Al-Hijr • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا ٱلذِّكْرَ وَإِنَّا لَهُۥ لَحَٰفِظُونَ ﴾
“Behold, it is We Ourselves who have bestowed from on high, step by step, this reminder? and, behold, it is We who shall truly guard it [from all corruption].”
৬-৯ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ তাআলা এখানে কাফিরদের কুফরী, অবাধ্যতা, ঔদ্ধত্যপনা, অহংকার এবং হঠকারিতার সংবাদ দিচ্ছেন যে, তারা বিদ্রুপ করে রাসূলুল্লাহকে (সঃ) বলতোঃ ‘হে সেই ব্যক্তি যে তার উপর কুরআন অবতীর্ণ হওয়ার দাবী করছে অর্থাৎ-হে মুহাম্মদ (সঃ)! আমরা তো দেখছি যে, তুমি একটা আস্ত পাগল, তাই তুমি আমাদেরকে তোমার অনুসরণ করার জন্যে আহ্বান করছে। এবং আমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছ যে, আমরা যেন আমাদের বাপদাদা ও পূর্ব পুরুষদের ধর্ম পরিত্যাগ করি। যদি তুমি সত্যবাদী হয়ে থাকো তবে আমাদের কাছে ফেরেস্তাদেরকে আনয়ন করছো না কেন? তাহলে তারা এসে আমাদের কাছে তোমার সত্যবাদিতার বর্ণনা দেবে?’ ফিরাউনও যেমন বলেছিলঃ (আরবি) অর্থাৎ “তার উপর সোনার কংকন কেন নিক্ষেপ করা হয়নি, অথবা ফেরেশতারা তার সাথে মিলিত হয়ে কেন আসেনি?” (৪৩:৫৩) অন্য জায়গায় আল্লাহ তাআলা বলেনঃ “যারা আমার সাক্ষাৎ কামনা করে না তারা। বলেঃ “আমাদের নিকট ফেরেস্তা অবতীর্ণ করা হয় না কেন? অথবা আমরা আমাদের প্রতিপালককে প্রত্যক্ষ করি না কেন? তারা তাদের অন্তরে অহংকার পোষণ করে এবং তারা সীমালংঘন করেছে গুরুতর রূপে।যেদিন তারা ফেরেশতাদেরকে প্রত্যক্ষ করবে সেদিন অপরাধীদের জন্যে সুসংবাদ থাকবে না এবং তারা বলবেঃ “রক্ষা কর, রক্ষা কর।” অনুরূপ অত্র আয়াতে বলেনঃ “আমি ফেরেশতাদেরকে যথার্থ কারণ ব্যতীত প্রেরণ করি না; ফেরেস্তারা হাযির হলে তারা অবকাশ পাবে না।”মহান আল্লাহ বলেনঃ “এই যিকর অর্থাৎ কুরআন কারীম আমি অবতীর্ণ করেছি, আর এর সংরক্ষণের দায়িত্বশীল আমিই। আমিই এটাকে সর্বক্ষণের জন্যে পরিবর্তন ও পরিবর্ধন হতে রক্ষা করবো। কেউ কেউ বলেন যে, এর। সর্বনামটি নবীর (সঃ) দিকে প্রত্যাবর্তিত হয়েছে। অর্থাৎ কুরআন আল্লাহ কর্তৃকই অবতীর্ণ করা হয়েছে এবং নবীর (সঃ) রক্ষক তিনিই। যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “হে নবী (সঃ) আল্লাহ তোমাকে মানুষের উৎপীড়ন থেকে রক্ষা করবেন।” (৫:৬৭) তবে প্রথম অর্থটিই সঠিকতর। রচনা ভংগীও এটাকেই প্রাধান্য দেয়।