slot qris slot gacor terbaru slot gacor terbaik slot dana link slot gacor slot deposit qris slot pulsa slot gacor situs slot gacor slot deposit qris slot qris bokep indo xhamster/a> jalalive/a>
| uswah-academy
WhatsApp Book A Free Trial
القائمة

🕋 تفسير الآية 84 من سورة سُورَةُ الكَهۡفِ

Al-Kahf • BN-TAFSEER-IBN-E-KASEER

﴿ إِنَّا مَكَّنَّا لَهُۥ فِى ٱلْأَرْضِ وَءَاتَيْنَٰهُ مِن كُلِّ شَىْءٍۢ سَبَبًۭا ﴾

“Behold, We established him securely on earth, and endowed him with [the knowledge of] the right means to achieve anything [that he might set out to achieve];”

📝 التفسير:

৮৩-৮৪ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তাআলা স্বীয় নবীকে (সঃ) সম্বোধন করে বলেনঃ “হে মুহাম্মদ (সঃ)! তারা তোমাকে যুলকারনাইন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছে। একথা পূর্বেই গত হয়েছে যে, মক্কার কাফিররা আহলে কিতাবকে জিজ্ঞেস করেছিলঃ “আমাদেরকে এমন কিছু শিখিয়ে দিন যা আমরা মুহাম্মদকে (সঃ) জিজ্ঞেস করবো এবং তিনি তার উত্তর দিতে পারবেন না।” তখন তারা তাদেরকে বলৈছিলঃ “প্রথম প্রশ্ন তোমরা তাকে ঐ ব্যক্তির ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবে, যিনি সারা ভূ-পৃষ্ঠে ভ্রমণ করেছিলেন। তোমরা তাঁকে দ্বিতীয় প্রশ্ন ঐ যুবকদের সম্পর্কে করবে, যারা সম্পূর্ণরূপে উধাও হয়ে গিয়েছিলেন। আর তৃতীয় প্রশ্ন করবে রূহ্ সম্পর্কে। তাদের এই প্রশ্নগুলির উত্তরে এই সূরায়ে কাহ্ফ অবতীর্ণ হয়। রিওয়াইয়াতে এটাও আছে যে, ইয়াহূদীদের একটি দল রাসূলুল্লাহকে (সঃ) যুলকারনাইনের ঘটনা জিজ্ঞেস করতে এসেছিল। তিনি তাদেরকে দেখেই বলেনঃ “তোমরা এই ঘটনা জিজ্ঞেস করতে এসেছে।” অতঃপর তিনি তাদের কাছে ঘটনাটি বর্ণনা করেন। তাতে রয়েছে যে, তিনি রোমের একজন যুবক ছিলেন। তিনিই ইসকানদারিয়া শহরের ভিত্তি স্থাপন করেন। তাকে একজন ফেরেশতা আকাশ পর্যন্ত উঠিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং দেয়াল পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি এমন কতকগুলি লোককে দেখেছিলেন, যাদের মুখ ছিল কুকুরের মত। কিন্তু এতে বড়ই দীর্ঘসূতিকা, অস্বীকৃতি ও দুর্বলতা রয়েছে। এর মারফু হওয়া প্রমাণিত নয়। প্রকৃতপক্ষে এটা বাণী ইসরাঈলের রিওয়াইয়তি। এটা বড়ই বিস্ময়কর ব্যাপার যে, আবু যার আ’রাযীর (রঃ) মত একজন আল্লামা স্বীয় গ্রন্থ দালাইলুন নবুওয়ার মধ্যে এটা আনয়ন করেছেন। এরূপ বর্ণনা তার ন্যায় একজন মনীষীর পক্ষে