slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris slot qris bokep indo xhamster/a> jalalive/a>
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير الآية 93 من سورة سُورَةُ الحِجۡرِ

Al-Hijr • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER

﴿ عَمَّا كَانُوا۟ يَعْمَلُونَ ﴾

“for whatever they have done!”

📝 التفسير:

৮৯-৯৩ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ তাআলা স্বীয় নবীকে (সঃ) নির্দেশ দিচ্ছেনঃ “হে নবী (সঃ)! তুমি। জনগণের সামনে ঘোষণা করে দাওঃ আমি সমস্ত মানুষকে আল্লাহর শাস্তি হতে প্রকাশ্য ভয় প্রদর্শক। জেনে রেখো যে, আমার উপর মিথ্যারোপ কারীরা পূর্ববর্তী নবীদের উপর মিথ্যারোপ কারীদের মতই আল্লাহর আযারের শিকার হয়ে যাবে। (আরবি) শব্দের ভাবার্থ হচ্ছে শপথকারীগণ, যারা নবীদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করা, তাঁদের বিরুদ্ধাচরণ করা এবং তাঁদেরকে কষ্ট দেয়ার উপর পরম্পর শপথ গ্রহণ করতো। যেমন হযরত সালেহের (আঃ) কওমের বর্ণনা কুরআন কারীমে রয়েছে যে, তারা শপথ করে বলেছিলঃ রাতারাতি আমরা সালেহ (আঃ) ও তার পরিবার বর্গকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেবো।” অনুরূপ ভাবে কুরআনপাকে রয়েছে যে, তারা আল্লাহর নামে কঠিন শপথ করে বলেছিলঃ “যে মরে গেছে তাকে আল্লাহ পুনরুত্থিত করবেন না। অন্য জায়গায় এই ব্যাপারে শপথ করার উল্লেখ আছে যে, মুসলমানরা কখনো কোন করুণা লাভ করতে পারে না। মোট কথা, যেটা তারা স্বীকার করতো না ওর উপর শপথ করার তাদের অভ্যাস ছিল। হযরত আবু মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী (সঃ) বলেছেনঃ “আমার এবং যে হিদায়াতসহ আমাকে প্রেরণ করা হয়েছে তার দৃষ্টান্ত ঐ ব্যক্তির মত, যে তার কওমের নিকট এসে বললোঃ হে লোক সকল! আমি শত্রু সেনাবাহিনী স্বচক্ষে দেখে এলাম। সুতরাং তোমরা সাবধান হয়ে যাও এবং মুক্তি লাভের জন্যে প্রস্তুত হও। এখন কিছু লোক তার কথা বিশ্বাস করলো এবং তৎক্ষণাৎ সেখান থেকে সরে পড়লো। ফলে তারা শত্রুর আক্রমণ থেকে বেঁচে গেল। পক্ষান্তরে কিছু লোক তার কথা অবিশ্বাস করলো এবং সেখানেই নিশ্চিন্তভাবে রয়ে গেল। এমতাবস্থায় অকস্মাৎ শত্রু সেনাবাহিনী এসে পড়লো এবং তাদেরকে পরিবেষ্টন করতঃ ধ্বংস করে দিলো। সুতরাং আমাকে মান্যকারী ও অমান্যকারীদের দৃষ্টান্ত এটাই।” (এ হাদীসটি ইমাম বুখারী (রঃ) ও ইমাম মুসলিম (রঃ) বর্ণনা করেছেন) ঘোষণা করা হচ্ছেঃ “তারা তাদের উপর অবতারিত আল্লাহর কিতাবগুলিকে টুকরা টুকরা করে ফেলেছিল। যে মাস্আলাকে ইচ্ছা করতো মানতে এবং যেটা মন মত হতো না তা পরিত্যাগ করতো।”হযরত ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, এর দ্বারা আহলে কিতাবকে বুঝানো হয়েছে। তারা কিতাবের কিছু অংশ মানতো এবং কিছু অংশ মানতো না। এটাও বর্ণিত আছে যে, এর দ্বারা আল্লাহর কিতাব সম্পর্কে কাফিরদের উক্তিকে বুঝানো হয়েছে। তারা কিতাবুল্লাহ সম্পর্কে বলতোঃ “এটা যাদু, ভবিষ্যৎ কথন এবং পূর্ববর্তীতের কাহিনী। আর এর কথক হচ্ছে যাদকুর, পাগল, ভবিষ্যদ্বক্তা ইত্যাদি।”