Al-Israa • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ وَإِذَآ أَرَدْنَآ أَن نُّهْلِكَ قَرْيَةً أَمَرْنَا مُتْرَفِيهَا فَفَسَقُوا۟ فِيهَا فَحَقَّ عَلَيْهَا ٱلْقَوْلُ فَدَمَّرْنَٰهَا تَدْمِيرًۭا ﴾
“But when [this has been done, and] it is Our will to destroy a community, We convey Our last warning to those of its people who have lost themselves entirely in the pursuit of pleasures; and [if] they [continue to] act sinfully, the sentence [of doom] passed on the community takes effect, and We break it to smithereens.”
প্রসিদ্ধ পঠন (আরবি) এরূপই রয়েছে। এখানে ‘আমর’ দ্বারা তকদীরী আমর বুঝানো হয়েছে। যেমন অন্য আয়াতে রয়েছে (আরবি) অর্থাৎ “সেখানে। আমার নির্ধারিত আদেশ এসে পড়ে রাত্রে অথবা দিবসে।” আল্লাহ তাআলা মন্দের হুকুম করেন না। ভাবার্থ এই যে, তারা অশ্লীল ও নির্লজ্জতার কাজে জড়িত হয়ে পড়ে। আর এই কারণে তারা শাস্তির যোগ্য হয়ে পড়ে। এও অর্থ করা হয়েছেঃ “আমি তাদেরকে আমার আনুগত্য করার হুকুম করে থাকি, তখন তারা মন্দ কাজে লেগে পড়ে, তখন আমার শাস্তির প্রতিশ্রুতি তাদের উপর পূর্ণ হয়ে যায়।”যাঁদের কিরআতে (আরবি) রয়েছে তাঁরা বলেন যে, এর ভাবার্থ হচ্ছেঃ “আমি দুষ্ট লোকদেরকে তথাকার নেতা বানিয়ে দেই। তারা সেখানে অসৎকার্য করতে শুরু করে দেয়। অবশেষে আল্লাহর শাস্তি তাদেরকে তাদের বস্তিসহ ধ্বংস ও তচনচ করে দেয়। যেমন এক জায়গায় মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ (আরবি)“এইরূপে আমি প্রত্যেক জনপদে তথাকার নেতৃস্থানীয় লোকদেরই (প্রথমতঃ) পাপে লিপ্ত করিয়েছি, যেন তারা তথায় শঠতা করতে থাকে।” (৬:১২৩)হযরত ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন যে, এর ভাবার্থ হচ্ছেঃ “আমি তাদের শত্রুদের সংখ্যা বৃদ্ধি করে থাকি এবং সেখানে তাদের হঠকারিতা শেষ সীমায় পৌঁছে যায়।”মুসনাদে আহমাদে একটি হাদীস রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “উত্তম সম্পদ হচ্ছে এ জন্তু যা অধিক বাচ্চা দিয়ে থাকে। অথবা এ রাস্তা যা খেজুরের গাছ দ্বারা সজ্জিত থাকে। কেউ কেউ বলেন যে, এটা একটা সাদৃশ্য। যেমন তাঁর উক্তিঃ “পাপীরা, পুরস্কার প্রাপ্ত নয়।”