Al-Hijr • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ قَالَ وَمَن يَقْنَطُ مِن رَّحْمَةِ رَبِّهِۦٓ إِلَّا ٱلضَّآلُّونَ ﴾
“[Abraham] exclaimed: "And who-other than those who have utterly lost their way-could ever abandon the hope of his Sustainer's grace?"”
৫১-৫৬ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ তাআলা স্বীয় নবীকে (সঃ) বলছেনঃ “হে মুহাম্মদ (সঃ)! তুমি তাদেরকে ইবরাহীমের (আঃ) অতিথিদের সম্পর্কে খবর দিয়ে দাও।' (আরবি) শব্দটিকে একবচন ও বহুবচন উভয়ের উপরই প্রয়োগ করা হয়, যেমন (আরবি) ও (আরবি) শব্দদ্বয়। এই অতিথিগণ ছিলেন ফেরেস্তা, যারা মানুষের রূপধরে সালাম করতঃ হযরত ইব্রাহীমের (আঃ) নিকট হাযির হয়েছিলেন। হযরত ইব্রাহীম (আঃ) তাঁদের জন্যে গো-বৎস যবাহ করেন এবং গোশত ভেজে তাঁদের সামনে পেশ করেন। কিন্তু যখন তিনি দেখেন যে, তাঁরা হাত বাড়াচ্ছেন না তখন তাঁর মনে ভয়ের সঞ্চার হয় এবং বলেনঃ “আমি তো আপনাদেরকে ভয় করছি।” ফেরেশতাগণ তখন তাঁকে নিরাপত্তা দান করে বলেনঃ “আপনার ভয়ের কোন কারণ নেই।” অতঃপর তারা তাকে হযরত ইসহাকের (আঃ) জন্ম লাভের শুভ সংবাদ দান করেন। যেমন সূরায়ে হুদে বর্ণিত হয়েছে। তখন তিনি তাঁর নিজের ও তাঁর স্ত্রীর বার্ধক্যকে সামনে রেখে স্বীয় বিস্ময় দূরীকরণার্থে এবং ওয়াদাকে দৃঢ় করানোর লক্ষ্যে তাদেরকে জিজ্ঞেস করেনঃ “এই (বার্ধক্যের) অবস্থায়ও কি আমার সন্তান জন্মগ্রহণ করবে।” ফেরেশতাগণ উত্তরে দৃঢ়তার সাথে ওয়াদার পুনরাবৃত্তি করেন আর তাঁকে নিরাশ না হওয়ার উপদেশ দেন। তখন তিনি নিজের মনের বিশ্বাসকে প্রকাশ করতঃ বলেনঃ “আমি নিরাশ হই নাই। বরং আমি বিশ্বাস রাখি যে, আমার প্রতিপালক আল্লাহ এর চেয়েও বড় কাজের ক্ষমতা রাখেন।