অতি বিস্ময়করই বটে। এটাও ঠিক নয়। দ্বিতীয় ইসকান্দার ছিলেন রোমক। তিনি হলেন ইসকান্দার ইবনু ফায়লীস আল মাকদূনী আল ইউনানী। তাঁর উযীর ছিলেন বিখ্যাত দার্শনিক য়্যারিষ্টটল। এসব ব্যাপারে আল্লাহ তাআলাই সবচেয়ে ভাল জানেন। তার দ্বারাই রোমের ইতিহাস শুরু হয়। তিনি ছিলেন হযরত ঈসার (আঃ) তিনশ বছর পূর্বে। আর প্রথম ইসকান্দার যার বর্ণনা কুরআনে কারীমে দেয়া হয়েছে, তিনি তো ছিলেন হযরত ইবরাহীম খলীলের (আঃ) যামানার লোক। যেমন আযরাকী (রঃ) প্রভৃতি গুরুজন বর্ণনা করেছেন। তিনি হযরত ইবরাহীম খলীলের (আঃ) সাথে বায়তুল্লাহ শরীফের ভিত্তি স্থাপন করেন এবং এরপর ওর তাওয়াফ করেন। তার উপর তিনি ঈমান আনয়ন করেন এবং তাঁর অনুসারী হন। আল্লাহ তাআলার ফলে তাঁর বহু ঘটনা আল বিদাইয়াহ ওয়ান নিহাইয়ার মধ্যে বর্ণনা করে দিয়েছি। ওহাব ইবনু মুনাব্বাহ (রঃ) বলেন যে, তিনি বাদশাহ ছিলেন। তার মাথার দুদিকে তামা থাকতো বলে তাঁকে যুলকারনাইন (দুটি শিং বিশিষ্ট) বলা হতো। কারণ এটাও বলা হয়েছে যে, তিনি রোম ও পারস্যের বাদশাহ ছিলেন। কেউ কেউ বলেছেন যে, আসলেই তার মাথার দুদিকে শিং-এর সাথে সাদৃশ্যযুক্ত কিছু ছিল। হযরত আলী (রাঃ) বলেনঃ তাঁর এই নামের কারণ এই যে, তিনি ছিলেন আল্লাহ তাআলার একজন সৎ বান্দা। তিনি স্বীয় কওমকে আল্লাহর পথে আহবান করেন। লোকেরা তাঁর বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগে যায় এবং তার মাথার এক দিকে এমনভাবে আঘাত করে যে, তিনি শহীদ হয়ে যান। আল্লাহ তাআ'লা তাঁকে পুনরুজ্জীবিত করেন। আবার লোকেরা তার মাথার অন্য দিকে আঘাত করে। ফলে, পুনরায় মৃত্যু বরণ করেন। এজন্যেই তাকে যুলকারনাইন বলা হয়। একথাও বলা হয়েছে যে, পূর্ব ও পশ্চিম পর্যন্ত ভ্রমণ করেন বলে তাঁকে যুলকারনাইন বলা হয়।মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ আমি তাকে পৃথিবীতে কর্তৃত্ব দিয়েছিলাম। সাথে সাথে আমি তাকে সামরিক শক্তি ও যুদ্ধাস্ত্রও দান করেছিলাম। পূর্ব হতে পশ্চিম পর্যন্ত তাঁর সাম্রাজ্য বিস্তৃত ছিল। আরব অনারব সবাই তাঁর কর্তৃত্বাধীন ছিল। আমি তাকে প্রত্যেক বিষয়ের উপায় ও পন্থা নির্দেশ করেছিলাম। তিনি সমস্ত ভাষা জানতেন। যে কওমের সাথে তাঁর যুদ্ধ হতো তিনি তাদের ভাষাতেই কথা বলতেন। একদা হযরত মুআবিয়া (রাঃ) হযরত কা'ব আহরকে (রাঃ) বলেনঃ “আপনি কি বলেন যে, যুলকারনাইন তাঁর ঘোড়াটি সারিয়ার (তারকা) সাথে বাঁধতেন?” উত্তরে তিনি বলেনঃ “আপনি যখন এটা বললেন তখন শুনুন! আল্লাহ তাআলা বলেনঃ “আমি তাকে জিনিসের সব সরঞ্জাম ও আসবাবপত্র দান করেছিলাম। প্রকৃতপক্ষে