‘সীরাতে ইবনু ইসহাক’ গ্রন্থে বর্ণিত আছে যে, একবার কুরআনের নেতৃবর্গ ওয়ালীদ ইবনু মুগীরার নিকট একত্রিত হয়। হজ্বের মওসুম নিকটবর্তী ছিল। ওয়ালীদ ইবনু মুগীরাকে তাদের মধ্যে খুবই সম্ভ্রান্ত ও বুদ্ধিমান লোক হিসেবে বিবেচনা করা হতো। সে সকলকে সম্বোধন করে বললোঃ “দেখো, হজ্জ্ব উপলক্ষে দূরদূরান্ত থেকে আরবের বহু লোক এখানে সমবেত হবে। তোমরা তো দেখতেই পাচ্ছি যে, এই লোকটি (নবী, সঃ) বড়ই হাঙ্গামা সৃষ্টি করে রেখেছে। এর সম্পর্কে ঐ বহিরাগত লোকদেরকে কি বলা যায়? কোন একটি কথার উপর সবাই একমত হয়ে যাও। কেউ এক কথা বলবে এবং অন্য জন অন্য কথা বলবে। এরূপ যেন না হয়। বরং সবাই এক কথাই বলবে এক একজন এক এক কথা বললে তোমাদের উপর থেকে মানুষের আস্থা হারিয়ে যাবে। এ বিদেশীরা তোমাদেরকে মিথ্যাবাদী মনে করবে।” তখন বললোঃ “হে আবদে শামস্! আপনিই কোন একটি প্রস্তাব পেশ করুন।” সে বললোঃ “তোমরাই আগে বল, তাহলে আমি চিন্তা ভাবনা করার সুযোগ পাবো।” তারা তখন বললোঃ “আমাদের মতে সবাই তাকে ভবিষ্যদ্বক্তা বলবে।” সে বললোঃ “না, এটা প্রকৃত ঘটনার বিপরীত কথা।” সে বললোঃ “এটাও ভুল।” তারা বললোঃ “তা হলে কবি?” সে উত্তরে বললোঃ “সে তো কবিতা জানেই না।” তারা বললোঃ “তাকে আমরা যাদুকর বলবো কি?” সে উত্তর দিলোঃ না, সে যাদুকরও নয়।” তারা বললোঃ “তা হলে আমরা তাকে কি বলবো?” সে বললোঃ “জেনে রেখো যে, তোমরা তাকে যাই বল না কেন, দুনিয়াবাসী জেনে। নেবে যে, সবই ভুল। তার কথাগুলি মিষ্টি মাখানো। কাজেই আমাদের কোন কথাই টিকবে না। তবুও কিছু বলতেই হবে। তোমরা তাকে যাদুকরই বলবে।”সবাই এতে একমত হয়ে গেল। এই আয়াতগুলিতে এরই আলোচনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহর উক্তিঃ “তোমার প্রতিপালকের শপথ! আমি তাদের সকলকে প্রশ্ন করবই সেই বিষয়ে যা তারা করে। অর্থাৎ কালেমা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ সম্পর্কে। হযরত আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেনঃ “যে আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই তাঁর শপথ! তোমাদের প্রত্যেকটি লোক কিয়ামতের দিন এককভাবে আল্লাহর সামনে হাজির হবে, যেমন প্রত্যেক ব্যক্তি এককভাবে চৌদ্দ তারিখের চাঁদ দেখে থাকে।” আল্লাহ তাআলা জিজ্ঞেস করবেনঃ “হে আদম সন্তান! আমার ব্যাপারে কিসে তোমাকে গর্বিত করে তুলেছিল? হে আদমের (আঃ) পুত্র! যা তুমি শিক্ষা করেছিলে তার থেকে কি আমল করেছিলেঃ হে আদম সন্তান! আমার রাসূলদেরকে তুমি কি জবাব দিয়েছিলে?” আবুল আলিয়া (রঃ) বলেন, প্রত্যেককে দুটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। প্রথম প্রশ্ন হবেঃ “তুমি কাকে মাবুদ বানিয়েছিলে”? দ্বিতীয় প্রশ্ন হবেঃ “তুমি রাসূলের (সঃ) আনুগত্য স্বীকার করেছিলে কি কর নাই”? ইবনু উইয়াইনা (রঃ) বলেন, আমল এবং মাল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে।হযরত মুআয ইবনু জাবাল (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “হে মুআয (রাঃ)! মানুষকে কিয়ামতের দিন তার সমস্ত আমল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে। হে মুআয (রাঃ)! দেখো, যেন কিয়ামতের দিন এরূপ না হয় যে, তুমি আল্লাহর নিয়ামত কম খেয়ালকারী রয়ে যাও।”এই আয়াতে তো রয়েছে যে, প্রত্যেককে তার আমল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে। আর সূরায়ে আর-রাহমানে রয়েছেঃ (আরবি) অর্থাৎ মানব এবং দানবকে তার গুনাহ্ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে না। (৫৫:৩৯) এই দুই আয়াতের মধ্যে হযরত ইবনু আব্বাসের (রাঃ) উক্তি অনুযায়ী সামঞ্জস্যের উপায় এই যে, “তুমি কি এই আমল করেছিলে? এ কথা জিজ্ঞেস করা হবে না। বরং জিজ্ঞেস করা হবেঃ “তুমি এই কাজ কেন করেছিলে?