপ কখনো হয় নাই।” মোট কথা, তাঁরা এমন বিনয় প্রকাশ করলেন যে, তাদের দু’জনের (পিতা ও পুত্রের) মন নরম হয়ে গেল। এটা প্রকাশ্য কথা যে, নবীদের অন্তর সমস্ত মাখলুকের তুলনায় বেশি দয়ার্দ্র ও কোমল হয়ে থাকে। তারা জিজ্ঞেস করলেনঃ “তোমরা কি বলতে চাও এবং তোমাদের উপর কি বিপদ পতিত হয়েছে?” সবাই সমস্বরে বলে উঠলেনঃ “আব্বা! আপনাকে কি পরিমাণ কষ্ট আমরা দিয়েছি তা আপনার জানা আছে এবং ভাই ইউসুফের (আঃ) উপর কত যে অত্যাচার করেছি তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। তারা দুজনই বললেনঃ “হ্যাঁ আমাদের তা জানা আছে। তারা জিজ্ঞেস করলেনঃ “এটা কি সত্য যে, আপনারা আমাদের অপরাধ ক্ষমা করে দিয়েছেন?” তারা উত্তরে বললেনঃ “হ্যাঁ, সম্পূর্ণ ঠিক। আমরা অন্তর থেকে তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছি।” তখন তারা বললেনঃ “আব্বা! আপনাদের ক্ষমা করা বৃথা হবে যদি না আল্লাহ ক্ষমা করেন।” তখন পিতা জিজ্ঞেস করলেনঃ “আচ্ছা, তা হলে তোমরা আমার কাছে চাচ্ছ কি?” তারা জবাবে বললেনঃ আমরা আপনার নিকট এটাই চাচ্ছি যে, আপনি আমাদের জন্যে আল্লাহ তাআ’লার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করবেন, এমনকি ওয়াহী দ্বারা আপনি জানতে পারেন যে, আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। তা হলেই আমরা মনে তৃপ্তি লাভ করতে পারি। অন্যথায় আমরা তো দুনিয়া ও আখেরাত সবই হারালাম।” তৎক্ষণাৎ হযরত ইয়াকুব (আঃ) দাড়িয়ে গেলেন এবং কিবলা মুখী হলেন। হযরত ইউসুফ (আঃ) তার পেছনে দাঁড়ালেন। অত্যন্ত বিনীতভাবে কেঁদে কেঁদে আল্লাহ তাআ’লার নিকট প্রার্থনা করতে শুরু করলেন। হযরত ইয়াকুব (আঃ) দুআ’ করছিলেন এবং হযরত ইউসুফ (আঃ) আমীন বলছিলেন। বিশ বছর পর্যন্ত দুআ’ কবুল হয় নাই। অবশেষে যখন ভ্রাতাদের শরীরের রক্ত আল্লাহ তাআ’লার ভয়ে শুকিয়ে যেতে লাগলো তখন ওয়াহী আসলো এবং তাদেরকে ক্ষমা করে দেয়ার সুসংবাদ দেয়া হলো। এমনকি হযরত ইয়াকুবকে (আঃ) এ কথাও বলা হলো যে, তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর সন্তানদেরকে নুবওয়াত দান করা হবে এটা আল্লাহর ওয়াদা। (এটা হযরত আনাসের (রাঃ) উক্তি। এর সনদে দু’জন বর্ণনাকারী দুর্বল রয়েছেন। তাঁরা হলেন ইয়াযীদ রিকাশী ও সা’লিহ মুররী)হযরত সুদ্দী (রঃ) বলেন যে, হযরত ইয়াকুব (আঃ) তাঁর মৃত্যুর সময় হযরত ইউসুফকে (আঃ) অসিয়ত করে যান যেন তাকে হযরত ইবরাহীম (আঃ) ও হযরত ইসহাকের (আঃ) জায়গায় সমাধিস্থ করা হয়। তাঁর ইন্তেকালের পর হযরত ইউসুফ (আঃ) তা পূর্ণ করেন এবং সিরিয়ায় তাঁকে পিতা ও পিতামহের পার্শ্বে দাফন করা হয়। তাঁদের সবারই উপর দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক।