Ibrahim • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ مُهْطِعِينَ مُقْنِعِى رُءُوسِهِمْ لَا يَرْتَدُّ إِلَيْهِمْ طَرْفُهُمْ ۖ وَأَفْـِٔدَتُهُمْ هَوَآءٌۭ ﴾
“the while they will be running confusedly to and fro, with their heads upraised [in supplication], unable to look away from what they shall behold, and their hearts an abysmal void.”
৪২-৪৩ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ তাআলা বলেনঃ “কেউ যেন এটা মনে না করে যে, যারা অসৎকর্ম করে তাদের কর্ম সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা উদাসীন, তিনি কোন খবর রাখেন, এজন্যেই তারা দুনিয়ায় সুখে শান্তিতে বসবাস করছে। এ ধারণা মোটেই ঠিক নয়। বরং আল্লাহ তাআলা এক একজনের এক এক মুহূর্তের ভালমন্দ কাজ সম্পর্কে পুর্ণ ওয়াকিফহাল। তিনি ইচ্ছা করেই তাদেরকে অবকাশ দিয়ে রেখেছেন, উদ্দেশ্য এই যে, হয় তারা দুষ্কর্ম হতে বিরত থাকবে, না হয় তাদের পাপের বোঝা আরো ভারী হয়ে যাবে। শেষ পর্যন্ত কিয়ামতের দিন এসে যাবে, যেই দিনের ভয়াবহতায় তাদের চক্ষুগুলিহয়ে যাবে স্থির ও বিস্ফারিত, ভীত বিহ্বল চিত্তে দৃষ্টি উপরের দিকে উঠিয়ে তারা আহ্বানকারীর শব্দের দিকে ছুটাছুটি করবে।” এখানে আল্লাহ তাআলা মানুষের কবর হতে পুনরুত্থিত হওয়া ও হাশরের মাঠে দাঁড়াবার জন্যে তাড়াহুড়া করার অবস্থা বর্ণনা করছেন।এ দিন তারা সরাসরি ঐ দিকেই দৌড় দেবে এবং সবাই সেদিন সম্পূর্ণরূপে অনুগত হয়ে যাবে। সেখানে হাজিরহওয়ার জন্যে তারা ব্যাকুল হয়ে ফিরবে। চক্ষ তাদের নীচের দিকে ঝুঁকবে না। ভয় ও ত্রাসের কারণে তাদের চোখে পলক পড়বে না। অন্তরের অবস্থা এমন হবে যে, যেন তা উড়ে যাচ্ছে এবং শূন্য পড়ে আছে। ভয় ও আতংক ছাড়া আর কিছুই থাকবে না। প্রাণ হয়ে পড়বে কণ্ঠাগত। ভীষণ ভয়ের কারণে তা নিজ স্থান থেকে সরে পড়বে এবং অবস্থা অত্যন্ত খারাপ হয়ে যাবে।