An-Nahl • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ ٱدْعُ إِلَىٰ سَبِيلِ رَبِّكَ بِٱلْحِكْمَةِ وَٱلْمَوْعِظَةِ ٱلْحَسَنَةِ ۖ وَجَٰدِلْهُم بِٱلَّتِى هِىَ أَحْسَنُ ۚ إِنَّ رَبَّكَ هُوَ أَعْلَمُ بِمَن ضَلَّ عَن سَبِيلِهِۦ ۖ وَهُوَ أَعْلَمُ بِٱلْمُهْتَدِينَ ﴾
“CALL THOU (all mankind] unto thy Sustainer's path with wisdom and goodly exhortation, and argue with them in the most kindly manner- for, behold, thy Sustainer knows best as to who strays from His path, and best knows He as to who are the right-guided.”
আল্লাহ তাআলা স্বীয় রাসূল (সঃ) হযরত মুহাম্মদকে (সঃ) নির্দেশ দিচ্ছেন যে, তিনি যেন আল্লাহর মাখলুককে তাঁর পথের দিকে আহ্বান করেন। ইমাম ইবনু জারীরের (রঃ) উক্তি অনুযায়ী ‘হিকমত’ দ্বারা কালামুল্লাহ ও হাদীসে রাসূল (সঃ) উদ্দেশ্য। আর সদুপদেশ দ্বারা ঐ উপদেশকে বুঝানোহয়েছে যার মধ্যে ভয় ও ধমকও থাকে যে, যাতে মানুষ উপদেশ গ্রহণ করে এবং আল্লাহর শাস্তি হতে বাঁচবার উপায় অবলম্বন করে। হাঁ, তবে এটার প্রতিও খেয়াল রাখা দরকার যে, যদি কারো সাথে তর্ক ও বচসা করার প্রয়োজন হয়, তবে যেন নরম ও উত্তম ভাষায় তা করা হয়। যেমন কুরআন কারীমে রয়েছেঃ (আরবি) অর্থাৎ “আহলে কিতাবের সাথে তর্ক-বিতর্ক করার সময় উত্তম পন্থা অবলম্বন করো।” (২৯:৪৬) অনুরূপভাবে হযরত মূসাকেও (আঃ) নরম। ব্যবহারের হুকুম দেয়া হয়েছিল। দু'ভাইকে ফিরাউনের নিকট পাঠাবার সময় বলে দেনঃ “তোমরা তাকে নরম কথা বলবে, তাহলে হয়তো সে উপদেশ গ্রহণ। করবে অথবা ভয় করবে।”মহান আল্লাহ বলেনঃ “তোমার প্রতিপালক, তাঁর পথ ছেড়ে কে বিপদগামী হয় সে সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত এবং কে সৎপথে আছে সেটাও তিনি সম্যক অবগত। কে হতভাগ্য এবং কে ভাগ্যবান এটাও তার অজানা নয়। সমস্ত আমলের পরিণাম সম্পর্কেও তিনি পূর্ণভাবে অবহিত। হে নবী (সঃ)! তুমি আল্লাহর পথে দাওয়াত দিতে থাকো। কিন্তু যারা মানে না তাদের পিছনে পড়ে তুমি নিজেকে ধ্বংস করে দিয়ো না। তুমি হিদায়াতের যিম্মাদার নও। তুমি শুধু। তাদেরকে সতর্ককারী। তোমার দায়িত্ব শুধু আমার পয়গাম তাদের কাছে পৌঁছিয়ে দেয়া। হিসাব নেয়ার দায়িত্ব আমার। হিদায়াত তোমার অধিকারের জিনিস নয় যে, তুমি যাকে ভালবাস তাকে হিদায়াত দান করবে। এটা হচ্ছে আল্লাহ তাআলার অধিকারের জিনিস।”