An-Nahl • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ وَعَلَى ٱللَّهِ قَصْدُ ٱلسَّبِيلِ وَمِنْهَا جَآئِرٌۭ ۚ وَلَوْ شَآءَ لَهَدَىٰكُمْ أَجْمَعِينَ ﴾
“And [because He is your Creator,] it rests with God alone to show you the right path: yet there is [many a one] who swerves from it. However, had He so willed, He would have guided you all aright.”
আল্লাহ তাআ’লী পার্থিব পথ অতিক্রমের উপকরণাদি বর্ণনা করার পর পারলৌকিক পথ অতিক্রমের উপকারাদির পথের দিকে প্রত্যাবর্তন করেছেন। কুরআন কারীমের মধ্যে এ ধরনের অধিকাংশ বর্ণনা বিদ্যমান রয়েছে। হজ্জের নফরের পাথেয়ের বর্ণনা দেয়ার পর তাকওয়ার পাথেয়ের বর্ণনা দেয়া হয়েছে, যা পরকালে কাজে লাগবে। বাহ্যিক পোষাকের বর্ণনার পর তাকওয়ার পোষাকের উত্তমতার কথা বর্ণনা করা হয়েছে। অনুরূপভাবে এখানে চতুষ্পদ জন্তুগুলির মাধ্যমে দুনিয়ার কঠিন পথ ও দূর দূরান্তের সফর অতিক্রম করার কথা বর্ণনা করার পর আখেরাতের ও ধর্মীয় পথের বর্ণনা করছেন যে, সত্য পথ। আল্লাহ তাআলার সাথে মিলন ঘটিয়ে থাকে। মহান আল্লাহ বলেনঃ “প্রতিপালক আল্লাহর সরল সঠিক পথ এটাই। সুতরাং তোমরা এই পথেই চলো, অন্য পথে চলো না। অন্যথায় তোমরা পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে এবং সরল থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়বে। আমার কাছে পৌঁছবার সোজা পথ এটাই। আমি যে সরল সঠিক পথের কথা বলছি, সেটাই হচ্ছে দ্বীনে ইসলাম। এরই মাধ্যমে। তোমরা আমার কাছে পৌঁছতে পারবে। এটা আমি স্পষ্ট ভাবে ঘোষণা করে। দিলাম এবং এর সাথে সাথে আমি অন্যান্য পথগুলির ভ্রান্তির কথাও বর্ণনা করলাম। অতএব, সরল সঠিক পথ একটাই যা কিতাবুল্লাহ ও সুন্নাতে রাসূলিল্লাহ (সঃ) হতে প্রমাণিত হয়েছে। বাকী অন্যান্য পথগুলি হচ্ছে ভুল ও অন্যায় পথ এবং মানুষের নিজেদের দ্বারা আবিষ্কৃত পথ। যেমন ইয়াহূদিয়্যাত, নাসরানিয়্যাত, মাজুসিয়্যাত ইত্যাদি।”এরপর ঘোষণা করা হচ্ছে যে, হিদায়াত হচ্ছে মহান প্রতিপালকের অধিকারের বিষয়। তিনি ইচ্ছে করলে দুনিয়ার সমস্ত মানুষকে সত্য পথে পরিচালিত করতে পারেন, পৃথিবীর সমস্ত অধিবাসীকে মুমিন বানিয়ে দিতে তিনি সক্ষম। তিনি চাইলে সমস্ত মানুষকে একই পথের পথিক করে দিতে পারেন। কিন্তু এই মতানৈক্য বাকী থেকেই যাবে।।মহান আল্লাহ বলেনঃ “হে নবী (সঃ)! তোমার প্রতিপালকের কথা পূর্ণ হবেই। তা এই যে, জাহান্নাম ও জান্নাত দানব ও মানব দ্বারা পূর্ণ হবে।”