Al-Israa • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ وَلَقَدْ صَرَّفْنَا لِلنَّاسِ فِى هَٰذَا ٱلْقُرْءَانِ مِن كُلِّ مَثَلٍۢ فَأَبَىٰٓ أَكْثَرُ ٱلنَّاسِ إِلَّا كُفُورًۭا ﴾
“For, indeed, many facets have We given in this Qur'an to every kind of lesson [designed] for [the benefit of] mankind! However, most men are unwilling to accept anything but blasphemy”
৮৬-৮৯ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ তাআলা নিজের ঐ বড় অনুগ্রহ ও ব্যাপক নিয়ামতের বর্ণনা দিচ্ছে না যে, নিয়ামত তিনি তাঁর প্রিয় রাসূল (সঃ) এর উপর নাযিল করেছেন। অর্থাৎ তিনি তার উপর ঐ পবিত্র কিতাব অবতীর্ণ করেছেন, যার মধ্যে কখনো কোন মিথ্যা মিশ্রণ অসম্ভব। তিনি ইচ্ছা করলে এই ওয়াহীকে প্রত্যাহারও করতে পারতেন। হযরত ইবনু মাসউদ (রাঃ) বলেন যে, শেষ যুগে সিরিয়ার দিক থেকে এক লাল বায়ু প্রবাহিত হবে। ঐ সময় কুরআনের পাতা থেকে এবং হাফিযদের অন্তর হতে কুরআন ছিনিয়ে নেয়া হবে। এক হরফ বা অক্ষরও বাকী থাকবে না। তারপর তিনি এই আয়াতটি পাঠ করেন।এরপর মহান আল্লাহ নিজের ফল ও করম এবং অনুগ্রহের বর্ণনা দিচ্ছেন যে, তার এই পবিত্র কুরআনের শ্রেষ্ঠত্বের এক বড় প্রমাণ হচ্ছেঃ সমস্ত মাখলুক এর মুকাবিলা করতে অপারগ হয়ে গেছে। কারো ক্ষমতা নেই, এর মত ভাষা প্রয়োগ করতে পারে। আল্লাহ তাআ'লা নিজে যেমন নযীর বিহীন ও তুলনা বিহীন, অনুরূপভাবে তাঁর কালামও অতুলনীয়। ইবনু ইসহাক (রঃ) বর্ণনা করেছেন যে, একবার ইয়াহূদীরা রাসূলুল্লাহর (সঃ) কাছে আগমন করে বলেঃ “আমরাও এই কুরআনের মত কালাম বানাতে পারি।” এ সময় এই আয়াত অবতীর্ণ হয়। (কিন্তু আমরা এটা মানতে পারি না। কেননা, এই সূরাটি মক্কী সূরা। আর এর সমস্ত বর্ণনা কুরায়েশদের সম্পর্কেই রয়েছে এবং তাদেরকেই সম্বোধন করা হয়েছে। মক্কায় ইয়াহুদীর সাথে নবীর (সঃ) মিলন ঘটে নাই। মদীনায় এসে তাদের সাথে মিলন হয়। এ সব ব্যাপারে আল্লাহই সবচেয়ে ভাল জানান) মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ “আমি এই পবিত্র কিতাবে সর্বপ্রকারের দলীল বর্ণনা করে সত্যকে প্রকাশ করে দিয়েছি এবং সমস্ত বিষয় বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছি। এতদসত্ত্বেও অধিকাংশ লোক সত্যের বিরুদ্ধাচরণ করতে রয়েছে এবং সত্যকে প্রত্যাখ্যান করছে। আর তারা আল্লাহর অকৃতজ্ঞ বান্দা হিসেবেই রয়ে যাচ্ছে।”