Yusuf • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ فَلَمَّا دَخَلُوا۟ عَلَيْهِ قَالُوا۟ يَٰٓأَيُّهَا ٱلْعَزِيزُ مَسَّنَا وَأَهْلَنَا ٱلضُّرُّ وَجِئْنَا بِبِضَٰعَةٍۢ مُّزْجَىٰةٍۢ فَأَوْفِ لَنَا ٱلْكَيْلَ وَتَصَدَّقْ عَلَيْنَآ ۖ إِنَّ ٱللَّهَ يَجْزِى ٱلْمُتَصَدِّقِينَ ﴾
“[AND THE SONS of Jacob went back to Egypt and to Joseph;] and when they presented themselves before him, they said: "O thou great one! Hardship has visited us and our folk, and so we have brought but scanty merchandise; but give us a full measure [of grain], and be charitable to us: behold, God rewards those who give in charity!"”
৮৭-৮৮ নং আয়াতের তাফসীর হযরত ইয়াকুব (আঃ) স্বীয় পুত্রদেরকে আদেশ করছেনঃ “হে আমার প্রিয় বৎসগণ! তোমরা এদিক ওদিক গমন কর এবং ইউসুফ (আঃ)ও বিনইয়ামীনের খোঁজ কর।” আরবী ভাষায় (আরবি) শব্দটি ভাল অনুসন্ধান করার ব্যাপারে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আর মন্দ অনুসন্ধানের ব্যাপারে ব্যবহৃত হয় (আরবি) শব্দটি। এর সাথে সাথেই তিনি পুত্রদেরকে বলেন: “আল্লাহর সত্ত্বা থেকে নিরাশ হয়ে যেয়ো না। তাঁর করুণা ও রহমত থেকে কাফিররা ছাড়া আর কেউই নিরাশ হয় না। তোমরা তাদের অনুসন্ধান বন্ধ করে দিয়ো না। আল্লাহর নিকট তোমরা ভাল আশা কর। তোমরা নিজেদের চেষ্টা চালিয়ে যাও।”পিতার উপদেশ ক্রমে তাঁরা যাত্রা শুরু করে মিসরে পৌঁছে গেলেন। হযরত ইউসুফের (আঃ) সামনে হাজির হয়ে তাঁরা নিজেদের দুরাবস্থার কথা প্রকাশ করলেন। তারা বললেনঃ “দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ে আমরা ধ্বংসের মুখোমুখি হয়ে গেছি। আমাদের কাছে এমন কিছুই নেই যার দ্বারা আমরা খাদ্য ক্রয় করতে পারি। আমাদের কাছে খারাপ, মেকী, ত্রুটিযুক্ত এবং মূল্য হতে পারে না, এরূপ সামান্য কিছু রয়েছে। এগুলো নিয়েই আমরা আপনার কাছে এসেছি। যদিও এগুলো খাদ্যের বিনিময় হতে পারে না, তথাপি আমরা কামনা করছি যে, আপনি আমাদেরকে ওগুলোই প্রদান করবেন: যেগুলো সঠিক ও পূর্ণ মূল্যের বিনিময়ে দেয়া হয়ে থাকে। আমরা আশা রাখছি যে, আপনি আমাদের বোঝা পূর্ণ করবেন এবং আমাদের বস্তা ভর্তি করে দেবেন।” হযরত ইবনু মাসউদের (রাঃ) কিরআতে (আরবি) এর স্থলে (আরবি) রয়েছে। অর্থাৎ আপনি আমাদের উট খাদ্য দ্বারা বোঝাই করে দিন।অথবা ভাবার্থ হচ্ছে : এই খাদ্য আমাদেরকে আমাদের এই মালের বিনিময়ে নয়, বরং দান হিসেবে প্রদান করুন! হযরত সুফইয়ান ইবনু উয়াইনাকে (রাঃ) প্রশ্ন করা হয়ঃ “আমাদের নবীর (সঃ) পূর্বেও কি কোন নবীর উপর সাদকা হারাম ছিল?” উত্তরে তিনি এই আয়াতটিই পাঠ করে দলীল হিসাবে বলেনঃ “না, ইতিপূর্বে অন্য কোন নবীর উপর সাদকা হারাম হয় নাই।”হযরত মুজাহিদকে (রঃ) প্রশ্ন করা হয়ঃ “কোন ব্যক্তি তার প্রার্থনায় হে আল্লাহ! আমার উপর সাদকা করুন, একথা বলা কি মাকরূহ?” তিনি উত্তরে বলেনঃ “হ্যাঁ। কেননা, ‘সাদকা’ সেই করে থাকে যে সাওয়াব চায়।”