Al-Israa • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ وَلَا تَقْرَبُوا۟ ٱلزِّنَىٰٓ ۖ إِنَّهُۥ كَانَ فَٰحِشَةًۭ وَسَآءَ سَبِيلًۭا ﴾
“And do not commit adultery -for, behold, it is an abomination and an evil way.”
আল্লাহ তাআলা ব্যভিচার ও ওর চতুষ্পর্শ্বের সমস্ত দুষ্কার্য হতে চরমভাবে নিষেধ করেছেন। শরীয়তে ব্যভিচারকে কাবীরা ও কঠিন পাপ বলে গণ্য করা হয়েছে। এটা অত্যন্ত অশ্লীল ও নিকৃষ্ট আচরণ।মুসনাদে আহমাদে রয়েছে যে, একজন যুবক রাসূলুল্লাহর (সঃ) কাছে। ব্যভিচারের অনুমতি প্রার্থনা করে। জনগণ প্রতিবাদ করে বলেঃ “চুপ কর, কি বলছো?” রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাকে কাছে ডেকে নিয়ে বলেনঃ “বসে যাও।” সে বসে গেলে তিনি তাকে বলেনঃ তুমি এই কাজ কি তোমার মায়ের জন্যে পছন্দ কর?” উত্তরে সে বলেঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! আল্লাহ আমাকে আপনার উপর উৎসর্গ করুন! আল্লাহর কসম! আমি কখনো এটা পছন্দ করি না।” তখন তিনি তাকে বললেনঃ “তাহলে অন্য কেউ এটাকে কি করে পছন্দ করতে পারে?” এরপর তিনি তাকে বললেনঃ “আচ্ছা, এই কাজটি তুমি। তোমার মেয়ের জন্যে পছন্দ কর কি?” লোকটি চরমভাবে এটাও অস্বীকার করলো। তিনি বললেনঃ “ঠিক এরূপই অন্য কেউই এটা তার মেয়ের জন্যে পছন্দ করে না। তারপর তিনি বললেনঃ “তুমি তোমার বোনের জন্যে এটা পছন্দ করবে কি?” অনুরূপভাবে সে এটাকেও অস্বীকার করলো। রাসূলুল্লাহ (সঃ) বললেনঃ “এইরূপ অন্যেরাও তাদের বোনদের জন্যে এটাকে অপছন্দ করবে।” অতঃপর তিনি বললেনঃ “কেউ তোমার ফুফুর সাথে এই কাজ করুক এটা তুমি পছন্দ কর কি?” সে এটাকেও কঠিনভাবে অস্বীকার করলো। তিনি বললেনঃ “অনুরূপ ভাবে অন্যেরাও এটা পছন্দ করবে না।” এরপর তিনি। বলেনঃ “তোমার খালার জন্যে এ কাজ তুমি পছন্দ কর কি?” উত্তরে সে বলেঃ “কখনই নয়।” তিনি বললেনঃ “এইরূপ সবাই এটা অপছন্দ করে।” অতঃপর তিনি স্বীয় হস্ত মুবারক তার মস্তকের উপর স্থাপন করে দুআ করলেনঃ “হে আল্লাহ! আপনি এর পাপ মার্জনা করুন! এর অন্তর পবিত্র করে দিন এবং একে অপবিত্রতা হতে বাঁচিয়ে নিন!” অতঃপর তার অবস্থা এমন হলো যে, সে কোন মহিলার দিকে দৃষ্টিপাতও করতো না।ইবনু আবিদ দুনিয়া (রঃ) বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “শিরকের পরে ব্যভিচার হতে বড় পাপ আর কিছুই নেই যে, মানুষ তার শুক্র এমন গর্ভাশয়ে নিক্ষেপ করবে যা তার জন্যে বৈধ নয়।”