Al-Kahf • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER
﴿ فَأَرَدْنَآ أَن يُبْدِلَهُمَا رَبُّهُمَا خَيْرًۭا مِّنْهُ زَكَوٰةًۭ وَأَقْرَبَ رُحْمًۭا ﴾
“and so we desired that their Sustainer grant them in his stead [a child] of greater purity than him, and closer [to them] in loving tenderness.”
৭৯-৮১ নং আয়াতের তাফসীর: পূর্বেই বর্ণিত হয়েছে যে, যুবকটির নাম ছিল হায়সূর। হাদীসে রয়েছে যে, তার প্রকৃতিতে কুফরী ছিল। হযরত খিয়র (আঃ) বলেন যে, খুব সম্ব ঐ ছেলের মুহব্বত তার পিতা-মাতাকেও কুফরীর দিকে টেনে নিয়ে যেতো। হযরত কাতাদা (রাঃ) বলেন যে, তার জন্মের কারণে তার পিতা-মাতা খুবই আনন্দিত হয়েছিল এবং তার ধ্বংস দেখে তারা খুবই দুঃখিত হয়, অথচ তার জীবন তাদের জন্যে ধ্বংসাত্মক ছিল। সুতরাং আল্লাহ তাআলার মীমাংসার উপরই মানুষের সন্তুষ্ট হওয়া উচিত। আমাদের প্রতিপালক আমাদের পরিণাম সম্যকরূপে অবগত। আর আমরা তার থেকে সম্পূর্ণরূপে উদাসীন। মমিন তার নিজের জন্যে যা পছন্দ করে, তার চেয়ে ওটাই বেশী উত্তম যা আল্লাহ তার জন্যে পছন্দ করেন। সহীহ্ হাদীসে রয়েছে যে, মুমিনের জন্যে আল্লাহ তাআলা যে ফায়সালা করেন তা সরাসরি উত্তমই হয়ে থাকে। কুরআন কারীমে মহান আল্লাহ বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “খুব সম্ভব যে, তোমরা কোন কিছু নিজেদের জন্যে অপছন্দনীয় ও ক্ষতিকর মনে করবে, অথচ ওটাই তোমাদের জন্যে কল্যাণকর ও উপকারী।” (২:২১৬) হযরত খিয়র (আঃ) বলেনঃ “আমি চেয়েছিলাম যে, আল্লাহ তাদেরকে এই ছেলের বিনিময়ে এমন ছেলে দান করবেন-যে হবে খোদাভীরু এবং পিতা-মাতার নিকট হবে অত্যন্ত প্রিয়। অথবা সেই ছেলে তার পিতামাতার সাথে উত্তম ব্যবহার করবে।' পূর্বেই বর্ণিত হয়েছে যে, ঐ ছেলের বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা তার পিতা-মাতাকে একটি মেয়ে দান করেছিলেন। বর্ণিত আছে যে, ঐ ছেলেটি নিহত হওয়ার সময় তার মাতা গর্ভবতী ছিল এবং তার গর্ভাশয়ে একটি মুসলমান বাচ্চা ছিল।