এই অস্বীকারের ব্যাপারে সত্য হযরত মুআবিয়ার (রাঃ) সাথেই ছিল। এজন্যেও যে, হযরত কা'ব (রাঃ) লিখিত যা কিছু যেখানেই পেতেন বর্ণনা করে দিতেন। যদিও তা মিথ্যা হতো। এজন্যেই তিনি বলতেনঃ “কাবের মিথ্যা তো বার বার সামনে এসেছে।” অর্থাৎ তিনি নিজে তো মিথ্যা বানিয়ে নিতেন না বটে, কিন্তু তিনি যে রিওয়াইয়াতই পেতেন তা সনদহীন হলেও বর্ণনা করে দিতে দ্বিধাবোধ করতেন না। আর এটা তো স্পষ্ট কথা যে, বানী ইসরাঈলের রিওয়াইয়াত মিথ্যা, অশ্লীল কথন এবং পরিবর্তন ও পরিবর্ধন হতে রক্ষিত নয়। তা ছাড়া বানী ইসরাঈলের কথার প্রতি ভ্রক্ষেপ করারও আমাদের কোন প্রয়োজন নেই। কেননা, আমাদের হাতে আল্লাহর কিতাব ও তাঁর রাসূলের (সঃ) বিশুদ্ধ হাদীস সমূহ বিদ্যমান রয়েছে। বড়ই দুঃখের বিষয় যে, এই বানী ইসরাঈলের রিওয়াইয়াতগুলি মুসলমানদের মধ্যে অনেক অকল্যাণ ঢুকিয়ে দিয়েছে এবং বড় রকমের ফাসাদ ছড়িয়ে দিয়েছে। হযরত কা'ব (রাঃ) এই বানী ইসরাঈলের রিওয়াইয়াতকে প্রমাণ করতে গিয়ে কুরআন কারীমের এই আয়াতের যে শেষাংশ পেশ করেছেন এটাও ঠিক নয়। কেননা, এটাতো সম্পূর্ণরূপে প্রকাশমান যে, কোন মানুষকেই আল্লাহ তাআলা আসমানের উপর ও সারিয়ার উপর পৌছবার ক্ষমতা দেন নাই। বিলকীস সম্পর্কেও কুরআন কারীমে এই শব্দই ব্যবহার করা হয়েছে। বলা হয়েছেঃ (আরবী) (২৭:২৩) অর্থাৎ “তাকে সব কিছুই দেয়া হয়েছে। এর দ্বারা উদ্দেশ্য এটাই যে, বাদশাহদের কাছে সাধারণতঃ যা কিছু থাকে ঐ সবই তার নিকট বিদ্যমান ছিল। অনুরূপ ভাবে হযরত যুলকারনাইনকে আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক বিষয়ের উপায় ও পন্থা নির্দেশ করেছিলেন। উদ্দেশ্য এই যে, যেন তিনি ব্যাপকভাবে বিজয় লাভ করে যেতে পারেন এবং যমীনকে যেন মুশরিক ও কাফিরদের থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত ও পবিত্র করতে পারেন। আর যেন আল্লাহর তাওহীদ বা একত্ববাদের সাথে একত্ববাদীদের রাজত্ব ভূ-পৃষ্ঠে ছড়িয়ে পড়ে এবং সারা দুনিয়ায় আল্লাহর হুকুমত প্রতিষ্ঠিত হয়। এ সব কাজে যে সব আসবাব ও সরঞ্জামের প্রয়োজন হয়ে থাকে ঐ সব কিছুই মহামহিমান্বিত আল্লাহ হযরত যুলকারনাইনকে প্রদান করেছিলেন। এসব ব্যাপারে আল্লাহ তাআলাই সঠিক জ্ঞানের অধিকারী। হযরত আলীকে (রাঃ) জিজ্ঞেস করা। হয়েছিলঃ “মাশরিক ও মাগরিব পর্যন্ত তিনি কি রূপে পৌঁছে ছিলেন?" উত্তরে তিনি বলেছিলেনঃ “সুবহানাল্লাহ! মেঘমালাকে আল্লাহ তাআ'লা তাঁর অনুগত করে দিয়েছিলেন এবং তার জন্যে সমস্ত আসবাবপত্রের ব্যবস্থা। করেছিলেন ও সর্ব প্রকারের শক্তি তাকে প্রদান করেছিলেন।