Ar-Ra'd • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ وَٱلَّذِينَ يَنقُضُونَ عَهْدَ ٱللَّهِ مِنۢ بَعْدِ مِيثَٰقِهِۦ وَيَقْطَعُونَ مَآ أَمَرَ ٱللَّهُ بِهِۦٓ أَن يُوصَلَ وَيُفْسِدُونَ فِى ٱلْأَرْضِ ۙ أُو۟لَٰٓئِكَ لَهُمُ ٱللَّعْنَةُ وَلَهُمْ سُوٓءُ ٱلدَّارِ ﴾
“But as for those who break their bond with God after it has been established [in their nature], and cut asunder what God has bidden to be joined, and spread corruption on earth -their due is rejection [by God], and theirs is a most evil fate [in the life to come].”
মুমিনমু’মিনদের গুণাবলী উপরে বর্ণনা করার পর এখানে ঐ হতভাগ্যদের বর্ণনা দেয়া হচ্ছে, যারা মুমিনমু’মিনদের বিপরীত স্বভাব বিশিষ্ট। তারা আল্লাহর সাথে কৃত ওয়াদার প্রতি না কোন ভ্রুক্ষেপ করতো, না তারা আত্মীয়তার সম্পর্ক যুক্ত রাখতো, না আল্লাহ তাআ’লার আদেশ নিষেধের প্রতি কোন খেয়াল রাখতো। এরা হচ্ছে অভিশপ্ত দল এবং এদের পরিণাম বড়ই মন্দ। যেমন হাদীসে এসেছেঃ “মুনাফিকের নিদর্শন তিনটি। যখন তারা কথা বলে মিথ্যা বলে, যখন কোন ওয়াদা করে তখন খেলাফ করে এবং যখন তাদের কাছে কোন আমানত রাখা হয় তখন তারা খেয়ানত করে।” আর একটি রিওয়াইয়াতে আছেঃ “যখন কোন চুক্তি করে তখন তা ভঙ্গ করে, যখন ঝগড়া করে তখন কটু ও অশ্লীল বাক্য প্রয়োগ করে।” এই শ্রেণীর লোক আল্লাহ তাআ’লার করুণা লাভ করবে না। এবং এদের পরিণাম হবে খুবই মন্দ। এরা হচ্ছে জাহান্নামী দল।(আরবি) এই আয়াতের ব্যাপারে আবুল আ’লিয়া (রঃ) বলেন যে, মুনাফিকদের মধ্যে ছ'টি অভ্যাস প্রকাশ পায় যখন তারা বিজয়ী হয়। অভ্যাসগুলি হচ্ছেঃ মিথ্যা কথা বলা,ওয়াদা খেলাফ করা, আমানতের খিয়ানত করা, আল্লাহর সাথে কৃত চুক্তি ভঙ্গ করা, আল্লাহ তাআ’লা যে সম্পর্ক অক্ষুন্ন রাখতে আদেশ করেছেন তা অক্ষুন্ন না রাখা এবং ভূ-পৃষ্ঠে বিশৃংখলা ও অশান্তি ছড়িয়ে দেয়া। আর যখন তারা বিজিত হয় তখন তাদের তিনটি স্বভাব প্রকাশ পায়ঃ যখন কথা বলে মিথ্যা বলে, ওয়াদা করলে খেলাফ করে এবং আমানত রাখা হলে খিয়ানত করে।