Al-Israa • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ رَّبُّكُمْ أَعْلَمُ بِمَا فِى نُفُوسِكُمْ ۚ إِن تَكُونُوا۟ صَٰلِحِينَ فَإِنَّهُۥ كَانَ لِلْأَوَّٰبِينَ غَفُورًۭا ﴾
“Your Sustainer is fully aware of what is in your hearts. If you are righteous, [He will forgive you your errors]: for, behold, He is much-forgiving to those who turn unto Him again and again.”
এর দ্বারা ঐ লোকদের বুঝানো হয়েছে যাদের হঠাৎ করে পিতা-মাতাদের সাথে কোন কথা হয়ে যায় যেটা তাদের নিজের মতে কোন দোষের ও পাপের কথা নয়। তাদের নিয়্যাত ভাল বলে আল্লাহ তাদের প্রতি করুণার দৃষ্টিতে দেখেন। যারা পিতা-মাতার অনুগত এবং নামাযী, তাদের দোষত্রুটি আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। বলা হয়ছে যে, (আরবি) ঐ সব লোক, যারা মাগরিব ও এশার মধ্যবর্তী সময়ে নফল নামায পড়ে থাকে। কেউ কেউ বলেন যে, যারা চাশতের নামায আদায় করে থাকে তাদেরকে (আরবি) বলা হয়েছে। তাছাড়া যারা প্রত্যেক পাপ কার্যের পর তাওবা করে তাড়াতাড়ি মঙ্গলের দিকে ফিরে আসে এবং নির্জনে নিজেদের পাপের কথা স্মরণ করে আন্তরিকতার সাথে ক্ষমা প্রার্থনা করে তাদেরকে (আরবি) বলা হয়েছে।উবায়েদ (রঃ) বলেন যে, (আরবি) হচ্ছে ওরাই যারা বরাবরই কোন মজলিস হতে উঠবার সময় নিম্নরূপ দুআ পাঠ করেঃ (আরবি) অর্থাৎ “হে আল্লাহ! আমার এই মজলিসে যে পাপ হয়েছে তা আপনি ক্ষমা করে দিন।”ইমাম ইবনু জারীর (রঃ) বলেনঃ উত্তম উক্তি হচ্ছে এটাই যে, (আরবি) হলো তারাই যারা গুনাহ হতে তাওবা করে অবাধ্যতা হতে আনুগত্যের দিকে ফিরে আসে, আল্লাহ তাআলার কাছে যা অপছন্দনীয় কাজ তা পরিত্যাগ করে। যে কাজে তিনি সন্তুষ্ট সেই কাজ করতে শুরু করে। এই উক্তিটিই সঠিকতম। কেননা, (আরবি) শব্দটি (আরবি) শব্দ হতে বের হয়েছে এবং এর অর্থ হচ্ছে ফিরে আসা। যেমন আরবের লোকেরা বলে থাকে (আরবি) অর্থাৎ “অমুক ফিরে এসেছে।” আর যেমন কুরআন কারীমে রয়েছেঃ (আরবি) অর্থাৎ “নিশ্চয় তাদের প্রত্যাবর্তন আমারই কাছে।” সফর হতে ফিরবার সময় বলতেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “প্রত্যাবর্তনকারী, তাওবাকারী, ইবাদতকারী এবং আমাদের প্রতিপালকেরই প্রশংসাকারী।” (৮৯:২৫)