Al-Hijr • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ قَالَ لَمْ أَكُن لِّأَسْجُدَ لِبَشَرٍ خَلَقْتَهُۥ مِن صَلْصَٰلٍۢ مِّنْ حَمَإٍۢ مَّسْنُونٍۢ ﴾
“[Iblis] replied: "It is not for me to prostrate myself before mortal man whom Thou hast created out of sounding clay, out of dark slime transmuted!"”
২৮-৩৩ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ তাআলা বলছেন, হযরত আদমের (আঃ) সৃষ্টির পূর্বে ফেরেস্তাদের সামনে তিনি তাঁর সৃষ্টি সম্পর্কে আলোচনা করেন। অতঃপর তাকে সৃষ্টি করতঃ তাঁদের সামনে তাঁর মর্য- একাশ করেন এবং তাঁদেরকে তাকে সিজদা করার নির্দেশ দেন। ইবলীস ছাড়া সবাই তাঁর এ নির্দেশ মেনে নেন। অভিশপ্ত ইবলীস তাঁকে সিজদা করতে অস্বীকার করে। সে কুফরী, হিংসা এবং অহংকার করে। সে স্পষ্টভাবে বলে দেয়ঃ “আমি হলাম আগুনের তৈরী এবং আদম (আঃ) হলো মাটির তৈরী। কাজেই আমি তার চেয়ে উত্তম। সুতরাং আপনি আমার উপর তাকে মর্যাদা দিলেও আমি তাকে সিজদা করতে পারি না। জেনে রাখুন যে, আমি তাকে পথভ্রষ্ট ও বিভ্রান্ত করে ছাড়বো।”ইবনু জারীর (রঃ) এখানে একটি অতি বিস্ময়কর হাদীস বর্ণনা করেছেন। হযরত ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ “আল্লাহ তাআলা ফেরেশতাদেরকে সৃষ্টি করার পর তাদেরকে বলেনঃ “মাটি দ্বারা আমি মানুষ সৃষ্টি করবো। যখন আমি তাকে সুঠাম করবো এবং তাতে আমার রূহ্ সঞ্চার করবো তখন তোমরা তার প্রতি সিজদাবনত হয়ো।” তারা বললোঃ “আমরা এরূপ করবো না।” তৎক্ষণাৎ তিনি তাদের কাছে আগুনকে পাঠিয়ে দেন এবং তা তাদেরকে জ্বালিয়ে দেয়। তারপর তিনি অন্য ফেরেস্তা সৃষ্টি করেন এবং তাদেরকেও অনুরূপ কথা বলেন। তাঁরা জবাবে বলেনঃ “আমরা শুনলাম ও মানলাম।” কিন্তু ইবলীস প্রথম অস্বীকারকারীদের অন্তর্ভূক্ত ছিল এবং সে অস্বীকার করেই রইলো।” কিন্তু এটা হযরত ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হওয়া প্রমাণিত নয়। স্পষ্টতঃ এটা প্রতীয়মান হচ্ছে যে, এটা ইসরাঈলী রিওয়াইয়াত। এসব ব্যাপারে আল্লাহ তাআলাই সর্বাধিক সঠিক জ্ঞানের অধিকারী।