An-Nahl • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ وَمَا ذَرَأَ لَكُمْ فِى ٱلْأَرْضِ مُخْتَلِفًا أَلْوَٰنُهُۥٓ ۗ إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَءَايَةًۭ لِّقَوْمٍۢ يَذَّكَّرُونَ ﴾
“And all the [beauty of] many hues-which He has created for you on earth: in this, behold, there is a message for people who (are willing to] take it to heart!”
১২-১৩ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ তাআলা নিজের আরো বড় বড় নিয়ামতরাজির বর্ণনা দিচ্ছেন। তিনি বলেনঃ “হে মানুষ! দিবস ও রজনী তোমাদের উপকারার্থে পর্যায়ক্রমে যাতায়াত করছে, সূর্য ও চন্দ্র চক্রাকারে আবর্তিত হচ্ছে এবং উজ্জ্বল নক্ষত্ররাজি তোমাদের কাছে আলো পৌঁছাচ্ছে। প্রত্যেকটিকে আল্লাহ এমন সঠিক নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন যে, না ওগুলি এদিকে ওদিকে যাচ্ছে, না তোমাদের কোন ক্ষতি হচ্ছে। সবটাই মহান আল্লাহর নিয়ন্ত্রণাধীন রয়েছে। ছ’ দিনে তিনি আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তিনি আকাশের উপর সমাসীন হন। দিন ও রাত্রি পর্যায়ক্রমে আসা-যাওয়া করছে? সূর্য-চন্দ্র এবং তারকারাজি তাঁরই নির্দেশক্রমে কাজে নিয়োজিত রয়েছে। সৃষ্টি ও হুকুমের মালিক তিনিই। তিনি বিশ্ব প্রতিপালক এবং তিনি বড়ই বরকত ও কল্যাণময়। বিবেকবান ব্যক্তিদের জন্যে এতে মহা শক্তিশালী আল্লাহর শক্তি ও সাম্রাজ্যের বড় নিদর্শন রয়েছে।” এই আকাশের বস্তুরাজির পর এখন যমীনের বস্তু রাজির প্রতি লক্ষ্য করা যাক। প্রাণী, উদ্ভিদ, জড় পদার্থ ইত্যাদি বিভিন্ন রঙ ও রূপের জিনিসগুলি এবং অসংখ্য উপকারের বস্তুগুলি তিনি মানুষের উপকারের উদ্দেশ্যে যমীনে সৃষ্টি করেছেন। যারা আল্লাহর নিয়ামত রাশি সম্পর্কে চিন্তা গবেষণা করে এবং ওগুলির মর্যাদা দেয় তাদের জন্যে এগুলো অবশ্যই বড় বড় নিদর্শনই বটে।