Al-Israa • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ ذُرِّيَّةَ مَنْ حَمَلْنَا مَعَ نُوحٍ ۚ إِنَّهُۥ كَانَ عَبْدًۭا شَكُورًۭا ﴾
“O you descendants of those whom We caused to be borne (in the ark] with Noah! Behold, he was a most grateful servant (of Ours]!"”
২-৩ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ তাআলা স্বীয় রাসূল হযরত মুহাম্মদের (সঃ) মিরাজের ঘটনা বর্ণনা করার পর তাঁর নবী হযরত মূসার (আঃ) আলোচনা করেছেন। কুরআন কারীমে প্রায়ই এই দু’জনের বর্ণনা এক সাথে এসেছে। অনুরূপভাবে তাওরাত ও কুরআনের বর্ণনাও মিলিত ভাবে এসেছে। হযরত মূসার (আঃ) কিতাবের নাম তাওরাত। এ কিতাবটি ছিল বাণী ইসরাঈলের জন্যে পথ প্রদর্শক। তাদের উপর এই নির্দেশ ছিল যে, তারা যেন আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকেও বন্ধু, সাহায্যকারী ও মা’রূদ মনে না করে। প্রত্যেক নবী আল্লাহর একত্ববাদের দাওয়াত নিয়ে এসেছিলেন। এরপর তাদেরকে আল্লাহপাক বলেনঃ “হে ঐ মহান ও সম্রান্ত লোকদের সন্তানগণ! যাদেরকে আমি আমার অনুগ্রহ দ্বারা অনগহীত করেছিলাম এইভাবে যে, তাদেরকে আমি হযরত নহের (আঃ) তুফানের বিশ্বব্যাপী ধ্বংস হতে রক্ষা করেছিলাম এবং আমার প্রিয় নবী নূহের সাথে নৌকায় আরোহণ করিয়েছিলাম, তাদের এই সন্তানদের উচিত আমার • কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। দেখো, আমি তোমাদের কাছে আমার আখেরী রাসূল হযরত মুহাম্মদকে (সঃ) পাঠিয়েছি।বর্ণিত আছে যে, হযরত নূহ (আঃ) পানাহার করে, কাপড় পরিধান করে, মোট কথা সব সময় আল্লাহর প্রশংসা ও গুণকীর্তন করতেন। এ কারণেই তাঁকে আল্লাহ তাআলা র কৃতজ্ঞবান্দা বলা হয়েছে।মুসনাদে আহমদ প্রভৃতি হাদীসগ্রন্থে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “আল্লাহ তাআলা তাঁর ঐ বান্দাদের উপর অত্যন্ত খুশী হন যারা এক গ্রাস খাবার খেয়ে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এবং এক চুমুক পানি পান করেও তার শুকরিয়া আদায় করে।” এও বর্ণিত আছে যে, হযরত নূহ (আঃ) সর্বাবস্থাতেই আল্লাহ তাআলার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে থাকেন। সহীহ্ বুখারী প্রভৃতি হাদীস গ্রন্থে রয়েছে যে, মানুষ যখন শাফাআতের জন্যে হযরত নূহের (আঃ) নিকট গমন করবে তখন তারা তাঁকে বলবেঃ “দুনিয়াবাসীর নিকট আল্লাহ তাআলা আপনাকেই সর্বপ্রথম রাসূল করে পাঠিয়েছিলেন এবং তিনি কৃতজ্ঞ বান্দারূপে আপনার নামকরণ করেছেন। সুতরাং আপনি আপনার প্রতিপালকের নিকট আমাদের জন্যে সুপারিশ করুন। (শেষ পর্যন্ত)।”