Ar-Ra'd • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ أَفَمَنْ هُوَ قَآئِمٌ عَلَىٰ كُلِّ نَفْسٍۭ بِمَا كَسَبَتْ ۗ وَجَعَلُوا۟ لِلَّهِ شُرَكَآءَ قُلْ سَمُّوهُمْ ۚ أَمْ تُنَبِّـُٔونَهُۥ بِمَا لَا يَعْلَمُ فِى ٱلْأَرْضِ أَم بِظَٰهِرٍۢ مِّنَ ٱلْقَوْلِ ۗ بَلْ زُيِّنَ لِلَّذِينَ كَفَرُوا۟ مَكْرُهُمْ وَصُدُّوا۟ عَنِ ٱلسَّبِيلِ ۗ وَمَن يُضْلِلِ ٱللَّهُ فَمَا لَهُۥ مِنْ هَادٍۢ ﴾
“IS, THEN, HE who has every living being in His almighty care, [dealing with each] according to what it deserves -[is, then, He like anything else that exists]? And yet, they ascribe to other beings a share in God's divinity! Say: "Give them any name [you please]: but do you [really think that you could] inform Him of anything on earth that He does not know-or [do you] but play with words?, Nay, goodly seems their false imagery to those who are bent on denying the truth, and so they are turned away from the [right] path: and he whom God lets go astray can never find any guide.”
আল্লাহ তাআ’লা বলেনঃ আল্লাহ তাআ’লা প্রত্যেক মানুষের আমলের রক্ষক। প্রত্যেকের আমল সম্পর্কে তিনি পূর্ণ ওয়াকিফহাল। প্রত্যেক নফসের উপর তিনি প্রহরী। প্রত্যেক অমলকারীর ভাল ও মন্দ আমল তিনি সম্যক অবগত। কোন জিনিসই তার থেকে গোপনীয় নয়। তাঁর অজান্তে কোন কাজই হয় না। প্রত্যেক অবস্থা তাঁর অবগতিতে রয়েছে। প্রত্যেক আমলের উপর তিনি বিদ্যমান রয়েছেন। প্রতিটি পাতা ঝরে পড়ারও খবর তিনি রাখেন। প্রত্যেক প্রাণীর আহারের দায়িত্ব আল্লাহ তাআ’লার উপর রয়েছে। প্রত্যেকের ঠিকানা তিনি জানেন। সমস্ত কিছু তাঁর কিতাবে লিপিবদ্ধ রয়েছে। প্রকাশ্য ও গোপনীয় সমস্ত বিষয়ই তিনি জানেন। তোমরা যেখানেই থাক না কেন সেখানেই আল্লাহ তাআ’লা তোমাদের সাথে রয়েছেন। তিনি তোমাদের আমলগুলি দেখতে আছেন। এই সব গুণের অধিকারী আল্লাহ কি তোমাদের এইসব মিথ্যা উপাস্যের মত? যারা শুনেও না, দেখেও না? না তারা কোন জিনিসের মালিক, না অন্য কারো লাভ ও ক্ষতির তাদের কোন ইখতিয়ার রয়েছে। এই প্রশ্নের জবাবকে উহ্য রাখা হয়েছে। কেননা, কালামের ইঙ্গিত এখানে বিদ্যমান রয়েছে এবং তা হচ্ছে (আরবি) আল্লাহ তাআ’লার এই উক্তিটি। অর্থাৎ “তারা আল্লাহর সাথে অন্যদেরকে শরীক বানিয়ে নিয়েছে এবং তাদের ইবাদত করতে শুরু করেছে। তোমরা তাদের নাম তো বল এবং তাদের অবস্থা তো বর্ণনা কর, যাতে দুনিয়া জেনে নেয় যে, তাদের কোন অস্তিত্বই নেই। তোমরা কি যমীনের ঐ জিনিসগুলোর খবর আল্লাহকে দিচ্ছ যা তিনি জানেন না? অর্থাৎ যাদের কোন অস্তিত্বই নেই? কেননা, যদি ওগুলির কোন অস্তিত্ব থাকতো তবে সেগুলি আল্লাহ তাআ’লার অবগতির বাইরে থাকতো না। কেননা, তাঁর কাছে কোন গোপন হতে গোপনতম জিনিষও প্রকৃত পক্ষে গোপন নেই। তোমরা শুধু একটা আজগুবী কথা বানিয়ে নিয়েছে এবং আবোল তাবোল বকছো। তোমরা নিজেরাই তাদের নামগুলি বানিয়ে নিয়েছে। তোমরাই তাদেরকে লাভ ও ক্ষতির মালিক বলে ঘোষণা করছে এবং তাদের উপাসনা শুরু করে দিয়েছে। এগুলি সবই তোমাদের মনগড়া। তোমাদের হাতে কোন খোদায়ী দলিলও নেই এবং অন্য কোন দলিলও নেই। এগুলি তোমরা শুধু ধারণা ও প্রবৃত্তির বশবর্তী হয়েই করছে। আল্লাহর পক্ষ হতে হিদায়াত নাযিল হয়েছে। কাফিরদের চক্রান্ত ও ছলনা তাদের কাছে শোভনীয় প্রতীয়মান হচ্ছে। তারা তাদের কুফরী ও শিরকের উপর গর্ববোধ করছে। দিনরাত তারা তাতেই মগ্ন রয়েছে। আর অন্যদেরকেও তারা ঐ দিকেই আহবান করছে। যেমন আল্লাহ তাআ’লা বলেনঃ “শয়তানরা তাদের সামনে তাদের দুষ্কার্যকে শোভনীয় করে তুলেছে। তাদেরকে আল্লাহর পথ ও হিদায়াতের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এক কিরআতে (আরবি) ও রয়েছে। অর্থাৎ তারা ওটাকে ভাল মনে করে অন্যদেরকে ওর ফাঁদে ফেলতে শুরু করেছে এবং রাসূলদের (সঃ) পথ। হতে জনগণকে ফিরিয়ে রাখছে।আল্লাহ পাক বলেনঃ “আল্লাহ যাকে বিভ্রান্ত করেন তার কোন পথ প্রদর্শক নেই।” যেমন আল্লাহ তাআ’লা অন্য জায়গায় বলেনঃ (আরবি)অর্থাৎ “ (হে নবী সঃ)! আল্লাহ যাকে ফিৎনায় ফেলার ইচ্ছা করেন, তুমি তার জন্যে আল্লাহর কাছে কখনো কোন কিছুরই অধিকার রাখবে না।” (৫: ৪১) অন্য স্থানে মহান আল্লাহ বলেনঃ (আরবি)অর্থাৎ “যদিও তুমি তাদের হিদায়াত প্রাপ্তির জন্যে লালায়িত, কিন্তু নিশ্চয় আল্লাহ পথভ্রষ্টদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না এবং তাদের জন্যে কোন সাহায্যকারী নেই।” (১৬: ৩৭)