slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris slot qris bokep indo xhamster/a> jalalive/a>
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير الآية 57 من سورة سُورَةُ يُوسُفَ

Yusuf • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER

﴿ وَلَأَجْرُ ٱلْءَاخِرَةِ خَيْرٌۭ لِّلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَكَانُوا۟ يَتَّقُونَ ﴾

“But in the eyes of those who have attained to faith and have always been conscious of Us, a reward in the life to come is a far greater good [than any reward in this world].”

📝 التفسير:

৫৬-৫৭ নং আয়াতের তাফসীর মিসরে হযরত ইউসুফ (আঃ) এতো উন্নতি লাভ করেন যে, সুদ্দী (রঃ) এবং আবদুর রহমান ইবনু যায়েদ ইবনু আসলামের (রঃ) মতে নিজের ইচ্ছামত যে কোন কাজ করার তিনি অধিকার ও স্বাধীনতা লাভ করেছিলেন। ইচ্ছামত তিনি সরকারী অর্থ ব্যয় করতে পারতেন এবং যেখানে ইচ্ছা সেখানেই ঘর নির্মাণ করতে পারতেন। আল্লাহর কি মহিমা! যে ইউসুফ (আঃ) এতো দিন জেলের নির্জন কক্ষে বসবাস করছিলেন তিনি আজ রাষ্ট্রের অধিনায়ক। আজ তাঁর যা ইচ্ছা তাই করার অধিকার রয়েছে। সত্যিই আল্লাহ তাআ’লা যাকে চান তাকে ইচ্ছামত করুণার অংশ দান করে থাকেন। ধৈর্যশীলরা অবশ্যই ধৈর্যের ফল পেয়ে থাকেন। তিনি ভাইদের দেয়া কষ্ট সহ্য করেছেন, আল্লাহর নাফরমানি থেকে বাঁচার জন্যে মিসরের আযীযের স্ত্রীর অপ্রীতিভাজন হয়েছেন এবং জেলখানার কষ্ট সহ্য করেছেন। ফলে আল্লাহর করুণা উথলিয়ে উঠেছে এবং তিনি ধৈর্যের ফল প্রাপ্ত হয়েছেন। সৎকর্মশীলদের সৎকর্ম কখনো বিফলে যায় না। অতঃপর এইরূপ ঈমানদার ও খোদাভীরু ব্যক্তিবর্গ আখেরাতে উচ্চ মর্যাদা ও অধিক পূণ্যের অধিকারী হবেন। এখানে তারা যা পেলেন পরকালে এর চেয়ে বহুগুণে বেশী পাবেন। হযরত সুলাইমান (আঃ) সম্পর্কে মহান আল্লাহ স্বীয় পবিত্র কিতাবে বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “এ সব আমার অনুগ্রহ, এটা হতে তুমি অন্যকে দিতে অথবা নিজে রাখতে পার, এর জন্যে তোমাকে হিসাব দিতে হবে না। আর আমার কাছে রয়েছে তার জন্যে উচ্চ মর্যাদা ও শুভ পরিণাম।” (৩৮: ৩৯-৪০)মোটকথা, মিসরের বাদশাহ্ রাইয়ান ইবনু ওয়ালীদ মিসর সাম্রাজ্যের মন্ত্রীত্বের দায়িত্ব হযরত ইউসুফকে (আঃ) অর্পণ করেন। ইতিপূর্বে উক্ত পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন ঐ মহিলাটির স্বামী যে তাকে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট করতে চেয়েছিল। তিনিই তাঁকে ক্রয় করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত মিসরের বাদশাহ তাঁর হাতে ঈমান আনয়ন করেন।মুহাম্মদ ইবনু ইসহাক (রঃ) বলেন যে, যে লোকটি হযরত ইউসুফকে (আঃ) ক্রয় করেছিলেন তাঁর নাম ছিল ইতফীর। তিনি তৎকালীন সময়েই ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যুর পর মিসরের বাদশাহ তার স্ত্রী রাঈলের সাথে হযরত ইউসুফের (আঃ) বিয়ে দিয়ে দেন। যখন তিনি তাঁর সাথে মিলিত হন তখন তাকে বলেনঃ “আচ্ছা বলতো তুমি যে ইচ্ছা পোষণ করেছিলে তার চেয়ে এটা উত্তম নয় কি?” সে উত্তরে বলেছিলঃ “হে সত্যবাদী ও সত্যের সাধক! আমাকে আর ভৎসনা করবেন না। আপনি জানেন যে, আমি ছিলাম সৌন্দর্য ও প্রচুর ধন দৌলতের অধিকারিণী মহিলা। আমার স্বামী ছিলেন পুরুষত্বহীন। তিনি আমার সাথে সহবাস করতেই সক্ষম ছিলেন না। এদিকে আল্লাহ তাআ’লা যে আপনাকে দৈহিক সৌন্দর্য সম্পদে সম্পদশালী করেছেন এটা তো বলাই বাহুল্য। সুতরাং এখন আপনি আমাকে তিরস্কার করবেন না। সুতরাং এটা ধারণা করা হয় যে, হযরত ইউসুফ (আঃ) মহিলাটিকে কুমারী অবস্থাতেই পেয়েছিলেন। তার গর্ভে তার দু’টি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁদের নাম ছিল আফরাসীম ও মীশা। আফরাসীমের ঔরষে নূন জন্ম গ্রহণ করেছিল। তিনি ছিলেন হযরত ইউশার (আঃ) পিতা। আর রহমত নাম্নী এক কন্যা জন্ম গ্রহণ করেন এবং তিনি ছিলেন হযরত আইয়ুবের (আঃ) স্ত্রী। হযরত ফযল ইবনু আইয়াহ্ (রঃ) বলেন যে, আযীযের স্ত্রী রাস্তায় দাঁড়িয়েছিল, এমতাবস্থায় হযরত ইউসুফ (আঃ) সেখান দিয়ে গমন করেন। ঐ সময় স্বতঃস্ফূর্তভাবে তার মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসেঃ “সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্যে, যিনি তাঁর প্রতি আনুগত্যের কারণে দাসদের বাদশাহীর আসনে সমাসীন করিয়েছেন এবং তার নাফরমানীর কারণে বাদশাহদের দাসে পরিণত করেছেন।”