An-Nahl • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ ثُمَّ إِنَّ رَبَّكَ لِلَّذِينَ عَمِلُوا۟ ٱلسُّوٓءَ بِجَهَٰلَةٍۢ ثُمَّ تَابُوا۟ مِنۢ بَعْدِ ذَٰلِكَ وَأَصْلَحُوٓا۟ إِنَّ رَبَّكَ مِنۢ بَعْدِهَا لَغَفُورٌۭ رَّحِيمٌ ﴾
“And once again: Behold, thy Sustainer [shows mercy] to those who do evil out of ignorance and afterwards repent and live righteously: behold, after such [repentance] thy Sustainer is indeed much forgiving, a dispenser of grace.”
১১৮-১১৯ নং আয়াতের তাফসীর উপরে আল্লাহ তাআলা বর্ণনা করলেন যে, এই উম্মতের উপর মৃতজন্তু, রক্ত, শূকরের গোশত এবং আল্লাহর নাম ছাড়া অন্যান্যদের নামে উৎসর্গীকৃত জিনিস হারাম। তারপর যার জন্যে এগুলো খাওয়ার অনুমতি রয়েছে তা প্রকাশ্যভাবে বর্ণনা করার পর এই উম্মতের উপর যে শরীয়তের কাজ হালাল ও সহজ করা হয়েছে তার বর্ণনা দিয়েছেন। ইয়াহুদীদের উপর তাদের শরীয়তে যা হারাম ছিল এবং যে সংকীর্ণতা এবং অসুবিধা তাদের উপর ছিল এখানে। তারই বর্ণনা দিচ্ছেন। তিনি বলেনঃ “তাদের উপর হারামকৃত জিনিসের বর্ণনা ইতিপূর্বেই তোমার কাছে দিয়েছি।” অর্থাৎ সূরায়ে আনআমে রয়েছেঃ (আরবি) অর্থাৎ “ইয়াহূদীদের জন্যে নখরযুক্ত সমস্ত পশু নিষিদ্ধ করেছিলাম, এবং গরু ও ছাগলের চর্বিও তাদের জন্যে নিষিদ্ধ করেছিলাম তবে এইগুলির পৃষ্ঠের অথবা অন্ত্রের কিংবা অস্থি সংলগ্ন চর্বি ব্যতীত, তাদের অবাধ্যতার দরুণ তাদেরকে এই প্রতিফল দিয়েছিলাম, আমি তো সত্যবাদী।” (৬:১৪৬)এখানে আল্লাহ তাআলা বলেনঃ “আমি তাদের উপর কোন যুলুম করি নাই, বরং তারা নিজেরাই নিজেদের উপর যুলুম করেছিল। তাদের অবিচারের কারণে ঐ পবিত্র জিনিসগুলি তাদের উপর হারাম করে দিই, যা তাদের জন্যে হালাল ছিল। দ্বিতীয় কারণ ছিল এই যে, তারা আল্লাহর পথ থেকে অন্যদেরকে বাধা প্রদান করতো।এরপর মহান আল্লাহ তার ঐ দয়া ও করুণার বর্ণনা দিচ্ছেন, যা তিনি তাঁর পাপী বান্দাদের উপর করে থাকেন। একদিকে তারা তাওবা করে আর অপর দিকে তিনি তাদের জন্যে রহমতের অঞ্চল ছড়িয়ে দেন।পূর্ববর্তী কোন কোন গুরুজনের উক্তি এই যে, যে আল্লাহর অবাধ্য হয় সে মুখই হয়ে থাকে। তাওবা বলা হয় পাপকার্য হতে সরে আসাকে। আর ইসলাহ বলে তাঁর আনুগত্যের কাজের দিকে এগিয়ে যাওয়াকে। যে এরূপ করে, তার পাপ ও পদস্থলনের পরেও আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন এবং তার উপর দয়া করেন।